Model Activity Task Compilation Class 8, Model Activity Task Combined Class 8, Model Activity Task Final November Class 8
প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে আবারও একটা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক তোমাদের দিয়েছে। আর এটাই ২০২১ সালের ফাইনাল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (ফাইনাল পরীক্ষার মত)। এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - এর উপর ভিত্তি করেই তোমাদের নম্বর দিয়ে পাশ/ফেইল করাবে। তাই তোমরা এটা বাড়িতে সুন্দর করে লিখবে। আশা করছি তোমরা এই ফাইনাল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক স্কুল থেকে পেয়ে গিয়েছ। তাই আর দেরি না করে তোমরা উত্তরগুলো সঠিকভাবে খাতায় লিখে নাও।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Final
তৃতীয় শ্রেনি / Class 3
বাংলা / Bengali
১. নীচের বাঁ দিকের কথাগুলির মধ্যে যেটা ঠিক তার পাশে ✔️ চিহ্ন আর যেটা ভুল তার পাশে ❌ চিহ্ন দাও :
১.১ 'সত্যি সোনা' গল্পে বুড়ো চাষির ছেলে ছিল অত্যন্ত নির্লোভ।
উত্তর :- ❌
১.২ 'আমরা চাষ করি আনন্দে' কবিতাটি লিখেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উত্তর :- ☑️
১.৩ 'আমাকে ক্ষমা করবেন।' - কথাটি বলেছেন কুলি হিসেবে এগিয়ে আসা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
উত্তর :- ❌
১.৪ 'দেয়ালের ছবি' গল্পে বাঘকে শিকারি ললাটায় করে পুকুরের ঠান্ডা জল এনে দিয়েছিল।
উত্তর :- ☑️
১.৫ সুনির্মল চক্রবর্তীর লেখা একটি বইয়ের নাম 'কুসুমপুরের শালিক।'
উত্তর :- ☑️
১.৬ ফুলপরিরা তাদের দেশ থেকে অনেক ফুল নিয়ে এসেছিল।
উত্তর :- ❌
২.১ সেটা বলব বলেই তো ডেকেছি তোমায়। - বক্তা কোন্ কথা বলবেন ?
উত্তর :- বক্তা বুড়ো চাষি তার ছেলেকে বলবেন যে তার লুকোনো সোনা কোথায় রাখা আছে।
২.২ 'পুলক' শব্দটি দিয়ে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর :- বেড়াতে যাওয়ার কথা শুনে অমিতের মনে পুলক জেগে উঠল।
২.৩ 'নিজের হাতে নিজের কাজ' গল্পের ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে ?
উত্তর :- 'নিজের হাতে নিজের কাজ' গল্পের ঘটনাটি ঘটেছে কারমাটার রেল স্টেশনে।
২.৪ 'দুজনে রওনা দিল বনের পথে।' - কোন্ দুজনের কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উত্তর :- এখানে শিকারি এবং বাঘ - এই দুজনের কথা বলা হয়েছে।
২.৫ 'সারাদিন' কবিতায় শিশুটি খাতার পাতায় কী কী আঁকে ?
উত্তর :- 'সারাদিন' কবিতায় শিশুটি খাতার পাতায় হাতি, ঘোড়া, গাছ, পাখি এবং আরও নানান ছবি আঁকে।
২.৬ 'জীবনভর' শব্দের অর্থ কী ? শব্দটি ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর :- জীবনভর শব্দের অর্থ হলো সারাজীবন। জীবনভর শব্দটি ব্যবহার করে একটি বাক্য হল - তিনি জীবনভর মানুষের উপকার করে গেছেন।
২.৭ 'আমি তবে একশোটা দাঁড় আঁটি, পাল তুলে দিই চারটে পাঁচটা ছটা -' - কেন কথক এমনটি করতে চায় ?
উত্তর :- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'নৌকাযাত্রা' কবিতার কথক একটিবার সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে চায়। তাই সে নৌকোয় একশোটি দাঁড় জুড়তে ও চারটে - পাঁচটা - ছটা পাল তুলে দিতে চায়।
২.৮ 'সেক্সটান্ট' - এর কাজ কী ?
