MODEL ACTIVITY TASK CLASS 3 BENGALI PART 6 ANSWERS
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
তৃতীয় শ্রেনি
বাংলা (প্রথম ভাষা)
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ 'গাঁয়ের লোক হাঁপ ছেড়ে বাঁচল।' কখন গাঁয়ের লোক হাঁপ ছেড়ে বাঁচল ?
উত্তর :- গৌরী ধর্মপাল এর লেখা 'সোনা' গল্পে সরকারের লোকেরা যেদিন পাততাড়ি গুটিয়ে তাঁবু উঠিয়ে চলে গেল, তখন গাঁয়ের লোক হাঁপ ছেড়ে বাঁচল।
১.২ 'জীবনভর' শব্দের অর্থ কী ? শব্দটি ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর :- জীবনভর শব্দের অর্থ হল সারা জীবন।
▪️জীবনভর - আমি জীবনভর সত্য কথা বলতে চাই।
১.৩ 'এবার কী মনে করে?' - এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা কী বলেছিলেন ?
উত্তর :- জীবন সর্দার এর লেখা নদীর তীরে একা গল্প উক্ত বক্তব্যটির পরে লেখক সোজাসুজি বলেছিলেন তখন ছিল শুকনো কাল। দামোদরের তখন অন্য রূপ ছিল এবং তার তীর ধরে সবজি ফসল ছিল দেখার মত। আর এখন তিনি জল ভরা নদী দেখতে এসেছেন।
১.৪ 'আমি তবে একশোটা দাঁড় আঁটি,
পাল তুলে দিই চারটে পাঁচটা ছটা-' - কেন কথক এমনটি করতে চায় ?
উত্তর :- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নৌকাযাত্রা কবিতায় কথক একটিবার সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে নৌকায় পাল তুলে পাড়ি দিতে চান কবি এ কথা বলেছেন।
১.৫ 'সেক্সটান্ট' - এর কাজ কী ?
উত্তর :- সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রের কৌণিক উচ্চতা মাপা হয়।
১.৬ 'পর্যটন' কবিতায় মহেশ দাসের গন্তব্য কোথায় ?
উত্তর :- কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা পর্যটন কবিতায় মহেশ দাস-এর গন্তব্য হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো প্রদেশের রাজধানী শহর অর্থাৎ সান্টা ফে'।
১.৭ 'এমনকি বুড়ো লোকের উপকারেও আসত গাছেরা।' - গাছেরা কীভাবে বুড়ো লোকের উপকারে আসত ?
উত্তর :- প্রচলিত গল্প 'গাছেরা কেন চলাফেরা করে না' গল্পতে বুড়ো লোকেরা গাছের ডালে বসে যেত। তারপর সেই লোকেরা যে স্থানে যেতে চায়, তাকে গাছ সেই স্থানে নিরাপদ ভাবে পৌঁছে দিত।
১.৮ 'শানুর বাবাই বলছিল কথাটা।' - কথাটি কী ?
উত্তর :- কার্তিক ঘোষের লেখা সুঁই ফুলের রুমাল গল্পে শানুর বাবা বলেছিলেন যে মল্লিক বাবুদের বাগানে আর গাছপালা এবং পুকুর থাকবে না, সেখানে আকাশ ছোঁয়া বাড়ি তৈরি হবে।
১.৯ 'তালগাছ কেবলই তাদের ডাকে' - তালগাছ কাদের ডাকে ?
উত্তর :- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'সাথি' গল্পে শরতের মেঘ আর বলাকা দের তাল গাছ পাতা নাড়িয়ে ডাকে।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ 'সংস্কৃতের দিদিমণি নাম রেখেছেন নদীমাতৃকা।' - কেন তিনি এমন নাম রেখেছেন ?
উত্তর :- গৌরী ধর্মপাল এর লেখা 'সোনা' গল্পে সোনা যেখানেই থাকুক নদীকে কেউ নোংরা করলে বাঘিনীর মত ছুটে আসে। সোনা বড় হয়ে নদীকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করে। সবার মধ্যে প্রচার করে কেউ যাতে নদীকে নোংরা না করে। পাঠশালার সংস্কৃতের দিদিমণি তাই সোনার নাম রাখেন নদীমাতৃকা অর্থাৎ নদী যে মেয়ের মা।
২.২ 'ভালো তো নয় বাঁকা / সোজা সহজ পথের থেকে।' - কথাটির তাৎপর্য কী ?
উত্তর :- শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা নদী কবিতায় কবি নদীর চলার সঙ্গে নিজের জীবনের চলার তুলনা করেছেন। নদী কখনো একই রকমভাবে সারাটা পথ সোজা ভাবে চলে না। তার গতিপথ আঁকাবাঁকা। কবি বলেছেন যে নদী যদি সোজা পথে চলে তাহলে তিনিও নদীর সঙ্গে সারা জীবন সোজাভাবে পথ চলতে পারতেন। কারণ পথের মানুষজন কবিকে সোজা পথে চলার পরামর্শ দেয়। তাদের মতে সোজা ও সহজ পথই জীবনের সেরা পথ। তার থেকে বিচ্যুত হওয়া একদমই ভালো নয়।
২.৩ 'মনু আমার কথা শুনে হেসে ফেলল।' - কোন্ কথায় মনু হেসেছে ?
