Anwar Study Point

সফলতার সাথী

Breaking

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

অনুচ্ছেদ রচনা - বাংলার উৎসব

বাংলার উৎসব

উৎসব হল একধরনের পারিবারিক ও সামাজিক আনন্দের মিলনক্ষেত্র। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের তুচ্ছতা ও একঘেয়েমি দূর করবার জন্য বিশেষ দিনে বা তিথি উপলক্ষে যে আয়োজন করা হয় তাকে উৎসব বলে। বাংলার উৎসবগুলিকে মোটামুটি চারভাগে ভাগ করা যায়। যেমন - ধর্মীয় উৎসব, ঋতু উৎসব, সামাজিক উৎসব এবং জাতীয় উৎসব। আমাদের এই বাংলা সবধর্মের মিলন স্থল। তাই এখানে বিভিন্ন ধর্মের একটা না একটা উৎসব প্রায় প্রতি মাসে লেগেই থাকে। ধর্মীয় উৎসবগুলি যেমন - হিন্দুদের দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, সরস্বতী পূজা, চড়ক উৎসব, রাসযাত্রা প্রভৃতি। মুসলমানদের মহরম, ইদুলফেতর, ঈদুজ্জোহা, শবেক্বদর এবং খ্রিস্টানদের বড়েদিন, ইস্টার স্যাটারডে, গুড ফ্রাইডে ইত্যাদি। ঋতু উৎসবগুলি বিভিন্ন ঋতুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই পরিকল্পনা করা হয়। যেমন - বর্ষামঙ্গল, ধান্যরোপন, নবান্ন, অরন্ধন, পিঠাপার্বন, বসন্ত বা দোল উৎসব ইত্যাদি। সামাজিক উৎসবগুলি বাড়ির কোনো কিছুকে কেন্দ্র করে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন - অন্নপ্রাশন, বিবাহ, ভাতৃদ্বিতীয়া, জামাইষষ্ঠী, জন্মদিন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ইত্যাদি। দেশের বা জাতির বিশেষ স্মরণীয় দিন অর্থাৎ দেশকে যাঁরা গৌরবাণ্বিত করেছেন তাঁদেরকে স্মরণ করার জন্য আমরা উৎসবে মেতে উঠি। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, নেতাজীর জন্মদিন, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন এই জাতীয় উৎসবের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশ উৎসব প্রাচুর্যের দেশ। এখানে বারোমাসে তেরো পার্বণ। তবুও সব উৎসবকে ছাড়িয়ে যায় বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গোৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা বাংলার প্রায় সমস্ত লোকই আনন্দ উদ্দীপনায় মেতে ওঠে। যে উৎসবে আনন্দ আছে কিন্তু কল্যাণ ইচ্ছা নেই, সেই উৎসব ব্যর্থ। বর্তমানে গ্রামে ও শহরে যাবতীয় উৎসব, অন্যের প্রতি শুভেচ্ছা প্রকাশ অপেক্ষা আত্মপ্রচারের ভাব বেশি দেখা যায়।


******************

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন