Type Here to Get Search Results !

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর


▪️সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর ▪️Class Seven 2nd Chapter ▪️PART - 2

১. শশাঙ্কের সঙ্গে বৌদ্ধদের সম্পর্ক কেমন ছিল ?
উত্তর :- রাজা শশাঙ্ক ব্রাহ্মণ্য ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি ছিলেন শিবের উপাসক। তিনি 'নরেন্দ্রাদিত্য'   উপাধি ধারণ করেছিলেন। চিনা বৌদ্ধ পর্যটক হিউয়েন সাং (সি-ইউ-কি) ও বাণভট্টের (হর্ষচরিত) বিবরণ অনুসারে শশাঙ্ক ছিলেন বৌদ্ধধর্মের ঘোর বিরোধীী। বাণভট্টের  রচনায় শশাঙ্ককে 'গৌড়াধম ও গৌড়ভুজঙ্গ' বলা হয়েছে। তিনিি মগধ অভিযানের সময় অনেক বোধিবৃক্ষ ছেদন করেছিলেন আর অনেক মঠ ধ্বংস করেছিলেন। তবে অনেকের মতে, শশাঙ্ক শৈব হলেও তিনি রাজ্যের কয়েক হাজার বৌদ্ধ-সন্ন্যাসী ও কয়েকটি বৌদ্ধমঠের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কর্ণসুবর্ণে বৌদ্ধ  ও শৈব উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করত জানা যায় হিউয়েন সাঙের বিবরণীতে। 'আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প' নামক বৌদ্ধধর্মেে এবং হিউয়েন সাঙের ভ্রমণ বিবরণীতে শশাঙ্ককে 'বৌদ্ধবিদ্বেষী' আখ্যা দেওয়াা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে শশাঙ্ক ও বৌদ্ধদের মধ্যে সন্পর্কটি বিরোধপূর্ণ হলেও মানবিক ছিল।

২. ত্রিশক্তি সংগ্রাম কাদের মধ্যে হয়েছিল ? এই সংগ্রামের মূল কারণ কী ছিল ?
উত্তর :- অষ্টম শতাব্দী থেকে পাল, গুর্জর - প্রতিহার ও  দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূট বংশের মধ্যে টানা লড়াই চলেছিল। একেই ত্রিশক্তি  সংগ্রাম বলা   হয়। প্রায় ২০০ বছর ধরে এই ত্রিশক্তি  সংগ্রাম চলেছিল।
           হর্ষবর্ধনের রাজধানী কনৌজকে কেন্দ্র করে ত্রিশক্তি সংগ্রামের সূত্রপাত ঘটে। তাঁর মৃত্যুর পর কনৌজকে যোগ্য উত্তরাধিকারের অভাবে রাষ্ট্রকূট, পাল, গুর্জর-প্রতিহারদের মধ্যে কনৌজ দখলের সংগ্রাম শুরু হয়। এই সংগ্রামের কারণগুলি হল -
     (১) হর্ষবর্ধন উত্তর ভারতে যে রাজনৈতিক ও সামাজিক আধিপত্য বিস্তার করেছিল তার সিংহভাগ দখল করতে পাল-প্রতিহার - রাষ্ট্রকূটরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।
      (২) অষ্টম শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিবেশী আঞ্চলিক শক্তিগুলি কনৌজে আধিপত্য স্থাপন করে হর্ষবর্ধনের মতো উত্তর ভারতের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়।
      (৩) উত্তর ভারতের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র কনৌজকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী এলাকাগুলি সমৃদ্ধিশালী হয়েছিল। এই লোভ সামলাতে না পেরে তারা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।
      (৪) কনৌজের ভৌগলিক অবস্থা ও খনিজ সম্পদ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে প্রলুব্ধ করে। উর্বরা গাঙ্গেয় অঞ্চল দখল ও কর্তৃত্ব স্থাপনের নেশায় তারা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।

