Type Here to Get Search Results !

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর


▪️সপ্তম শ্রেণি
▪️সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস
▪️সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়
▪️সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
▪️সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় Pdf Download
▪️Class seven History 3rd chapter


প্রশ্ন :- কর সংগ্রহ করা কাকে বলে ? এখন কী কী ভাবে কর সংগ্রহ করা হয় ?
উত্তর :- ভূমি - রাজস্ব, ব্যবসাবাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে যে অর্থ বা দ্রব্য  আদায় করা হত, তাকে কর সংগ্রহ করা বলে। রাজা বা সম্রাটরা চাষি, ব্যবসাায়ী ও গৃহস্থের কাছ থেকে কর সংগ্রহ করতেন।
            এখন সরকার থেকে নানাভাবে কর সংগ্রহ করা হয়। যেমন - বেতন, খাজনা, জমি কেনাবেচা, ব্যাবসাবাণিজ্য, পরিবহণ, ওষুধ, পানীয় ও মাদক দ্রব্য ইত্যাদি নানা ক্ষেত্র থেকে কর সংগ্রহ করা হয়।

প্রশ্ন :- রাজারা কেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে জমি দান করতেন বলে মনে হয় ?
উত্তর :- পাল-সেন আমলে কৃষিনির্ভর সমাজে ভূমিদানের অনেক নিদর্শন আছে। পালযুগে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজারা ভূমিদান করতেন। সমাজে কৃষককে নিতান্ত অবহেলা করা হত না। সেন যুগে অনেক  ব্রাহ্মণদের ভূমিদান করা হয়েছিল। সেই আমলের লেখগুলি থেকে জানা যায়, জমি কেনা-বেচার সময় কৃষককেও তার খবর দিতে হত।

প্রশ্ন :- সে যুগের বাংলার প্রধান ফসলগুলির ও পশু-পাখির মধ্যে কোনগুলি আজকের পশ্চিমবঙ্গেও দেখা যায় ?
উত্তর :- সে যুগের বাংলায় প্রধান ফসলগুলির মধ্যে আজকের পশ্চিমবঙ্গে যেসব ফসল দেখা যায়, সেগুলি হল - ধান, সর্ষে ও নানারকমের ফল। ফলের মধ্যে  প্রধান আম, কাঁঠাল, কলা, ডুমুর, ডালিম, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি। আর ছিল কার্পাস বা তুলো, পান, সুপারি, এলাচ,  মহুয়া ইত্যাদি।
           পালরাজা ও সেন রাজাদের আমলে বাংলায় ছিল হাঁস, মুরগি, পায়রা, কাক, কোকিল এবং নানান জলচর পাখি অর্থাৎ, ডাহুক, পানকৌড়ি, মাছরাঙা ইত্যাদি - এই পাখিগুলি তখনও আমাদের পশ্চিমবঙ্গে দেখা যেত। এছাড়া, গৃহপালিত পশু ও বন্যপশু যেমন ঘোড়া, উট, বাঘ, বুনো মোষ, বানর, হরিণ, শুকর, সাপ ইত্যাদি ছিল পাল ও সেন রাজাদের আমলে। এখন পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র উট ছাড়া অন্যান্য সমস্ত পশু দেখা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন :- বৌদ্ধবিহারগুলির মত পড়াশোনার কেন্দ্র কি আজকাল দেখা যায় ?
উত্তর :- হ্যাঁ, ওইরকম পড়াশোনার কেন্দ্র হিসাবে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত  শান্তিনিকেতনের বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া, বর্তমানে সমগ্র ভারতে অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় এবং বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত আছে।

প্রশ্ন :- পাল ও সেন যুগে বাংলায় কী কী ফসল উৎপন্ন হত ? সেই ফসলগুলির কোন্ কোনটি এখনও চাষ করা হয় ?
উত্তর :- পাল ও সেন যুগে প্রধান ফসলগুলির মধ্যে ছিল ধান, সর্ষে ও নানারকমের ফল, যেমন - আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, ডুমুর, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি। এছাড়া কার্পাস, তুলো, পান, সুপারি, এলাচ,  মহুয়া ইত্যাদি ফসলগুলি উৎপন্ন হত। ওই ফসল ও ফল প্রায় সবগুলিই এখনও চাষ হয়।

