Type Here to Get Search Results !

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর


▪️সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায়  - ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর - ইতিহাসের ধারণা ▪️

১. ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে ?
উত্তর :- সুদূর অতীতের ইতিহাস জানার একমাত্র পন্থা হল সেই যুগের মানুষের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের নিদর্শন সংগ্রহ করা। এসব ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলিকেই বলা হয় ইতিহাসের উপাদান। যেমন : লেখ, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও লিখিত উপাদান।

২. প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলতে কী বোঝ ?
উত্তর :- প্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন বিভিন্ন স্থানে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে। এসব প্রাচীন নিদর্শন দেখে সেগুলি কত প্রাচীন এবং সেই যুগের সভ্যতা কতটা উন্নত ছিল তা ঐতিহাসিকরা বুঝতে পারেন। প্রাচীন যুগের লিখিত ইতিহাস না পাওয়া গেলেও এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে একটি মোটামুটি ইতিহাস রচনা করা যায়।

৩. শিলালেখ ও তাম্রলেখ কাকে বলে ?
উত্তর :- প্রাচীন কালে যখন কাগজপত্রাদির ব্যবহার ছিল না তখন রাজা-সম্রাটরা পাথর, তামা ইত্যাদির ওপর তাঁদের আদেশপত্র, দানপত্র ইত্যাদি খোদাই করে দিতেন।
▪️পাথরের ওপর যেসব লেখা হয়, তাকে বলে শিলালেখ  ।
▪️আর তামার পাতে যেসব লেখা হয়, তাকে বলে তাম্রলেখ  ।

৪. প্রাচীন কালের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব কী ?
উত্তর :- প্রাচীন কালের ইতিহাস রচনায় বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, বিভিন্ন সাহিত্যগ্রন্থ ও রাজা-মহারাজাদের যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদির সভ্যতা প্রমাণের জন্য মুদ্রা একটি অসামান্য নিদর্শন। মুদ্রার ওপর আঁকা লেখগুলি থেকে তৎকালীন রাজার নাম, তাঁদের বংশ পরিচয়, তারিখ বা সাল গণনা, বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি থেকে তাঁদের ধর্মীয় উদারতা ইত্যাদি প্রমাণ করা সম্ভব।

৫. প্রাচীন ইতিহাস রচনায় স্থাপত্য - ভাস্কর্যের গুরুত্ব কতখানি ?
উত্তর :- প্রাচীন কালে নির্মিত ঘরবাড়ি, দালান-প্রাসাদ ইত্যাদির চিহ্নাদি প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজের ফলে মাটির নীচ থেকে যেমন আবিষ্কৃত হয়েছে, তেমনি মাটির ওপরেও তা যথেষ্ট পাওয়া গেছে। যেমন পাওয়া গেছে অজন্তা-ইলোরার স্থাপত্য-ভাস্কর্য। পশ্চিমবঙ্গের অজয় নদের তীরে পান্ডুরাজার ঢিবি, বসিরহাটের কাছে বেড়াচাঁপাতে চন্দ্রকেতুগড় আবিষ্কার খুবই উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। এছাড়া সাঁচি স্তূপ ও তার রেলিং, তোরণ-দ্বার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। আর গান্ধার শিল্পের ভাস্কর্যরীতি তো অত্যন্ত মনোহর রূপ লাভ করেছিল।

৬. মধ্যযুগের ভারত-ইতিহাসের উপাদানগুলি কী কী ?
উত্তর :- মধ্যযুগের ভারত-ইতিহাস রচনার পর্যাপ্ত উপকরণ আছে। এই উপকরণগুলি হল - (১) সরকারি দলিলপত্র, (২) সমসাময়িক ঐতিহাসিক রচনা, বিদেশি পর্যটকদের বিবরণ, মুদ্রা ও শিল্প - নিদর্শন এবং হিন্দু লেখকদের রচনা - এই কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

৭. মধ্যযুগে ভারতে মানুষের জীবন কেমন ছিল ?
উত্তর :- আগে একটা ধারণা ছিল যে, মধ্যযুগে মানুষের জীবন অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। সেইসময় কোথাও নাকি কোনো উন্নতি হয়নি। এসব তথ্য এখন আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। ঐতিহাসিকেরা সেই সময়ের ইতিহাস লিখেছেন টুকরো টুকরো উপাদান জুড়ে। এই ইতিহাসে দেখা যায় তখন জীবনের নানান দিকে ভারতের মানুষেরা অনেক কিছুই উন্নতি করেছিল। যেমন একদিকে ছিল নানান যন্ত্র ও কৌশলের ব্যবহার আর অন্যদিকে ছিল নতুন খাবার ও পানীয়ের কথা। সেইসময় পোর্তুগিজদের কাছ থেকে তারা শিখেছিল রান্নায় আলুর ব্যবহার।

৮. ইতিহাসে সব নাম বা উপাধি মনে রাখা কঠিন কেন ?
উত্তর :- ইতিহাসে অনেক উপাধি বা নাম অনেক কাল আগের মানুষদের। তারাও হয়তো এসব নাম বা উপাধি নিয়ে গোলমালে পড়তেন। ওই সময় এমন বড়ো খটোমটো উপাধি বা নামেরই প্রচলন ছিল। সেগুলি বদলে নেওয়ার উপায়ও নেই। যেমন 'গঙ্গাইকোন্ডচোল' বা 'সকলোত্তরপথনাথ' বেশ বড়ো। বাবর, আকবর নামগুলি তার চেয়ে ছোটো বা সংক্ষিপ্ত।

৯. 'সেসব মনে রাখা খুবই কঠিন !' - কঠিন কেন ?
উত্তর :- পুরোনো দিনের গল্প শুনতে সবারই ভালো লাগে। ইতিহাস বইতে থাকে রাজা-উজিরের নাম-ধাম, যুদ্ধের সাল-তারিখ। নামগুলি গুলিয়ে যায়। ফলে সেই মজাটা আর তখন থাকেনা। সাল-তারিখও মনে রাখা তাই খুবই কঠিন।


▪️File Name : সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম                                  অধ্যায়
▪️Language  : Bengali

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