৩. পাল ও সেন শাসনের সংক্ষিপ্ত তুলনা করো । উত্তর :- পালশাসন : মাৎস্যন্যায় - এর ফলে বাংলাদেশে এক ঘোর  দুর্দিন দেখা দিয়েছিল। অষ্টম শতকে প্রতিপত্তিশালী স্থানীয় রাজা গোপাল (৭৫০ খ্রিঃঃ) বাংলার সিংহাসনে বসেই  বাংলাদেশের জনসাধারণের দুঃখদুর্দশা দূর করার উদ্দেশ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলাা স্থাপনে মনোযোগ দেন। এরপর বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করে গোপালের  পুত্র ধর্মপাল (আনুমানিক ৭৭৪ - ৮০৬ খ্রিঃ) উত্তর ভারতের কনৌজকে কেন্দ্র করেে ত্রিশক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ধর্মপাল বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি নির্মাণ করেছিলেন বিক্রমশীল মহাবিহার বা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওদন্তপুুরী মহাবিহার। আর ছিল সোমপুরীী বিশ্ববিদ্যালয় এখনকার বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার পাহাড়পুরে। বৌদ্ধ সাহিত্যিক হরিভদ্র ধর্মপাল‌ের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন। ধর্মপালের ছেলে দেবপালও (৮১০-৮৫০ খ্রিঃ) খ্যাতিমান রাজা ছিলেন। রাজা বালপুত্রদেবের অনুরোধ মতো নালন্দায় একটি বৌদ্ধ মঠ নির্মাণের জন্য দেবপাল পাঁচখানি গ্রাম দান করেন। বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী  দেশ মাত্রেই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত ছিল। দেবপাল নগরহার এর ইন্দ্রগুপ্ত নামে এক বৌদ্ধশাস্ত্রে পারদর্শী ব্রাহ্মণকে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নিযুুক্ত করেছিলেন।
         দেবপালের পর বিগ্রহপাল, নারায়ণপাল, রাজ্যপাল, প্রথম মহীপাল, দ্বিতীয় মহীপাল, রামপাল ইত্যাদি খ্যাতিমান রাজা ছিলেন। দেবপালের মৃত্যুর পর থেকেই পাল বংশের মহিমা ক্রমশ ম্লান হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রকূট, প্রতিহার, চন্দেল্ল, কম্বোজ, কলচরী প্রভৃতি শক্তির আক্রমণে পাল বংশের সৌভাগ্য - সূর্য সাময়িকভাবে অস্তমিত হয়। দশম শতকের শেষভাগে এই বংশের নবম রাজা প্রথম মহীপাল (৯৮৮-১০৩৮ খ্রিঃ) পাল বংশের গৌরব বহুল পরিমাণে উদ্ধার করতে সমর্থ হন। মহীপাল এই কারণে 'পাল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা' হিসেবে গণ্য হন। পরবর্তীকালে দিব্য বা দিব্বোক - এর নেতৃত্বে কৈবর্ত বিদ্রোহ শুরু হয়। দ্বিতীয় মহীপাল (১০৭০ - ১০৭১ খ্রিঃ) এই বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে নিহত হন। রামপাল (১০৭২ - ১১২৬ খ্রিঃ) বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন সামন্ত-নায়কদের সাহায্য নিয়ে কৈবর্ত বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ভীমকে হত্যা করেন। এই বিদ্রোহের পাল শাসনের দুর্বলতা স্পষ্ট করে দিয়েছিল।