উত্তর :- সেক্সটান্ট যন্ত্রের সাহায্যে সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রের কৌণিক উচ্চতা মাপা হয়। অভিযাত্রীদের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্র।
২.৯ 'পর্যটন' কবিতায় মহেশ দাসের গন্তব্য কোথায় ?
উত্তর :- 'পর্যটন' কবিতায় মহেশ দাসের গন্তব্য হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো প্রদেশের রাজধানী শহর 'সান্টা ফে'।
২.১০ 'শানুর বাবাই বলছিল কথাটা।' - কথাটি কী ?
উত্তর :- কথাটি হলো মল্লিক বাবুদের বাগানে আকাশ ছোঁয়া বাড়ি উঠবে। গাছপালা, পুকুর - টুকুর কিছুই থাকবে না। সব শহর হয়ে যাবে।
৩. নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
৩.১ 'আমরা চাষ করি আনন্দে' কবিতায় প্রকৃতির রূপ কীভাবে ফুটে উঠেছে ?
উত্তর :- 'আমরা চাষ করি আনন্দে' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকৃতির এক অপরূপ ছবি তুলে ধরেছেন। গ্রামবাংলার কৃষকরা রোদ বৃষ্টির মধ্যেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করেন। বাঁশের বনে হাওয়া লেগে পাতা নড়ে এবং চষা মাটির গন্ধে বাতাস ভরপুর হয়ে ওঠে। অঘ্রানের সোনার রোদে, পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় ধানের শিষে পুলক ছোটে এবং সমগ্র পৃথিবী হেসে ওঠে।
৩.২ 'আমি আর কখনও নিজের কাজ নিজের হাতে করতে সঙ্কুচিত হব না।' - ডাক্তারবাবুর এমন প্রতিজ্ঞা করার কারণ কী ?
উত্তর :- 'নিজের হাতে নিজের কাজ' গল্পে দেখা যায় কারমাটার রেল স্টেশনে এক বাঙালি ডাক্তারবাবু নামার পর নিজের ব্যাগ বয়ে নিয়ে যেতে লজ্জা বোধ করছিলেন। তাই তিনি কুলি ডাকেন এবং কুলি তার ব্যাগ বয়ে নিয়ে যায়। এরপর পারিশ্রমিক দিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে, যিনি ব্যাগ বয়ে নিয়ে এলেন তিনি কোনো কুলি নন, তিনি হলেন ঈশ্বর চন্দ্র শর্মা। এই ঘটনায় ডাক্তারবাবু খুব লজ্জিত হন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি আর কখনো নিজের কাজ নিজের হাতে করতে সংকুচিত হবেন না।
৩.৩ 'তোমরা কি ? মানুষ না পিশাচ ?' - সোনার একথা বলার কারণ কী ?
উত্তর :- গৌরী ধর্মপালের লেখা 'সোনা' গল্পে সোনা নামের মেয়েটি এই কথাটি বলেছিল তাদের উদ্দেশ্যে যারা নদীকে নোংরা করে। তার কারণ হলো নদী আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে, কিন্তু মানুষ সেই নদীকেই বিভিন্নভাবে দূষিত করে তোলে।
৩.৪ 'আমরা শুধু যাব মা,' তিনজনে' - তিনজন কে কে ? তারা কোথায় যেতে চায় ?
উত্তর :- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'নৌকাযাত্রা' কবিতায় তিনজন বলতে কবিতার শিশুটি, আশু আর শ্যামের কথা বলা হয়েছে। তারা সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে যেতে চায়।
৩.৫ 'সংস্কৃতের দিদিমণি নাম রেখেছেন নদীমাতৃকা।' - কেন তিনি এমন নাম রেখেছেন ?
উত্তর :- 'সোনা' গল্পে সোনা যখন পাঠশালার উঁচু ক্লাসে পড়ে তখন সংস্কৃতের দিদিমণি তার নাম রেখেছেন নদীমাতৃকা অর্থাৎ নদী যার কাছে মা বাবার মতো। ছোটবেলায় সেই নদী সোনার সারা শরীরে সোনা পরিয়ে দিয়েছিল। সোনা সবসময় নজর রাখে যাতে কেউ নদীর জল নোংরা করতে না পারে। নদীর প্রতি তাঁর এই ভালোবাসার জন্য দিদিমণি তার নাম নদীমাতৃকা রেখেছেন।
৩.৬ 'ভালো তো নয় বাঁকা/সোজা সহজ পথের থেকে। - কথাটির তাৎপর্য কী ?
