MODEL ACTIVITY TASK CLASS 6 HISTORY PART 6 ANSWERS
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
ষষ্ঠ শ্রেণি
ইতিহাস / History
১. শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) জৈন ধর্মের প্রধান প্রচারককে বলা হতো __________________________।
উত্তর :- তীর্থঙ্কর।
(খ) আজীবিক গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ____________________________।
উত্তর :- মকখলি গোসালা।
(গ) সুও ও বিনয় পিটক সংকলিত হয়েছিল _______________ বৌদ্ধ সংগীতির সময়।
উত্তর :- প্রথম।
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :
(ক) পরবর্তী বৈদিক যুগের ইতিহাস জানার একমাত্র উপাদান ঋকবেদ।
উত্তর :- মিথ্যা।
(খ) ভরত গোষ্ঠীর রাজা ছিলেন সুদাস।
উত্তর :- সত্য।
(গ) প্রায় ছ-বছর তপস্যা করার পর মহাবীর বোধি বা জ্ঞান লাভ করেন।
উত্তর :- মিথ্যা।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে লেখো :
(ক) মেগালিথ কী ?
উত্তর :- মেগালিথ হলো বড়ো পাথরের সমাধি। প্রাচীন ভারতে লোহার ব্যবহারের সঙ্গে এই সমাধির সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। বিভিন্ন অঞ্চলের জনগোষ্ঠী বড়ো বড়ো পাথর দিয়ে পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের সমাধি চিহ্নিত করত। কাশ্মীরের বুরজাহোম, রাজস্থানের ভরতপুর, ইনামগাঁও বিখ্যাত মেগালিথ কেন্দ্র।
(খ) জাতকের গল্পের মূল বিষয়বস্তু কী ?
উত্তর :- ত্রিপিটকের মধ্যে জাতক নামে কিছু গল্প রয়েছে। এই গল্পের বিষয়বস্তু হল, মনে করা হত গৌতম বুদ্ধ আগেও পৃথিবীতে জন্মেছিলেন এবং সেই এক এক জন্মের কথা জাতকের এক একটি গল্পে রয়েছে। প্রতিটি গল্পের মধ্যেই রয়েছে কিছু উপদেশ। পালি ভাষায় রচিত এই গল্পগুলির আসল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করা।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (৩-৪ টি বাক্যে) :
নব্যধর্ম আন্দোলন কেন গড়ে উঠেছিল ?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে বিভিন্ন কারণে নব্যধর্ম আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। যেমন -
ধর্মীয় কারণ : প্রাচীন বৈদিক ব্রাহ্মণ্য ধর্ম জটিল, ব্যয়বহুল, দুর্বোধ্য ক্রিয়াকর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান, পুরোহিত শ্রেণিনির্ভর হয়ে ওঠে।
অর্থনৈতিক কারণ : খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে পূর্ব ভারতে অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটে। এর মূলে ছিল লোহা দিয়ে তৈরি কৃষি সরঞ্জাম ও গো-সম্পদ। এসময় বৈদিক ব্রাহ্মণ্য ধর্মে পশুবলি দেওয়ার জন্য গোরু ছিল অন্যতম উপাদান। যজ্ঞ, পশুবলি ও যুদ্ধের ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নানা ক্ষতি হয়। তাছাড়া ব্রাহ্মণ্য ধর্ম অনুযায়ী সমুদ্রযাত্রা ও সুদে টাকা নেওয়া অপরাধ ফলে ব্যবসায়ীরা অসন্তুষ্ট হয়।
সামাজিক কারণ : সমাজে ব্রাহ্মণদের স্থান ছিল সর্বোচ্চ। তারা সমাজের সমস্তরকম সুযোগসুবিধা গ্রহণ করলেও কোনো প্রকার কর প্রদান করতেন না। ক্ষত্রিয়দের হাতে অর্থ থাকলেও সামাজিক মর্যাদা ছিল না। ক্ষত্রিয়রা এই সামাজিক মর্যাদা আদায়ের জন্য নব্যধর্ম আন্দোলনকে স্বাগত জানায়।
********** সমাপ্ত ********