        সেন শাসন : একাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সেন বংশের সামন্তসেন ও তাঁর ছেলে হেমন্তসেন রাঢ় অঞ্চলে নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৈবর্ত্ত বিদ্রোহ সেনদের রাজ্যস্থাপনে সাহায্য করেছিল। সেন রাজাদের আদি বাসস্থান ছিল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাট অঞ্চলেে। হেমন্তসেনের ছেলে বিজয়সেন (১০৯৬ - ১১৫৯ খ্রিঃ) রাঢ়, গৌড়, পূর্ববঙ্গ ও মিথিলা জয় করে রাজ্যের পরিধি বৃদ্ধি করেছিলেন। এরপর বল্লালসেন (আনুমানিক ১১৫৯ - ৭৯ খ্রিঃ) পাল রাজা গোবিন্দপালকে পরাস্ত করে রাজা হন। তিনি সমাজসংস্কার করে রক্ষণশীল, গোঁড়া ব্রাহ্মণ্য আচার-আচরণকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এভাবেে  তিনি ব্রাহ্মন্য, বৈদ্য ও কায়স্থ - এই  তিন শ্রেণীর মধ্যে কৌলীন্য প্রথার প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁর ছেলে লক্ষ্মণসেন উত্তরাধিকাারী হিসেবে (১১৭৯-১২০৪ খ্রিঃ) প্রয়াগ, বারাণসী ও পুরীতে ক্ষমতা বিস্তার করতে সমর্থ হন। তাঁর রাজধানী ছিল পূর্ববঙ্গের বিক্রমপুরে। তিনি 'অরি-রাজ-মন্ডল-শঙ্কর' ও 'গৌড়েশ্বর' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বৈষ্ণব ধর্মানুরাগি ছিলেন। বাঙালী কবি জয়দেব তাঁর সভাকবিি ছিলেন। লক্ষ্মণাবতী (গৌড়) ছিল  ওই আমলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে (১২০৪/  ৫ খ্রিঃ) তুর্কি কুতুবউদ্দিনের সেনাপতি ইখ্তিয়ার - উদ্দিন মোহম্মদ - বিন-বখতিয়ার খলজির আকস্মিক আক্রমণে লক্ষ্মণসেন নদিয়া  ত্যাগ করেে নৌকাযোগে পূর্ববঙ্গে পালিয়েে যান। তুর্কি অভিযানের ফলেই (আনুমানিক ১২০৪/৫ খ্রিঃ) বাংলায় সেন বংশের অবসান হয়েছিল।

৪. দক্ষিণ ভারতে চোল শক্তির উত্থানের পটভূমি বিশ্লেষণ করো। কোন্ কোন্ অঞ্চল চোল রাজ্যের অন্তর্গত ছিল ?
উত্তর :- চোল রাজ্যের অন্ততর্ভুক্ত অঞ্চল : কাবেরী ও শাখানদীগুলির বদ্বীপকে ঘিরেই চোল রাজ্য গড়ে উঠেছিল। হিউয়েন সাঙের বিবরণী থেকে জানা যায়, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে চোল রাজ্য 'একটি পরিত্যক্ত অরণ্যময়' অঞ্চলে পরিণত হয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীর শেষভাগে চোলগণ পল্লব   ও পান্ড্য শক্তিকে পরাস্ত করে ক্রমে ক্রমে সমগ্র করমন্ডল উপকূলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সমর্থ হন। বিজয়ালয় (৮৪৬ - ৮৭১ খ্রিঃ) সেখানকার রাজা মুট্টাবাইয়াকে পরাস্ত করে তাঞ্জোর অধিকার করেে স্বাধীন চোল রাজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।  তিনি তাঞ্জোরে স্থাপন করেন নতুন রাজধানী। বিজয়ালয়ের পুত্র প্রথম আদিত্য (৮৭১-৯০৭ খ্রিঃ) ছিলেন শক্তিশালী শাসক। তাঁর সময় চোলরাজ্য উত্তরে মাদ্রাজ শহর থেকে দক্ষিণে কাব়রী নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তাঁর পুত্র প্রথম পরান্তক (৯০৭ - ৯৫৩ খ্রিঃ) পান্ড্যরাজ্য্য অধিকার করে ও পল্লব-শক্তিকে বিধ্বস্ত করে সমগ্র পল্লবরাজ্য নিজ অধিকারে আনেন এবং উত্তরে নেলোর পর্যন্ত রাজ্যসীমা বিস্তার করেন।
          খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে চোল-শক্তি দুর্বল হয়। প্রবল পরাক্রান্ত চোলরাজ প্রথম রাজরাজ (৯৮৫ - ১০৯২ খ্রিঃ) চোলবংশের লুপ্ত গৌরব ফিরিয়ে আনেন। তিনি কলিঙ্গ থেকে দক্ষিণে সিংহল পর্যন্ত এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তাঞ্জোরের বিখ্যাত রাজরাজশ্বেরের মন্দির তাঁর এক অক্ষয় কীর্তি।
          রাজরাজের পুত্র প্রথম রাজেন্দ্র চোল (১০১৬ - ১০৪৪ খ্রিঃ) চোলবংশের সবচেয়‌ে প্রতিপত্তিশালী রাজা ছিলেন। বাংলার পালরাজা প্রথম মহিপালের বিরুদ্ধে এক অভিযানে গঙ্গানদীর তীরে তাঁকে শ‌োচনীয়ভাবে পরাস্ত করেন। এই বিজয়ের স্মৃতিরক্ষার জন্য তিনি 'গঙ্গাইকোন্ডচোল' উপাধি ধারণ করেন। প্রথম রাজারাজ ও রাজেন্দ্র চোল দুজন‌ই দক্ষ নৌবাহিনী তৈরি করেন। চোলরাজ্যের বিশাল নৌবাহিনীর সাহায্যে তিনি পেগু, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি অধিকার করতে সমর্থ হয়েছিলেন। ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে তিনি ভারতীয় বাণিজ্য‌ের প্রভূত উন্নতিসাধন করেন।

