MODEL ACTIVITY TASK CLASS 8 BENGALI PART 7 ANSWERS
Model Activity Task Part 7
অষ্টম শ্রেণি
বাংলা
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ '... তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও।' - কার প্রতি কবির এই আহ্বান ? কার পাশে, কীভাবে এসে দাঁড়াতে হবে বলে কবি জানিয়েছেন ?
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত 'দাঁড়াও' কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
মানবিকতাবোধ সম্পন্ন বিবেকবান মানুষের প্রতি কবির এই আহ্বান।
প্রত্যেক অসহায়, নিঃসঙ্গ, দুঃখ কষ্টে জর্জরিত, অবসাদগ্রস্ত, পীড়িত মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। সংকীর্ণতা ও হীনতাকে তুচ্ছ করে পাখির মতো সহজ সারল্যের সাথে ভালোবাসা, বিশ্বাস ও দয়া-মায়ার মতো মানবিক গুণগুলো সাথে নিয়ে পীড়িত মানুষগুলির পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
১.২ 'রমেশ কহিল, তুমি অত্যন্ত হীন এবং নীচ।' - কাকে রমেশ একথা বলেছে ? তার একথা বলার কারণ কী ?
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পল্লীসমাজ' পাঠ্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি রমেশ তার বাল্যসখী রমাকে বলেছে।
গ্রামের সকল চাষীদের সমস্ত ধান যাতে নষ্ট না হয়ে যায় তার জন্য রমেশ দক্ষিণের বাঁধ কেটে জল বের করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। রমা অসহায় মানুষদের প্রতি সহানুভূতি না জানিয়ে নিজের জমিদারির লাভ-লোকসান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি জানিয়ে দেয় বাঁধ কাটার নির্দেশ দিতে পারবে না। প্রাণের চেয়ে অর্থের মূল্য রমার কাছে বড় হওয়ায় রমেশ উপরি উক্ত কথাগুলি বলেছিলো।
১.৩ 'একটা স্ফুলিঙ্গ - হীন ভিজে বারুদের স্তূপ ।' - কাদের সম্পর্কে, কেন একথা বলা হয়েছে ?
উত্তর :- প্রশ্নে উদ্ধৃত পঙক্তিটি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
কবি সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা আশ্রয়হীন, ছন্নছাড়া, ভবিষ্যৎ লক্ষ্যহীন বেকার ছেলেদের সম্পর্কে প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি ব্যবহার করেছেন। কবি যাদের সম্পর্কে এই সকল কথাগুলি বলেছেন তারা সকলেই যেহেতু যুবক তাই তাদের মধ্যে রয়েছে উদ্যম কর্মশক্তি ও প্রাণোচ্ছোল জীবনীশক্তি। তারা বেকারত্ব ও দারিদ্রতার স্বীকার, তাই তাদের ভিতরে শিক্ষা থাকলেও নৈরাজ্যের স্বীকার হয়ে তা অকেজো হয়ে পড়েছে। ঠিক যেমন ভিজে বারুদের স্তূপে কোন স্ফুলিঙ্গ থাকেনা তেমন। তাই কবি উপরিউক্ত পঙক্তিটি ব্যবহার করেছেন।
১.৪ 'আমাদের দৃষ্টি হইতে দূরে গেল বটে, কিন্তু বিধাতার দৃষ্টির বাহিরে যায় নাই' - কোন প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক এই মন্তব্যটি করেছেন ? 'বিধাতার দৃষ্টির বাহিরে যায় নাই' - একথার তাৎপর্য কী ?
উত্তর :- আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রচিত 'গাছের কথা' প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় বীজ যখন ধুলো মাটিতে চাপা পড়ে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং আলো, বাতাস ও উত্তাপ পেয়ে চারা গাছে পরিণত হয়। এই প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
'বিধাতার দৃষ্টির বাইরে যায় নাই' বলতে প্রাবন্ধিক বুঝিয়েছেন বীজ ধুলো, বালিতে চাপা পড়ে অদৃশ্য হয়ে গেলে আমাদের দৃষ্টির বাইরে চলে যায় ঠিকই কিন্তু সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ বিধাতার দৃষ্টির বাইরে তা যায়না। তাই বিধাতার আশীর্বাদে অনুকূল পরিস্থিতিতে বীজ তার কঠিন আবরণ সরিয়ে রেখে চারা গাছে পরিণত হয়। আর এই ধরিত্রী মাতা তাকে স্নেহের সহিত লালন পালন করে বড় করে তোলে।
১.৫ 'রৌদ্রে যেন ভিজে বেদনার গন্ধ লেগে আছে' - কোন কবিতার অংশ ? কবির মনে এমন অনুভূতি জেগেছে কেন ?
উত্তর :- প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত 'পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি' কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
কবি গ্রামীণ প্রকৃতির কোলে বড় হয়েছেন। দ্বিপ্রহরের রোদ কত স্বপ্ন নিয়ে ধরা দিতো। তাই পাড়াগাঁয়ের দ্বিপ্রহরের বিভিন্ন স্মৃতি কবির মনের মনিকোঠায় সযত্নে স্থান নিয়ে আছে। কবির জীবন থেকে সেই সমস্ত স্বপ্ন ক্রমে ঝরে যাচ্ছে। যে গল্প কাহিনী হৃদয় এ বাসা বেঁধেছিল তারাও কোথাও উধাও হয়ে গিয়েছে। তাই কবির মনে এমন অনুভূতি জেগেছে।
২. নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ বাক্যের মধ্যে ক্রিয়াপদটি কীভাবে গঠিত হয় ?
উত্তর :- ধাতুর সঙ্গে ক্রিয়া বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যের ক্রিয়াপদ তৈরি হয়।
২.২ আপেক্ষিক ভাবের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর :- যদি আকাশে মেঘ করে তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২.৩ নিত্যবৃত্ত অতীত বলতে কী বোঝ ?
উত্তর :- অতীতে প্রায়ই ঘটত - এই অর্থে ক্রিয়ার যে কাল হয়, তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত বলা হয়।
উদাহরণ : শুভঙ্কর রোজ পায়রা গুলোকে খাবার দিত।
২.৪ নিত্য অতীত এবং ঘটমান অতীতের পার্থক্য কোথায় ?
উত্তর :-
নিত্য অতীত : যে ক্রিয়া অতীতে নিষ্পন্ন হয়ে গেছে এবং যার ফলও বর্তমান নেই, তার কালকে নিত্য অতীত বা সাধারণ অতীত বলা হয়।
উদাহরণ : কেন ওরকম কথা বললি ?
ঘটমান অতীত : যে ক্রিয়াটি অতীতকালে সংঘটিত হচ্ছিল, তার কালকে ঘটমান অতীত বলা হয়।
উদাহরণ : ওই পথ দিয়ে জরুরী দরকারে যাচ্ছিলাম বাসে করে।
২.৫ রূপ ও অর্থ অনুসারে ক্রিয়ার কালকে ক'টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
উত্তর :- রূপ অনুসারে ক্রিয়ার কালকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়, যথা - (১) অতীত কাল (২) বর্তমান কাল (৩) ভবিষ্যৎ কাল।
▪️অর্থ অনুসারে ক্রিয়ার কালকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়, যথা - (১) নির্দেশক (২) অনুজ্ঞা (৩) আপেক্ষিক।
***********সমাপ্ত **********