Type Here to Get Search Results !

নবম শ্রেণীর ভূগোল ফাইনাল পরীক্ষার সাজেশান ২ নম্বরের উত্তরসহ

 


নবম শ্রেণীর ২ নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইনাল পরীক্ষার সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর নিম্নে আলোচনা করা হল। যেগুলো পরীক্ষায় খুবই এসে থাকে। তো তোমরা এগুলো সুন্দর করে খাতায় লিখে নাও।

 

প্রশ্নঃ অধিবর্ষ কাকে বলে ?

উত্তরঃ পৃথিবীর সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড বা ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা । কিন্তু ৩৬৫ দিনে এক বছর ধরা হয়। এখন ৬ ঘন্টা সময় অতিরিক্ত থেকে যায়। এই ৬ ঘন্টাকে প্রতি চার বছর অন্তর ফেব্রুয়ারি মাসে ১ দিন বাড়িয়ে ২৯ দিনে মাস ধরা হয় (৪X৬ ঘন্টা = ২৪ ঘন্টা = ১ দিন) । ওই বছরটিকে ৩৬৬ দিনে বছর ধরা হয় , একে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ বলে। অর্থাৎ , খ্রিস্টাব্দ সংখ্যাকে ৪ দিয়ে ভাগ করলে যদি কোন ভাগশেষ না থাকে তবে ওই বছরকে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ বলা হয়। (যে যে বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দিন সংখ্যা ২৯ দিন এবং বছরটি ৩৬৬ দিনের হয়, সেই সেই বছরগুলিকে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ বলা হয়) ।

 

প্রশ্নঃ অন্তর্জাত প্রক্রিয়া কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরভাগে যে সকল প্রাকৃতিক শক্তি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে সেগুলিকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলে। অর্থাৎ , পৃথিবীর ভিতরে গুরুমন্ডলে উৎপন্ন পরিচলন স্রোতের প্রভাবে ভূত্বকে সংকোচন , প্রসারণ , উত্থান, অবনমন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে যে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে তা হল অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ।

 

প্রশ্নঃ জলবায়ু কাকে বলে ?

উত্তরঃ কোন অঞ্চলের বায়ুর তাপমাত্রা , আর্দ্রতা, বস্তুর চাপ, বায়ু প্রবাহ, দৃষ্টিপাত , তুষারপাত, ঝড়, বায়ুপুঞ্জ, মেঘাচ্ছন্নতা ইত্যাদির দীর্ঘদিনের সামগ্রিক রূপকে ঐ স্থানের জলবায়ু বলা হয়।

 

প্রশ্নঃ সূর্যের উত্তরায়ণ কাকে বলে ?

উত্তরঃ ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন পর্যন্ত ৬ মাস ধরে সূর্যের উত্তরমুখী সরণকে সূর্যের উত্তরায়ণ বলে।


 প্রশ্নঃ প্রতিপাদ স্থান কাকে বলে ?

উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠের কোন বিন্দু হতে পৃথিবীর কোন কল্পিত ব্যাস পৃথিবীর কেন্দ্র ভেদ করে ভূপৃষ্ঠের অপর দিকে যে বিন্দুতে স্পর্শ করে, তাকে প্রথম বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে। অর্থাৎ, ভূ-গোলকের ব্যাসের এক প্রান্তের বিন্দুকে অপর প্রান্তের প্রতিপাদ স্থান বলে।

 

প্রশ্নঃ মহীভাবক আলোড়ন কাকে বলে ?

উত্তরঃ মহীভাবক আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে লম্বভাবে কাজ করে। এর ফলে ভূপৃষ্ঠের প্রভাবিত স্থান সমূহ হয় খাড়াভাবে উপরে উঠে যায় বা নীচে নেমে যায়। ব্যাপক আকারে মহাদেশ জুড়ে হয় বলে, একে মহীভাবক আলোড়ন বলে।

 

প্রশ্নঃ লোয়েস সমভূমি কাকে বলে ?