৫. ইসলাম ধর্মের প্রচারের আগে আরব দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ইসলাম ধর্মের প্রচার আরব দেশে কী বদল এনেছিল ?
উত্তর :- আরব দেশ হল পৃথিবীর বৃহত্তম উপদ্বীপ। এই দেশের পশ্চিমে অবস্থান করছে লোহিত সাগর, পূর্বে পারস্য উপসাগর ও দক্ষিণে আরব সাগর। আরব উপদ্বীপের বেশির ভাগ জায়গায় দেখা যায় মরুভূমি বা শুকনো ঘাসজমি। আরব দেশের মরু এলাকার মানুষ অধিকাংশই একসময় ছিল যাযাবর। তাদের বলা হত বেদুইন। তারা অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু ছিল, আবার দুরন্ত সাহসী  ও দুর্ধর্ষ শক্তিমানও ছিল। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রারম্ভে কোনো কোনো আরব উপজাতির প্রধান জীবিকা ছিল ব্যবসা। আরব দেশের দুটি বিখ্যাত শহরের নাম মক্কা ও মদিনা। মক্কা শহর একটি বাণিজ্য কেন্দ্ররূপে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাছাড়া বাণিজ্য করবার জন্য আরবের বণিক সম্প্রদায় বিদেশে গমনাগমন করত। এই উদ্দেশ্যে তাদের সঙ্গে খ্রিস্টান দেশ   ও পারস্য দেশেরও যোগাযোগ তৈরি হয়। তারা ইহুদি, খ্রিস্টান   ও পারসিক ধর্মমতের সঙ্গে  পরিচিত হয়। তারা সমুদ্রপথে ভারতের পশ্চিম উপকুল এলাকায় ব্যবসাবাণিজ্য  শুরু করে দেয়। এই সময় আবার এলাকার দখলদারি নিয়ে আরবের বিভিন্ন উপজাতির মধ্যে পরস্পরের দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। এই কারণে আরব জাতির সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে এতটুকু উন্নতি  ঘটেনি। এইরকম পরিস্থিতিতে সে দেশেে হজরত মোহম্মদ জন্মগ্রহন করেন। তিনি শান্তির বাণী প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর প্রবর্তিত   ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু করেন।
         ইসলাম ধর্মের প্রচারের ফলে ধীরে ধীরে আরব জাতি যেন সূর্যের আলোক দেখতে পারল। তৈরি হল আরব জাতির মধ্যে ধর্মীয় ঐক্য। কিছু সুবিধাবাদী ও স্বার্থান্বেষী মানুষের বিরুদ্ধতার কারণে হজরত মোহম্মদ মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে এলেন। তাঁর প্রবর্তিত ইসলাম ধর্মের প্রচারে আরব ভূখন্ডের সুবিস্তীর্ণ এলাকা শান্তির বাতাবরণ লাভ করল। মক্কাতেও একসময় মোহম্মদের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ল। তাঁর মৃত্যুর প্রায় একশো বছরের মধ্যে আরবরা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।


▪️PDF File Name  :- সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস                                                দ্বিতীয় অধ্যায়
▪️Size  :- 121 kb

▪️Language  :- Bengali

▪️Download Link  :- 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