Type Here to Get Search Results !

Class 7 Bengali Model Activity Task Part 5 Answers 2nd Series


MODEL ACTIVITY TASK CLASS 7 BENGALI PART 5 
CLASS 7 BENGALI 2ND SERIES MODEL ACTIVITY TASK PART 5 ANSWERS 

 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2nd Series /Part 5 
 সপ্তম শ্রেণি 
 বাংলা / Bengali 

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 

১. তুমি কেন এত তাড়াতাড়ি করছো ? - এর উত্তরে পৃথিবী লেখককে কী জানিয়েছিল ? 
উত্তর :- 'কার দৌড় কদুর' রচনায় লেখক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় পৃথিবীকে প্রশ্ন করেন তুমি কেন এত তাড়াতাড়ি করছো ? উত্তরে পৃথিবী দখিনা হাওয়ার মুখ দিয়ে বলেছেন - থামা মানে জীবন শেষ। তাই যতদিন আছে, দাঁড়িয়ে পড়লে চলবে না। শাশ্বত সত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গতি বন্ধ করাও যাবেনা। 

২. 'এই দেখো ভরা সব কিলবিল লেখাতে।' - বক্তার নোটবুকের কিলবিল লেখাতে কোন্ কোন্ প্রসঙ্গ রয়েছে ? 
উত্তর :- বক্তা ভালো কথা শুনলে চটপট তার নোটবুকে লিখে নেন। তার নোটবুকের কিলবিল লেখাতে যে প্রসঙ্গগুলি রয়েছে তা হলো - ফড়িঙের কটি ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়? আঙুলেতে আঠা দিলে কেন চটচট করে এবং কাতকুতু দিলে গরু কেন ছটপট করে। 

৩. পুরন্দর চৌধুরী দারুন খুশি হয়ে উঠেছিলেন। - তিনি দারুন খুশি হয়ে উঠেছিলেন কেন ? 
উত্তর :- মেঘ-চুরি আইন করে বন্ধ করার জন্য বোস্টন শহরে রাষ্ট্রসংঘের এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে আসেন বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী। সেই সভায় কারপভ নামে এক বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরীকে 'মেঘ-চোর' বললে তিনি উত্তেজনায় অজ্ঞান হয়ে যান। পরে জ্ঞান ফিরলে দেখেন, একটি সুন্দরী মেয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে সেবা শুশ্রুষা করছে। পরে জানতে পারেন যে সেই মেয়েটি তার হারিয়ে যাওয়া ভাই-এর কন্যা অসীমা। বিদেশে এসে এমনভাবে একজন রক্তের সম্পর্কের আতীয়কে খুঁজে পেয়ে পুরন্দর চৌধুরী দারুণ খুশি হয়ে উঠেছিলেন। 

৪. 'একদিন ঘটেছিল একটি ঘটনা।' - সেই ঘটনার বিবরণ রামকুমার চট্টোপাধ্যায় কাজী নজরুলের গান' শীর্ষক রচনাংশে কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন ? 
উত্তর :- এখানে লেখক রামকুমার চট্টোপাধ্যায় তার ছোটবেলাকার এক ঘটনার কথা বলেছেন। একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে একটি জমায়েত দেখে কৌতূহলবশত কী ঘটেছে জানতে গিয়ে তিনি শুনতে পান সেখানে নেতাজি বক্তৃতা দেবেন আর কাজী নজরুল ইসলামও উপস্থিত থাকবেন। এই দুই প্রিয় মানুষকে কাছ থেকে দেখার লোভ তিনি ছাড়তে পারলেন না। 
       লেখক সেদিন আর স্কুলে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। নজরুল গান গাইলেন আর নেতাজি বক্তৃতা দিলেন। নজরুলের গান শুনে সকলেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেদিনের সেই গান আর বক্তৃতা শুনে লেখক তার উত্তেজনাকে সামাল দেওয়ার জন্য বাড়ি ফিরে তার প্রিয় তবলার বোলে ডুবে গিয়েছিলেন। জীবনে প্রথমবার নজরুলকে দেখার ঘটনা লেখকের জীবনের অমূল্য স্মৃতি হয়ে রয়েছে। 

৫. 'মূঢ় ওরা, ব্যর্থ মনস্কামা! 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় কবি কাদের, কেন 'মূঢ়' এবং 'ব্যর্থ মনস্কাম' বলেছেন ? 
উত্তর :- যারা ভেবেছিল, তাদের নাম বিশাল অক্ষরে ইট-পাথরের, সৌধের মধ্যে চিরদিনের জন্য লেখা থাকবে, তাদেরকেই কবি 'মূঢ়' এবং 'ব্যর্ত মনস্কাম' বলেছেন। সমাজের একদল লোভী ও আত্ম-স্বার্থসর্বস্ব মানুষ নিজেদের নামকে চিরোকালব্যাপী স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে রাখতে চায় অপরের মঙ্গলের কথা চিন্তা না করে। এরা কেবল নিজেদের নামের আকাঙ্খা করে বলে কবি তাদের মূঢ় বলেছেন। আর এই মূঢ়েরা নিজেদের নাম অক্ষুন্ন রাখতে ইট - কাঠ-পাথরের স্মৃতিসৌধে নাম খোদাই করে রেখেছিল। কিন্তু মহাকালের অমোঘ নিয়মে তা ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। তাই বলা হয়েছে তাদের মনস্কামনা ব্যর্থ। 

৬. ঠাকুমা গল্প শোনায় যে নাতনিকে ' - ঠাকুমা তাঁর নাতনিকে কোন্ গল্প শোনান ? 
উত্তর :- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য একটি মিষ্টিমধুর গ্রামের চিত্র তার চিরদিনের কবিতায় তুলে ধরেছেন। রাত্রি নেমে আসার আগেই সন্ধ্যার শঙ্খধ্বনিতে নিস্তব্ধতা নেমে আসে। সন্ধ্যাপ্রদীপের সান্ধ্যবাসরে ঠাকুমা তার নাতনিকে গল্প শোনায়। তার গল্পে থাকে আকাল-দুর্ভিক্ষের কথা, দিশেহারা মানুষগুলির দুর্ভিক্ষের কারণে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনা। 

৭. কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে' - পত্রলেখক তার কলকাতা শহরকে অপছন্দের কোন যুক্তি দিয়েছেন ? 
উত্তর :- কবি কলকাতা শহরটি মোটেই পছন্দ করেন না। কারণ তার মনে হয়, যেন ইট-কাঠের একটি মস্ত জন্তু তাকে একেবারে গিলে ফেলছে। আবার কলকাতায় নববর্ষার বৃষ্টি বাড়ির ছাদে ঠোকর খেতে খেতে তার নৃত্য, সংগীত হারিয়ে ফেলে। অথচ শান্তিনিকেতনের বৃষ্টি কবির মনের মধ্যে সৃষ্টি করে। 


******* সমাপ্ত *****

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