উত্তর :- কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'নদী' কবিতায় বলেছেন যে নদী যদি বাঁকা পথ ছেড়ে সোজা পথে যেত, তাহলে তিনিও নদীর সঙ্গে সারাজীবন সোজা পথে চলতে পারতেন। কিন্তু পথঘাটের দশজনে কবিকে নিষেধ করে বাঁকা পথে চলতে। আসলে সোজা - সহজ পথই জীবনের সেরা পথ। তাই সোজা পথ ছেড়ে বাঁকা পথে পা বাড়ানো একদম উচিত নয়।
৩.৭ 'তখন পৃথিবী ছিল অনেক সবুজ, অনেক সুন্দর। সেই সময়ের কথা 'গাছেরা কেন চলাফেরা করে না' গল্পে কীভাবে ফুটে উঠেছে ?
উত্তর :- 'গাছেরা কেন চলাফেরা করে না' প্রচলিত গল্প অনেক বছর আগের এমন এক সময়ের কথা বলা হয়েছে যখন গাছেরা চলাফেরা করতে পারত। গাছ ও মানুষ ছিল দুজনের বন্ধু। তারা একে অপরের উপকারী সাথী বলে মনে করত। সেই সময় কোনো যানবাহন না থাকায় মানুষেরা গাছের ডালে তাদের পোশাক, বাক্স, থলি ঝুলিয়ে দিত এবং গাছেরাই নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিত। এমনকি বুড়ো লোকদেরও গাছেরা তাদের ডালে বসিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেত।
৪. শূন্যস্থানে ঠিক বর্ণ বসিয়ে শব্দ তৈরি করো :
৪.১ প্রতি _____________।
উত্তর :- প্রতি জ্ঞা ।
৪.২ ________ঙ্গল ।
উত্তর :- জ ঙ্গল ।
৫. নীচের বাক্যগুলোর শব্দ কীভাবে তৈরি লেখো :
৫.১ ধানের শিষে পুলক ছোটে।
উত্তর :- ধানের = ধ্ + আ + ন্ + এ + র্
শিষে = শ্ + ই + ষ্ + এ
পুলক = প্ + উ + ল্ + অ + ক্
ছোটে = ছ্ + ও + ট্ + এ
৫.২ ছোটো দাওয়া পেরিয়ে তারা ঘরে ঢুকল।
উত্তর :- ছোটো = ছ্ + ও + ট্ + ও
দাওয়া = দ্ + আ + ও + য়্ + আ
পেরিয়ে = প্ + এ + র্ + ই + য়্ + এ
তারা = ত্ + আ + র্ + আ
ঘরে = ঘ্ + অ + র্ + এ
ঢুকল = ঢ্ + উ + ক্ + অ + ল্ + অ
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ কী কী ?
উত্তর :- বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণগুলি হলো - অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ
৬.২ 'দ্বিস্বর' কাদের বলা হয় ?
উত্তর :- 'ঐ' এবং 'ঔ' - এর ভিতর দুটো করে স্বরধ্বনি রয়ে গেছে। তাই এদের দ্বিস্বর বলা হয়।
▪️ঐ = ও + ই
▪️ঔ = ও + উ
৭. বর্ণবিশ্লেষণ করো :
৭.১ আকাঙ্ক্ষা
উত্তর :- আকাঙ্ক্ষা = আ + ক্ + আ + ঙ্ + ক্ + ষ্ + আ
৭.২ স্বাধীনতা
উত্তর :- স্বাধীনতা = স্ + ব্ + আ + ধ্ + ঈ + ন্ + অ + ত্ + আ
৮. নীচের শব্দগুলো কী কী বর্ণ দিয়ে তৈরি ?
৮.১ অসাবধানি
উত্তর :- অসাবধানি = অ + স্ + আ + ব্ + অ + ধ্ + আ + ন্ + ই
৮.২ বিপর্যস্ত
উত্তর :- বিপর্যস্ত = ব্ + ই + প্ + অ + র্ + য্ + অ + স্ + ত্ + অ
*******সমাপ্ত *******