উত্তরঃ মরুভূমির সূক্ষ্ম বালুকণা, মৃত্তিকা প্রভৃতি বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে বাহিত হয়ে বহু দূরে চলে যায় এবং সেখানে সঞ্চিত হয়ে যে নতুন ভূমিরূপ সৃষ্টি করে, তাকে লোয়েস সমভূমি বলে।

 

প্রশ্নঃ গ্রস্থ উপত্যকা কাকে বলে ?

উত্তরঃ প্রবল ভূ-আলোড়নের প্রভাবে দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে সেই বসে যাওয়া অংশটিকে গ্রস্থ উপত্যকা বলে।

 

প্রশ্নঃ তাল কাকে বলে ?

উত্তরঃ ‘তাল’ কথাটির অর্থ নিম্নভূমি বা হ্রদ। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণাংশ ও মালদহ জেলার পশ্চিমাংশের নীচু ও বন্যাপ্রবণ ভূমিভাগকে তাল বলে।

 

প্রশ্নঃ দিয়ারা কাকে বলে ?

উত্তরঃ মালদহ জেলার দক্ষিণাংশে গঙ্গা নদীর তীরবর্তী নবীন পলিগঠিত উর্বর ভূমিভাগ দিয়ারা নামে পরিচিত।

 

 

প্রশ্নঃ অপ্রচলিত শক্তি কাকে বলে ?

উত্তরঃ বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের জন্য সমস্ত শক্তি উৎসের ব্যবহার এখনো পর্যন্ত ব্যপকভাবে প্রচলিত হয় নি, সেই সমস্ত শক্তির উৎসকে অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তির উৎস বলা হয়। আর এই সমস্ত শক্তির উৎস থেকে যে বিদুৎ উৎপাদন করা হয়, তাকে অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তি বলে।

 

প্রশ্নঃ খারিফ ফসল কাকে বলে ?

উত্তরঃ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আসার সময় অর্থাৎ বর্ষার শুরুতেই যেসব শস্যের চাষ শুরু হয়,সেগুলিকে বলে খারিফ শস্য বা খারিফ চাষ বা খারিফ ফসল । যেমন – ধান,আখ, ভুট্টা ইত্যাদি।

 

প্রশ্নঃ রবি ফসল কাকে বলে ?

উত্তরঃ যেসব ফসল শীতের শুরুতে কম বৃষ্টিপাত ও কম তাপমাত্রায় চাষ করা হয়, সেগুলিকে বলে রবি শস্য বা রবি চাষ বা রবি ফসল। যেমন- গম,সর্ষে, আলু ইত্যাদি।

 

প্রশ্নঃ প্রবাহমান সম্পদ কাকে বলে ?

উত্তরঃ যেসব সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের ফলেও নিঃশেষিত হয় না বা যাদের নিঃশেষিত হোয়ার সম্ভাবনাও নেই,তাদের প্রবাহমান বা অফুরন্ত সম্পদ বলে।

 

প্রশ্নঃ ফেরেলের সূত্র কী ?

উত্তরঃ “ভূপৃষ্ঠের বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিন গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়।“ – এটিই ফেরেলের সূত্র। বিজ্ঞানী ফেরেল এ তথ্যের আলোকে উপরিক্ত সূত্র প্রদান করার কারণে তার নাম অনুসারে একে ফেরেলের সূত্র বলে।

 

প্রশ্নঃ কালবৈশাখী ঝড় কাকে বলে ?

উত্তরঃ  গ্রীষ্মকালের দিনের শেষে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আগত ঘূর্ণবাতের প্রভাবে পূর্ব ভারতে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ এবং এর সংলগ্ন এলাকাতে বজ্র-বিদুতসহ ঝড়-বৃষ্টিপাত ও কোন কোন সময় শিলাবৃষ্টিও হয়, একে কালবৈশাখী ঝড় বলে।

 

প্রশ্নঃ কর্কটক্রান্তি রেখা কাকে বলে ?

