MODEL ACTIVITY TASK CLASS 6 GEOGRAPHY PART 6 ANSWERS
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
ষষ্ঠ শ্রেণি
পরিবেশ ও ভূগোল
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের মাঝে অবস্থিত মহাসাগরটি হলো -
(ক) প্রশান্ত মহাসাগর (খ) আটলান্টিক মহাসাগর
(গ) ভারত মহাসাগর (ঘ) সুমেরু মহাসাগর
উত্তর :- (খ) আটলান্টিক মহাসাগর ।
১.২ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রকৃতি -
(ক) উষ্ণ-আর্দ্র (খ) শীতল - আর্দ্র
(গ) শীতল-শুষ্ক (ঘ) উষ্ণ-শুষ্ক
উত্তর :- (ক) উষ্ণ-আর্দ্র।
১.৩ ভারতের একটি পশ্চিমবাহিনী নদী হলো -
(ক) কাবেরী (খ) গোদাবরী
(গ) নর্মদা (ঘ) মহানদী
উত্তর :- (গ) নর্মদা।
২. স্তম্ভ মেলাও :
উত্তর :-
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ বিকিরণ পদ্ধতিতে কীভাবে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হয় ?
উত্তর :- যে পদ্ধতিতে কোনো মাধ্যম ছাড়াই বা মাধ্যম থাকলেও তাকে উত্তপ্ত না করে তাপ এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে চলে যায়, সেই পদ্ধতিকে বিকিরণ পদ্ধতি বলে। বায়ুমন্ডল সূর্যকিরণের দ্বারা সরাসরিভাবে উত্তপ্ত হয় না। সূর্য থেকে আলোর তরঙ্গ বায়ুমন্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে। সূর্য থেকে আগত বিকিরিত তাপশক্তি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়লেও বায়ুমন্ডলকে প্রথমে উত্তপ্ত না করে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে। ভূপৃষ্ঠ সেই তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আলোক চৌম্বকীয় তরঙ্গরূপে সেই তাপের বিকিরণ শুরু হয় ও ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
৩.২ বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ?
উত্তর :- বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং - এর ফলে পৃথিবীজুড়ে তাপমাত্রা একটু একটু করে অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে চলার কারণে বিষুবীয় ও মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। ক্রমাগত উষ্ণতা বাড়ার ফলে প্রতিদিন একটু একটু করে গলে যাচ্ছে আন্টার্কটিকার বরফ, কমে যাচ্ছে মহাদেশটার আয়তন। ফলে ক্রিল, সিল, পেঙ্গুইন সবারই সংখ্যা কমছে, নষ্ট হচ্ছে আন্টার্কটিকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য। বরফের এই অস্বাভাবিক গলনের ফলে সমুদ্রের জলস্তরও একটু একটু করে ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে আর ১০০ বছরের মধ্যে হিমশৈলসহ সুমেরু - কুমেরুতে জমে থাকা সমস্ত বরফ জলে পরিণত হবে।
৪. অরণ্য সংরক্ষণ করা কেন প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো ?
উত্তর :- মানবজীবনের তিনটি মূল উপাদান খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান। সবেরই উৎসস্থল এই অরণ্যই। এককথায় বলা যায় যে, দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব কাজের জন্যই মানুষ অরণ্যের কাছে ঋণী। মানবজীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে অরণ্য। শুধু যে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের যোগান দেয় তা নয়, অরণ্যের উপর নির্ভর করে প্রচুর মানুষের জীবিকা। অসংখ্য পরিবারের দিন গুজরান হয় কেবল অরণ্যের ভিত্তিতেই। এর পাশাপাশি অরণ্যের যথেচ্ছ নিধন ক্রমাগত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। ধ্বংসের দিকে এগোবে সমাজ। দূষিত হবে পরিবেশ। তাই আমাদের অরণ্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
******সমাপ্ত ******