প্রশ্ন :- রাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভার সাহিত্যচর্চার পরিচয় দাও।
উত্তর :- রাজা লক্ষ্মণসেন তাঁর রাজসভায় নানা কবি ও সাহিত্যিকগণকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্থান দিয়েছিলেন। বিদ্বান ও বিদ্যার প্রতি তাঁর অপরিসীম শ্রদ্ধা ছিল। পিতা বল্লালসেনের আরদ্ধ দানসাগর গ্রন্থখানি লক্ষ্মণসেন সম্পূর্ণ করে নিজের মানসিক উৎকর্ষের পরিচয় দিয়েছিলেন। প্রসিদ্ধ বাঙালি বৈষ্ণবকবি জয়দেব ও নামিদামি কবি ধোয়ী, শরণ, উমাপতিধর প্রভৃতি তাঁর  রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন।

প্রশ্ন :- পাল শাসনের তুলনায় সেন শাসন কেন বাংলায় কম দিন স্থায়ী  হয়েছিল ?
উত্তর :- বাংলায় চারশো বছরেরও বেশি সময় পাল শাসনব্যবস্থা স্থায়ী হয়েছিল। শাসনব্যবস্থা মাত্র একশ বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়িত্ব লাভ করার। কারণ - (১) খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের মধ্যভাগে বাংলায় প্রভাবশালীী লোকেরা গোপাল পাল নামে এক বিচক্ষণ ও পরাক্রমশালীী ব্যক্তিকে রাজসিংহাসনে বসায়। পরবর্তীকালে পালরাজারাও জনগণের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু বিজয় সেন একসময় পালরাজাদের দুর্বলাতার সুযোগ নিয়েে বাংলার সিংহাসন দখল করেন। (২) পাল আমলে বাংলার গ্রামকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা বেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু সেন আমলে স্থানীয় গ্রাম শাসন অবনতির পথে এগিয়ে চলেছিল। (৩) শিক্ষাদীক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও ধর্মচর্চায় পালযুগ যতখানি উন্নত ছিল, সেন যুগে ততখানি ছিল না।

প্রশ্ন :- পাল আমলের ভাস্কর্যগুলির উৎকৃষ্ট নিদর্শনের কী পরিচয় পাওয়া যায় ?
উত্তর :- পাল আমলের ভাস্কর্যগুলিি ওই আমলের শিল্পের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নিদর্শন। পাহাড়পুর প্রত্নক্ষেত্রে এর সবচেয়ে ভালো নিদর্শন পাওয়া যায়। এখানে মূল মন্দিরের গায়ে পাথরের ফলক রয়েছে যার মধ্যে  স্থানীয় রীতির প্রভাব স্পষ্ট। ফলকগুলিতে রাধাকৃষ্ণ, যমুনা, বলরাম, শিব, বুদ্ধর মূর্তি আছে।  এই দেবদেবীর মধ্যে ব্রাহ্মণ্য ঐতিহ্যের প্রভাব অনেক বেশি।

প্রশ্ন :- পালযুগের শিল্পরীতির পরিচয় দাও ।
উত্তর :- পালযুগের শিল্পরীতিকে প্রাচ্য শিল্পরীতি  বলা হয়। এই রীতির পূর্বসূরী  ছিল গুপ্তযুগের শিল্পকলা,  পাল আমলের স্থাপত্যের মধ্যে ছিল স্তূপ, বিহার ও মন্দির। তবে প্রকৃতির কোপে ও মানুষের রোষে সেই স্থাপত্যের আর কিছুই এখন নেই।

প্রশ্ন :- রাজপুত কাদের বলা হত ?
উত্তর :- উত্তর ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে রাজপুতের নাম অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।  অনেকের মতে, খ্রিস্টীয়    পঞ্চম শতকে হূনদের আক্রমণের পরে বেশকিছু মধ্য এশীয় উপজাতির মানুষ উত্তর-পশ্চিমে ভারতে বসবাস করতে থাকে। স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের বিবাহও হয়। এদের বংশধরদের রাজপুত বলে। তবে রাজপুতরা নিজেদেরকে স্থানীয় ক্ষত্রিয় বলে মনে করে। তারা নিজেদের চন্দ্র, সূর্য বা অগ্নি দেবতার বংশধর বলে মনে করত।

প্রশ্ন :- চর্যাপদ কাকে বলে ?
উত্তর :- খ্রিস্টীয়    অষ্টম থেকে দ্বাদশ  শতকে লেখা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের কবিতা ও গানের সংকলনকে বলে চর্যাপদ। চর্যাপদে যে ভাষাা রয়েছে তা হল আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন। আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকেে এই চর্যাপদের পুঁথি উদ্ধার করেন।


▪️File Name  :- সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয়                                          অধ্যায় ৩
▪️Language  :- বাংলা
▪️Size  :- 91 kb
▪️Download Link  :-  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