Type Here to Get Search Results !

[FINAL] Class 8 Bengali Model Activity Task Part 8 / Model Activity Task Compilation Class 8


Model Activity Task Compilation Class 8, Model Activity Task Combined Class 8, Model Activity Task Final November Class 8

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে আবারও একটা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক তোমাদের দিয়েছে। আর এটাই ২০২১ সালের ফাইনাল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (ফাইনাল পরীক্ষার মত)। এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - এর উপর ভিত্তি করেই তোমাদের নম্বর দিয়ে পাশ/ফেইল করাবে। তাই তোমরা এটা বাড়িতে সুন্দর করে লিখবে।  আশা করছি তোমরা এই ফাইনাল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক স্কুল থেকে পেয়ে গিয়েছ। তাই আর দেরি না করে তোমরা উত্তরগুলো সঠিকভাবে খাতায় লিখে নাও।

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Final)
অষ্টম শ্রেণি / Class 8
BENGALI /বাংলা

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :  ১ × ৫ = ৫

১.১ __________বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের তুল্য নহে।
(ক) যুদ্ধবিগ্রহ (খ) দয়াপ্রদর্শন (গ) বৈরসাধন (ঘ) আতিথেয়তা
উত্তর :- (ঘ) আতিথেয়তা।

১.২ 'আমার কাছে কীরূপ আচরণ প্রত্যাশা করো ?' বক্তা হলেন - (ক) সেলুক্স (খ) সেকেন্দার (গ) পুরু (ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
উত্তর :- (খ) সেকেন্দার ।

১.৩ পশ্চিমে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়।' - টেনিদাকে একথা বলেছে - (ক) হাবুল সেন (খ) ক্যাবলা (গ) প্যালা (ঘ) ভন্টা
উত্তর :- (খ) ক্যাবলা ।

১.৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেই জাহাজ থেকে তার বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠি লিখেছিলেন, সেটির নাম - (ক) ভার্সাই (খ) সীলোন (গ) মলটা (ঘ) টাইটানিক
উত্তর :- (খ) সীলোন ।

১.৫ কবি মৃদুল দাশগুপ্তের প্রথম কাব্যগ্রন্থ - (ক) এভাবে কাঁদে না (খ) সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ (গ) জলপাই কাঠের এসরাজ (ঘ) ঝিকিমিকি ঝিরিঝিরি।
উত্তর :- (গ) জলপাই কাঠের এসরাজ।

২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২ × ১০ = ২০

২.১ 'মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম' - কোন্ প্রসঙ্গে কবি একথা বলেছেন ?
উত্তর :- উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বোঝাপড়া' কবিতার অংশ। এই পৃথিবীতে সবার জন্য সবাই নয়, কেউ তোমাকে ফাঁকি দেয় তুমিও কাউকে ফাঁকি দাও। এই পৃথিবীর কিছুটা তুমি ভোগ করো, বাকিটা অন্যরা ভোগ করে। এসব আলোচনার প্রসঙ্গেই কবি উদ্ধৃত উক্তিটি বলেছেন।

২.২ 'আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।' - বক্তার একথা বলার কারণ কী ?
উত্তর :- উদ্ধৃত অংশটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা 'অদ্ভুত আতিথেয়তা' গল্পাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে। এখানে বক্তা হলেন আরব সেনাপতি । তিনি তার শত্রু তথা নিজের পিতৃহন্তাকে হত্যা না করে নিজের বাড়িতে খাদ্য ও স্থান দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাই তিনি বলেছেন, আমার নিজের থেকে আরবদের মধ্যে এত বড় বিপক্ষ আর কেউ নেই।

২.৩ 'আন্টিগো! তোমার এই ঔদ্ধত্যের জন্য তোমায় আমার সাম্রাজ্য থেকে নির্বাসিত করলাম।' - আন্টিগোনস কোন ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে ?
উত্তর :- আন্টিগোনস গুপ্তচর সন্দেহে চন্দ্রগুপ্তকে ধরে সেকেন্দারের কাছে নিয়ে আসেন। সেখানে জানা যায় গ্রীক সেনাপতি সেলুকাস চন্দ্রগুপ্তকে যুদ্ধকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন । আন্টিগোনস হয়ে সেকেন্দারের সামনেই সেলুকাসকে তরবারি নিয়ে আক্রমণ করেন। সম্রাটের আদেশ ছাড়াই তার এই কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে।

২.৪ 'তোদের মতো উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলোচনাও ঝকমারি!' - কোথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল ?
উত্তর :- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত 'বনভোজনের ব্যাপার' গল্পটিতে পিকনিকের মেনু কি হবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। ডিমের ডালনা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা ইত্যাদি সুস্বাদু মেনুর সঙ্গে কেউ আলুভাজা, কেউ কুঁদুরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া ইত্যাদির নাম বলায় টেনিদা রেগে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছিলেন।