উত্তর :- জীবন সরদার - এর লেখা নদীর তীরে একা গল্পের লেখক যখন মনু মাঝি কে বলেছিলেন - 'দামোদরের চরে - ওই যে আসানসোল থেকে আদ্রা অনলাইনে দামোদরের ওপর দামোদর স্টেশন সেখানে। নদী খুব চওড়া তবে জল নেই। তার চড়ায় চখা দেখেছি, কাদাখোঁচা দেখেছি, মেছো বক দেখেছি। এইসব কথা শুনে মনু মাঝি হেসে ফেলে ছিলেন।
২.৪ 'গল্প বলব তোমার কোলে এসে।' - কথক কোন্ গল্প শোনাতে চায় ?
উত্তর :- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'নৌকাযাত্রা' কবিতায় কথক শ্যামা আর আশুকে সঙ্গে করে নিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে পাড়ি দিতে চান। তাড়াতাড়ি দেবে নতুন রাজার দেশে। ভোরবেলা নৌকা ছেড়ে ভীরপূর্ণির ঘাট, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে ভারা চলে যাবে। সন্ধেবেলায় তারা যখন ফিরে আসবে তখন মায়ের কোলে বসে এই বেড়ানোর গল্প সে বলবে।
২.৫ 'তখন পৃথিবী ছিল অনেক সবুজ, অনেক সুন্দর।' - সেই সময়ের কথা 'গাছেরা কেন চলাফেরা করেনা' গল্পে কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর :- প্রচলিত গল্প 'গাছেরা কেন চলাফেরা করেনা' গল্পে খুব প্রাচীনকালে গাছেরাও মানুষ ও অন্যান্য জীব জন্তুদের মত চলাফেরা করতে পারত। তখন পৃথিবী এখনকার থেকে অনেক বেশি সুন্দর ছিল। গাছ ও মানুষ একে অন্যের উপকারী বন্ধু ছিল। এছাড়া যানবাহন না থাকায় মানুষকে হেঁটে হেঁটে দূরদূরান্ত যেতে হতো। তাদের মালপত্র গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিলে গাছেরা সেগুলি বয়ে নিয়ে যেত। আবার বুড়ো লোকেদের ও গাছের ডালে বসিয়ে বয়ে গন্তব্যস্থলে নিয়ে যেত।
২.৬ 'একা একা থাকতে নেই' গল্পে বর্ষার রাতে কী ঘটেছিল ?
উত্তর :- প্রচলিত গল্প 'একা একা থাকতে নেই' এই গল্পে বর্ষার রাতে হটাৎ দমকা হাওয়া দিয়ে পাহাড়ি ঝড় শুরু হয়েছিল। সেই হাওয়ার দাপটে সব ওলট পালট হয়ে গিয়েছিল। মাঠের গাছপালা কাঁপতে শুরু করেছিল। বর্ষার রাতে এগুলি ঘটেছিল।
২.৭ 'আঃ ! আজ কী আরাম !' - 'আরাম' কবিতায় শিশুটি 'আরাম' বোধ করে কেন ?
উত্তর :- শঙ্খ ঘোষের লেখা 'আরাম' কবিতায় পাখির ডাকে ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠে একটি শিশু দেখে তার দুপাশে বাবা-মা শুয়ে রয়েছে। পাশের ঘরে তার দিদি অসাড়ে ঘুমাচ্ছে আর এই ঘরে পুতুলগুলো টুংটাং শব্দে নেচে উঠছে। একদিকে মুসলমানদের আজান আর অন্যদিকে হিন্দুদের রাম সীতার গান চলছে। তাই শিশুটির খুব আরাম বোধ হচ্ছে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ কী কী ?
উত্তর :- বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ হল ১১ টি। সেগুলি হল - অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ ।
৩.২ 'দ্বিস্বর' কাদের বলা হয়?
উত্তর :- যে স্বরধ্বনির মধ্যে দুটি স্বরধ্বনি থাকে, তাকে দ্বিস্বর বলে।
যেমন - ঔ = ও+উ, ঐ = ও+ই।
৩.৩ বর্ণবিশ্লেষণ করো -
৩.৩.১ আকাঙ্ক্ষা,
৩.৩.২ বিদ্যাসাগর,
৩.৩.৩ স্বাধীনতা,
উত্তর :-
▪️আকাঙক্ষা = আ+ক্+আ+ঙ্+অ+ক্+ষ্+আ
▪️বিদ্যাসাগর = ব্+ই+দ্+য্+আ+স্+আ+গ্+অ+র্+অ
▪️স্বাধীনতা = স্+ব্+আ+ধ্+ঈ+ন্+অ+ত্+আ
৩.৪ নীচের শব্দগুলো কী কী বর্ণ দিয়ে তৈরি ?
৩.৪.১ অসাবধানি,
৩.৪.২ বিপর্যস্ত,
৩.৪.৩ অবস্থান,
৩.৪.৪ সমুদ্র।
উত্তর :-
▪️অসাবধানি = অ+স্+আ+ব্+অ+ধ্+আ+ন্+ই
▪️বিপর্যস্ত = ব্+ই+প্+অ+র্+য্+অ+স্+ত্+অ
▪️অবস্থান = অ+ব্+অ+স্+থ্+আ+ন্+অ
▪️সমুদ্র = স্+অ+ম্+উ+দ্+র্+অ
******* সমাপ্ত ******