উত্তরঃ বছরে সূর্য একবার বিষূবরেখা অতিক্রম করে উত্তর গোলার্ধের সর্বশেষ যে স্থান পর্যন্ত পরিক্রমা করে, আবার বিষূবরেখার দিকে ফিরে আসে, সেই কাল্পনিক রেখাটিকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে।

 

প্রশ্নঃ SAIL কী ?

উত্তরঃ SAIL –এর পুরো নাম হল স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (Steel Authority of India Limited)। লোহা ও ইস্পাতের গুণগত মনোন্নয়ন,পরিকাঠামোর উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান ইত্যাদি উদ্দেশ্যে এবং লোহা ও ইস্পাত উতপাদনকারী সংস্থাগুলির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য ভারত সরকার ১৯৭৩ সালে এই সংস্থাটি গড়ে তোলে ।

              পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, দুর্গাপুর অ্যা লয় স্টিল প্ল্যান্ট, বার্নপুর কুলটির IISCO বর্তমানে SAIL –এর পরিচালনাধীন।

 

প্রশ্নঃ স্থানীয় সময় কাকে বলে ?

উত্তরঃ পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোন স্থানের সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে আসে বা সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থান করে তখন সে স্থানে মধ্যাহ্ন এবং ঘড়িতে বেলা ১২ টা ধরা হয় এবং এ সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা । এভাবে আকাশে সূর্যের অবস্থান হতে যে সময় স্থির করা হয় , তাকে স্থানীয় সময় বলা হয়।

 

প্রশ্নঃ সমুদ্র পর্যটন কী ?

উত্তরঃ সমুদ্র পর্যটন ২ প্রকার – (১) কোস্টাল ট্যুরিজম (২) মেরিটাইম ট্যুরিজম।

           ১। কোস্টাল ট্যুরিজমঃ সমুদ্র তীরকে কেন্দ্র করে বিশ্রাম ও বিনোদনভিত্তিক যে পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে ,তাকে কোস্টাল ট্যুরিজম বা সৈকত পর্যটন বলে। যেমন-সূর্যস্নান।

           ২। মেরিটাইম ট্যুরিজমঃ সমুদ্রকে কেন্দ্র করে যে পর্যটন তাকে মেরিটাইম পর্যটন বলে। যেমন- সাঁতার ।

 

প্রশ্নঃ প্লাবনভূমি কাকে বলে ?

উত্তরঃ নিম্নপ্রবাহে প্রায়ই প্লাবনের ফলে নদীর দুই কূল ভেসে জলে ডুবে যায় এবং তাতে পলি সঞ্চিত হয়ে ক্রমশ যে পলিগঠিত সমভূমি সৃষ্টি হয়, তাকে প্লাবনভূমি বলে।

প্রশ্নঃ মহাসাগর কাকে বলে ?

উত্তরঃ অতি প্রকান্ড ও লবণমুক্ত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে , তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র বলে। মহাসাগর পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০.৯% স্থান দখল করে আছে। অর্থাৎ পৃথিবীর তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল রয়েছে।

 

প্রশ্নঃ স্কেল কাকে বলে ?

উত্তরঃ মানচিত্রের দুটি স্থান বা দূরত্ব এবিং ভূপৃষ্ঠের ঐ দুটি স্থানের দূরত্বের অনুপাত মানচিত্রে যখন দেখানো হয়, তখন তাকে স্কেল বলে।

 

প্রশ্নঃ RF কী ?

উত্তরঃ রেডিও এন্টেনাতে অত্যন্ত উচ্চ কম্পাঙ্কের পর্যায়ক্রমিক বিদ্যুৎ প্রবাহ দ্বারা যে কম্পাঙ্ক উৎপন্ন করা হয় ,তাকে RF (Radio Frequency) বলে।

 

তো এই ছিল তোমাদের নবম শ্রেণীর ২ নম্বরের ফাইনাল পরীক্ষার সাজেশন । এগুলো তোমরা সুন্দর করে খাতায় লিখে নাও।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