▪️সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়
▪️সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
▪️সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় pdf download
▪️Class Seven History 2nd Chapter
১. গৌড়তন্ত্র কী ?
উত্তর :- শশাঙ্কের শাসনকালে গৌড়ে যে ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল তাকে বলা যায় গৌড়তন্ত্র। এই ব্যবস্থায় রাজ্যের কর্মচারী বা আমলারা একটা নির্দিষ্ট শাসনপ্রণালী গড়ে তুলেছিল। আগে যা ছিল গ্রামের স্থানীয় লোকের কাজ, শশাঙ্কের সময় সেই কাজে প্রশাসনও হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে। অর্থাৎ, ওই আমলের গৌড় রাজ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার পরিচালনা করা হত।
২. বাংলায় সেন রাজাদের শাসনকাল বর্ণনা করো।
উত্তর :- সেন রাজাদের আদি বাসস্থান ছিল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাট অঞ্চল, অর্থাৎ মহীশূর ও তার আশপাশের এলাকা। সেনরা বংশগতভাবে প্রথমে ছিলেন ব্রাহ্মণ, পরে তারা ক্ষত্রিয় হয়ে যান। সেন বংশের সামন্তসেন একাদশ শতকের কোনো এক সময়ে কর্ণাট থেকেে রাঢ়় অঞ্চলেে চলে এসেছিলেন। সামন্তসেন ও তাঁর ছেলে হেমন্তসেনের আমলে রাঢ় অঞ্চলে সেনদের কিছুটা আধিপত্য তৈরি হয়েছিল। হেমন্তসেনের ছেলে বিজয়সেন রাঢ়, গৌড়, পূর্ববঙ্গ ও মিথিলা জয় করে সেনরাজ্যের পরিধি বাড়িয়েছিলেন।
৩. কৌলীন্য প্রথা কে প্রবর্তন করেছিলেন ও কেন ?
উত্তর :- বর্ণভিত্তিক সমাজের বিশেষ উচ্চশ্রেণির পরিচিতিকেই বলা হত কৌলীন্য প্রথা। এই প্রথার প্রবর্তক ছিলেন রাজাা বল্লালসেন। বাংলার হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণ, বৈশ্য্য ও কায়স্থ এই তিন শ্রেণির মধ্যে কৌলীন্য প্রথার প্রচলন হয়। বল্লালসেন বাংলাদেশের সমাজে জাতিগত বিশুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য কৌলীন্য প্রথার প্রবর্তন করেন। কৌলীন্য অর্জনের জন্য নয়টি বিশেষ গুণ থাকা প্রয়োজন বলে বিবেচিত হত। সব বর্ণের মানুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক ও আচার-অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করাা হয়।
৪. শশাঙ্কের আমলে বাংলার আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল ?
উত্তর :- বাংলার সার্বভৌম প্রথম সম্রাট ছিলেন শশাঙ্ক। ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে শশাঙ্কের আমলে মন্দা দেখা গেলেও অর্থনীতি ছিল কৃষিনির্ভর। কৃষিতে উন্নতি ঘটাতে তিনি খাল খনন করে সেচের ব্যবস্থা করেন। সেচের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দন্ডভুক্তির দিঘি খনন, যাা এখন শশাঙ্কের দিঘি নামে পরিচিত। সেইসময় কৃষির উন্নতি হওয়ায় সমাজ ক্রমশ গ্রামকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল।
৫. মাৎস্যন্যায় কী ?
উত্তর :- ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় একশো বছর বাংলাদেশে বড় মাছ ছোটো মাছকে খেয়ে ফেলার মত অরাজকতা চলেছিল। এই সুযোগে শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের ওপর খুবই অত্যাচার করেছিল। এই সময় কোনো কেন্দ্রীয় শাসক না থাকায় বাংলাদেশ ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত্ হয়ে যায়। তাদের পরস্পরের মধ্যে বিবাদের ফলে অরাজকতা ও বিশৃৃঙ্খলা চরমে পৌঁছয়। এই অরাজক অবস্থাকে মাৎস্যন্যায় বলে। বছরের পর বছর অরাজক অবস্থা চলর পরে বাংলার প্রভাবশালী লোকেরা মিলে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গোপাল নামে একজন স্থানীয় রাজাকে রাজা নির্বাচন করেন।
৬. সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে লুঠ করা ধনসম্পদ কীভাবে ব্যবহার করেছিলেন ?
উত্তর :- গজনির সুলতান মাহমুদ আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ্ পর্যন্ত সময়কালে প্রায় ১৭ বার ভারত আক্রমণ করে ভারতের রাশি রাশি সম্পদ লুঠ করে নিয়ে গিয়ে নিজের সাম্রাজ্যে ব্যয় করেন। ভারত থেকে লুন্ঠিত সম্পদসমূহ তিনি তাঁর রাজধানী গজনি এবং অন্যান্য শহরকে সুন্দরভাবেে সাজিয়েে তুলেছিলেন। গজনিতে মসজিদ, প্রাসাদ, বাগিচা, খাল, জলাধার তৈরি করেছিলেন। আমু নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়া গজনিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে সেখানে ছাত্রদের বৃত্তি দান ও শিক্ষকদের বেতনের ব্যবস্থা করেছিলেন।
৭. দক্ষিণ ভারতে চোল শক্তির উত্থানের পটভূমি বিশ্লেষণ করো ।
উত্তর :- দক্ষিণ ভারতে খ্রিস্টীয় নবম শতকে চোল শক্তির উত্থান ঘটে। ভারতের সুদূর দক্ষিণের চোল রাজ্যটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রবল পরাক্রমশালী কারিকাল। অতি প্রাচীনকালেও চোল, চের প্রভৃতি তামিল রাজ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি একবার সিংহল (এখন শ্রীলঙ্কা) রাজ্য্য জয় করেছিলেন। সেখান থেকে আনা শ্রমিকদের সাহায্যে তিনি 'কাবেরীপদ্দীনম' নামে একটি নতুন রাজধানী ও একটি বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন। এরপর অবশ্য চোলরাজ্য পল্লবরাজগণের দ্বারা অধিকৃত হয়। কিন্তু খ্রিস্টীয় দশম শতকের প্রথমভাগে চোলেরা নিজ স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে।
▪️File Name :- সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 3
▪️Language :- Bengali
▪️Size :- 83 kb
▪️Download Link :-