প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, তোমরা তৃতীয় শ্রেনি পাশ করে চতুর্থ শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছো। করোনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তোমাদের স্কুল বন্ধ রয়েছে। তো প্রতিবারের মতো এবারও তোমাদের চতুর্থ শ্রেনির নতুন মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক স্কুল থেকে দিয়েছে। যেটা তোমরা ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছ। তো সেগুলো প্রশ্নের সমস্ত উত্তর এখানে পেয়ে যাবে। নীচে Class 4 Bengali Model Activity Task Part 2 February 2022 এর সমস্ত উত্তর পেয়ে যাবে। তোমরা সুন্দর করে খাতায় লিখে নাও।
Model Activity Task
চতুর্থ শ্রেণি (Class - IV)
বাংলা (Bengali)
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১×৩=৩
১.১ বনের ধারে আছে মস্ত - (ক) নদী (খ) পাহাড় (গ) মাঠ (ঘ) গর্ত
উত্তর :- (খ) পাহাড়
১.২ ছাগলছানার দেখা প্রথম বড় জন্তুটি হলো - (ক) ভালুক (খ) বাঘ (গ) সিংহ (ঘ) ষাঁড়
উত্তর :- (ঘ) ষাঁড়
১.৩ শিয়াল রাক্ষস ভেবেছে - (ক) বাঘকে (খ) ছাগলছানাকে (গ) ষাঁড়কে (ঘ) ভালুককে
উত্তর :- (খ) ছাগলছানাকে ।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১×৩ =৩
২.১ ছাগলছানা কোথায় থাকত ?
উত্তর :- যেখানে মাঠের পাশে বন আছে আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে সেখানে একটা গর্তের ভিতরে ছাগলছানা থাকত।
২.২ গর্তের বাইরে যেতে চাইলে ছাগলছানার মা তাকে কী বলত ?
উত্তর :- গর্তের বাইরে যেতে চাইলে ছাগল ছানার মা তাকে বলতো, "যাসনে ! ভালুকে ধরবে, বাঘ নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে।"
২.৩ 'তুমি যাও, আমি কাল যাব।' - ছাগলছানা কেন একথা বলেছিল ?
উত্তর :- বনের ভিতর চমৎকার ঘাস খেয়ে ছাগল ছানার পেট এমন ভারি হয়ে পড়েছিল যে সে আর চলতে পারছিল না, তাই সে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেছিল।
নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২×৩ =৬
৩.১ গর্তের ভিতর কে ও ? - এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা কী বলেছিল ?
উত্তর :- গর্তের ভিতর কে ও ? - এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা বলেছিল -
" লম্বা লম্বা দাড়ি
ঘন ঘন নারী।
সিংহের মামা আমি নরহরি দাস
পঞ্চাশ বাঘে মোর এক - এক গ্রাস !"
৩.২ 'শুনেই তো ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গিয়েছে।' - বাঘ ভয় পেয়েছে কেন ?
উত্তর :- বাঘ শিয়ালকে লেজের সঙ্গে বেঁধে শিয়ালের গর্তের কাছে এলে ছাগলছানা দূর থেকে তাদের দেখতে পায়। তাদের দেখে ছাগলছানা বুদ্ধি করে শিয়ালকে বলে -
" দূর হতভাগা তোকে দিলাম দশ বাঘের কড়ি
এক বাঘ নিয়ে এলি লেজে দিয়ে দড়ি !"
এই কথা শুনে বাঘ ভয় পেয়ে যায়। কারণ সে ভেবেছিল শিয়াল তাকে ফাঁকি দিয়ে নরহরি দাসকে খেতে দেওয়ার জন্যই তাকে নিয়ে এসেছে।
৩.৩ বাঘের উপর শিয়ালের রাগ হয়েছিল কেন ?
উত্তর :- নরহরি দাসের (ছাগলছানার) কথা শুনে ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গিয়েছিল। ফলে সে পঁচিশ হাত লম্বা এক লাফ দিয়ে তার লেজে বাঁধা শিয়াল কে নিয়ে দৌড়াতে থাকে। সেই কারণে শিয়াল মাটিতে আছাড় খেয়ে, কাটার আঁচড় খেয়ে, ক্ষেতের আলে ঠোক্কর খেয়ে প্রায় আধমরা হয়ে পড়েছিল। বাঘ মামার এই ব্যবহারের ফলে শিয়ালের যায় যায় অবস্থা হয়ে গিয়েছিল বলেই বাঘের উপর রাগ হয়েছিল।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
নরহরি দাস গল্পে ছাগলছানার বুদ্ধির পরিচয় কীভাবে ফুটে উঠেছে ?
উত্তর :- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা 'নরহরি দাস' গল্পে দেখা যায় বনের ভিতর বেশি পরিমাণে ঘাস খেয়ে ছাগলছানাটি আর চলতে না পারায় একটি শিয়ালের গর্তে আশ্রয় নেয়। গর্তের ভিতর থেকে সে শিয়াল কে দেখেও ভয় না পেয়ে নিজেকে সিংহের মামা নরহরি দাস বলে পরিচয় দেয়। কোন চেনা জন্তুর নাম উচ্চারণ করলে শিয়াল তার মিথ্যা ধরে ফেলত। তাই সে নরহরি দাস এর নাম নিয়ে শিয়ালের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছিল। সেই সঙ্গে সে এক গ্রাসে পঞ্চাশটা বাঘ খেতে পারে বলে শিয়ালের ভয় আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। এইভাবে বাঘের সামনে সে শিয়াল কে উদ্দেশ্য করে বলে যে তাকে দশ বাঘের কড়ি দিলেও সে মাত্র একটি বাঘ নিয়ে এসেছে। এই কথায় বাঘ ভয় পেয়ে পালায়। এইভাবে ছাগল ছানার বুদ্ধির পরিচয় ফুটে উঠেছে গল্পে।
********************সমাপ্ত *******************
আশা করছি, তোমরা সবকটি উত্তরগুলো লিখে নিয়েছ। তো যদি আমাদের দেওয়া উত্তরগুলো তোমাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আমাদের অনুরোধ, আমাদের Anwar Study Point ইউটিউব (YOUTUBE) চ্যানেলটি অবশ্যই SUBSCRIBE করবে। আমরা ইউটিউবেও (Youtube) উত্তরগুলো ভিডিও করে আপলোড করে থাকি। ধন্যবাদ!