২.৫ 'কৌতুহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে' - চড়ুইপাখির চোখে কৌতুহল কেন ?
উত্তর :- উদ্ধৃত অংশটি তারাপদ রায়ের লেখা 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতার অংশ। চড়ুই পাখিটির চোখে কৌতুহল কারণ, কবির বাড়ির নির্জনতা। অন্যান্য সমস্ত বাড়িতে অনেক মানুষজন থাকলেও কবির বাড়িতে কবি না থাকলে তা জলশূন্য হয়ে থাকে। তাই কবির বাড়িতে বাসা বাঁধা চড়ুই পাখিটি কৌতুহলী চোখ নিয়ে কবির বাড়িটি দেখে।

২.৬ 'ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রঘাত! - বুকুর কোন্ কথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন ?
উত্তর :- বাড়িতে অসময়ে অতিথিদের আসার খবর পেয়ে বাড়ির মধ্যে বুকুর মা বলেছিল, বাবারে শুনে গা জ্বলে গেল! অসময়ে লোক বেড়াতে আসা ভালো লাগে না। কিন্তু অতিথিদের সামনে তার মা ভালো ব্যবহার করায় বুকু অবাক হয়ে সবার সামনে সেই তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। বুকুর এই কথাতেই তার মা সবার সামনে অস্বস্তিতে পড়েছিল।

২.৭ 'রমেশ অবাক হইয়া কহিল, ব্যাপার কী ?' - উত্তরে চাষিরা কী বলেছিল ?
উত্তর :- জমিদার বাড়ির ছোটবাবু রমেশের কাছে গ্রামের কুড়ি জন কৃষক এসে কাঁদতে থাকায় রমেশ তাদের জিজ্ঞাসা করেছিল, ব্যাপার কি ? এর উত্তরে চাষিরা বলেছিল, প্রবল বৃষ্টিতে একশো বিঘে মাঠ জলে ডুবে গেছে। জল বার করে না দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে, গ্রামের একটি পরিবারও খেতে পাবেনা।

২.৮ 'গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।' - লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী ?
উত্তর :- উদ্ধৃত অংশটি জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা 'গাছের কথা' গদ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষদের মতো গাছেরাও খাওয়া-দাওয়া করে, দিনদিন বড় হয়। মানুষের যেমন ভালো-মন্দ গুণ রয়েছে, গাছেদেরও তাই। মানুষদের মত বড় গাছেরাও শিশু গাছেদের প্রাণ রক্ষা করে। বহু মিল থাকার কারণেই লেখক মন্তব্য করেছেন, 'গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।'

২.৯ 'তবু নেই, সে তো নেই, নেই রে' - কী না থাকার যন্ত্রণা পঙক্তিটিতে মর্মরিত হয়ে উঠেছে ?
উত্তর :- উদ্ধৃত অংশটি বুদ্ধদেব বসুর লেখা 'হাওয়ার গান' কবিতার অংশ। হাওয়ারা পৃথিবীর সমস্ত জল, সমস্ত তীর ছুঁয়ে গেলেও নিজেদের বাসস্থানটুকু না খুঁজে পাওয়ার অস্থিরতা ও বুকচাপা কান্না প্রকাশ করেছে বুদ্ধদেব বসুর কলমের মধ্য দিয়ে। উদ্ধৃত অংশটিতে হাওয়াদের নিজস্ব বাসভূমি না থাকার যন্ত্রণা মর্মরিত হয়ে উঠেছে।

২.১০ 'ছন্দহীন বুনো চালতার' - 'বুনো চালতা' কে ছন্দহীন বলা হয়েছে কেন ?
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশটি জীবনানন্দ দাশের লেখা 'পাড়াগাঁড় দু পহর ভালোবাসি' কবিতার অংশ। নদীর পাড়ে অনাদর ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা গাছটির শাখা-প্রশাখা বড্ড এলোমেলো। বুনো চালতা গাছটি যেন বহুদিন এমনিভাবেই স্থির ও নত হয়ে আছে। স্থির, অচঞ্চল, অগোছালো বুনো চালতা গাছটিকে কবি জীবনানন্দ দাশ তাই ছন্দহীন বলেছেন।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :  ৫ × ২ = ১০

৩.১ 'পরবাসী' কবিতায় শেষ চারটি পঙক্তিটিতে কবির প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :- 'পরবাসী' কবিতাতে কবি বিষ্ণু দে শেষ চারটি লাইনে প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করেছেন কারণ, প্রকৃতির প্রতি মানুষের ব্যবহারে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এই দেশের কিছু অর্থলোভী শোষক একের পর এক বনভূমি ধ্বংস করে চলেছে মুনাফা লাভের জন্য। তাই তিনি প্রশ্ন করেছেন, কেন এই দেশের মানুষ এত চুুপচাপ ও অসহায়, প্রতিবাদহীন ? কেন এই নদী, গাছ, পাহাড় আমাদের কাছে মূল্যহীন ? যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন তারা সবুজ প্রকৃতির খোঁজে তাঁবু নিয়ে আর কত ঘুরবে ? কবি বলেছেন এই পরবাসীদের। প্রকৃতির কোলে আর নিজস্ব বাসভূমি গড়া হয়তো কখনো সম্ভব হবে না।

৩.২ 'আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প' - গল্পটি বিবৃত করো।
উত্তর :- উদ্ধৃত অংশটি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশটি থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পটি হলো, নাটোরের মহারাজার নিমন্ত্রণে লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আরো কিছু জন নাটোরে বাংলা ভাষার প্রচলন এর উদ্দেশ্যে এক প্রাদেশিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানকার থাকা খাওয়া সমস্ত বিষয়ই ছিল বেশ রাজকীয়। সম্মেলন শুরু হলে লেখক ও তার সঙ্গীরা বাংলা ভাষায় সম্মেলনের দাবি জানান। ইংরেজি ভাষার বক্তৃতা বেশিরভাগ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেন। শেষে লালমোহন ঘোষ বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন এভাবে বাংলা ভাষার লড়াই প্রাথমিকভাবে শেষ হয়।

৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :

৪.১ দল বিশ্লেষণ করে দল চিহ্নিত করো : ১ × ৫ = ৫
ইস্টিশান, বাগুইআটি, দর্শনমাত্র, ক্ষিপ্রহস্ত, অদ্ভুতরকম

উত্তর :- ইস্টিশান = ইস্ (রুদ্ধ দল) - টি (মুক্ত দল) - শান্ (রুদ্ধ দল)

বাগুইআটি = বা (মুক্ত দল) - গুই (রুদ্ধ দল) - আ (মুক্ত দল) - টি (মুক্ত দল)

দর্শনমাত্র = দর্ (রুদ্ধ দল) - শন্ (রুদ্ধ দল) - মাত্ (রুদ্ধ দল) - র (মুক্ত দল)

ক্ষিপ্রহস্ত = ক্ষিপ্ (রুদ্ধ দল) - র (মুক্ত দল) - হস্ (রুদ্ধ দল) - ত (মুক্ত দল)

অদ্ভুতরকম = অদ্ (রুদ্ধ দল) - ভূত্ (রুদ্ধ দল) - র (মুক্ত দল) - কম্ (রুদ্ধ দল)

৪.২ উদাহরণ দাও :  ১ × ৫ = ৫

মধ্যস্বরাগম,স্বরভক্তি,অন্তঃস্থ য় - শ্রুতি, অন্ত্যস্বরলোপ, অন্যোন্য স্বরসংগতি

উত্তর :-
মধ্যস্বরাগম এর উদাহরণঃ চাকরি > চাকুরি, নয়ন > নয়ান

স্বরভক্তি এর উদাহরণঃ কর্ম > করম, ধর্ম > ধরম

অন্তঃস্থ য় - শ্রুতি এর উদাহরণঃ চা - এর > চায়ের

অন্ত্যস্বরলোপ এর উদাহরণঃ বন্যা > বান, আজি > আজ

অন্যোন্য স্বরসংগতি এর উদাহরণঃ দাশু > দেশো

৫. বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে - নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন । এ বিষয়ে সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো।     - ৫

উত্তর :-

তারিখ : ২০.০৯.২০২১

মাননীয় সম্পাদক মহাশয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা
জলপাইগুড়ি - ৭৩৫১০১

বিষয় : বন্যার প্রকোপে কৃষিজমি নদীগ্রাসে হারিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যা।

সবিনয় নিবেদন, আমি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হুগলি নদীর তীরবর্তী গোকুলনগর গ্রামের বাসিন্দা। প্রতিবছর বর্ষাকালে এই নদী ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। প্রতিবারই নদীর পাড় ভেঙে যায় ও প্রবল জলোচ্ছাসে বন্যা দেখা দেয়। নদীর নোনা জল, নুড়ি-পাথর জমে কৃষিজমিগুলি চাষের ক্রমশ অযোগ্য হয়ে পড়ছে এবং প্রতিবারই নদীর পাড়ভাঙার ফলে বহু কৃষিজমি নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমস্যাগুলি বিবেচনা করে পাকা কংক্রিট বাঁধ নির্মাণ ও তার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি সেচমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে চির বাধিত থাকিব।

ইতি         
(তোমার নাম)



*********সমাপ্ত *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