Type Here to Get Search Results !

Class 9 History Model Activity Task Part 6 / মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নবম শ্রেণি ইতিহাস পার্ট 6



MODEL ACTIVITY TASK CLASS 9 HISTORY PART 6 ANSWERS

  মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
  নবম শ্রেণি 
 ইতিহাস / History

১. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাও :

ক - স্তম্ভ

খ - স্তম্ভ

১.১ ভার্সাই চুক্তি

(ক) ১৯৩৬ খ্রি:

১.২ মহামন্দা

(খ) ১৯১৮ খ্রি:

১.৩ চোদ্দ দফা শর্ত

(গ) ১৯১৯ খ্রি:

১.৪ স্পেনের গৃহযুদ্ধ

(ঘ) ১৯২৯ খ্রি:


উত্তর :-

ক - স্তম্ভ

খ - স্তম্ভ

১.১ ভার্সাই চুক্তি

(গ) ১৯১৯ খ্রিঃ

১.২ মহামন্দা

(ঘ) ১৯৩৯ খ্রিঃ

১.৩ চোদ্দ দফা শর্ত

(খ) ১৯১৮ খ্রিঃ

১.৪ স্পেনের গৃহযুদ্ধ

(ক) ১৯৩৬ খ্রিঃ


২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :

২.১ রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমা নামে পরিচিত।
উত্তর :- সত্য।

২.২ ভাইমার প্রজাতন্ত্র জার্মানিতে গড়ে ওঠা একটি অস্থায়ী সরকার যার কার্যকাল ছিল ১৯১৯-১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
উত্তর :- সত্য। 

২.৩ চোদ্দ দফা নীতি ঘোষণা করেন লেনিন।
উত্তর :- মিথ্যা। 

২.৪ লিগ অব নেশনস গড়ে ওঠে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর।
উত্তর :- সত্য। 

৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

৩.১ এমস টেলিগ্রাম কী ?
উত্তর :- এমস নামক স্থানে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বেনেদিতি প্রাশিয়ার রাজা উইলিয়ামের সঙ্গে দেখা করেন এবং ভবিষ্যতে স্পেনের সিংহাসনে প্রাশিয়ার কোনো দাবী থাকবে না। এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দাবী করেন। রাজা উইলিয়াম এই ঘটনার বিবরণ বিসমার্ককে টেলিগ্রাম করে জানালে বিসমার্ক টেলিগ্রামটি এমনভাবে সংশোধিত করে প্রকাশ করেন যাতে ফরাসিরা মনে করে যে তাদের দূত প্রাশিয়ার রাজা কর্তৃক অপমানিত হয়েছেন। এই ঘটনা এমস টেলিগ্রাম নামে পরিচিত। 

৩.২ প্যারি কমিউন গঠনের উদ্দেশ্যে কী ছিল ?
উত্তর :- ১৭৮৯ সালের বিপ্লবে ফ্রান্সের তৃতীয় সম্প্রদায় বিশেষ করে প্যারিসের দরিদ্র শ্রমিক শ্রেণির বিশেষ ভূমিকা ছিল। বিপ্লবের সময় এই দরিদ্র শ্রমিক শ্রেণীর প্রতিনিধিদের নিয়ে প্যারিসে ১৮৭১ সালে ১৮ ই মার্চ গঠিত হয় প্যারি কমিউন। প্যারি কমিউনের উদ্দেশ্য ছিল - 

(১) প্যারিস নগরীর বিপ্লবী পৌরপ্রশাসন পরিচালনা করা। 
(২) প্যারিসের গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা। 

৪. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :

জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিসমার্কের ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তর :- ১৮৪৮-৪৯ সালে জার্মানিতে জাতীয়তাবাদী ঐক্য আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে কয়েকটি বিষয় প্রমাণিত হয়। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জার্মানির ঐক্যসাধন সম্ভব নয়। প্রাশিয়ার নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব। তাই প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম অটোভন বিসমার্ককে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন।

(১) রক্ত লৌহ নীতি : প্রধানমন্ত্রী বিসমার্কের উদ্দেশ্য অ-নীতি ছিল খুব স্পষ্ট। এগুলি হল, তিনি ছিলেন রাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং প্রাশিয়ার সংসদের বিরোধ দেখা দেয়। এ প্রস‌ঙ্গে বিসমার্ক প্রাশিয়ার সংসদের অর্থ সংক্রান্ত কমিটিতে বলেছিলেন বক্তৃতা বা সংখ্যা গরিষ্ঠ এর মতামত নয় বরং একমাত্র সামরিক শক্তি বা 'রক্ত ও লৌহ নীতি' - র দ্বারাই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস করতেন। বিসমার্কের এই নীতিটি রক্ত ও লৌহ নীতি নামে পরিচিত। প্রাশিয়ার প্রতিনিধি সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ এর মতকে উপেক্ষা করেই তিনি সামরিক প্রস্তুতি চালান এবং পরপর তিনটি যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মানির ঐক্য সম্পন্ন করেন।

বিসমার্কের নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্য  :

(১) ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ : বিসমার্কের নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্যের প্রথম পদক্ষেপ ছিল ডেনমার্কের সাথে প্রাশিয়ার যুদ্ধ। ডেনমার্কের দক্ষিণে শ্লেজউইগ ও হলস্টেইন নামে দুটি ডাচি জার্মানির রাজ্যসীমার মধ্যে অবস্থিত হলেও তা ডেনমার্কের অধীনে ছিল। এই দুটি প্রদেশ দখলের জন্য বিসমার্ক অস্ট্রিয়ার সাথে মিলিত হয়ে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাকে অনায়াসে পরাজিত করে। এরপর ভিয়েনার সন্ধি অনুসারে ডেনরাজ ডাচিদ্বয়ের উপর প্রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার মিলিত অধিকার স্বীকার করতে বাধ্য হন কিন্তু স্থান দুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে ১৮৬৫ সালে গ্যাসটিন চুক্তি দ্বারা একটি সামরিক মীমাংসা হয়। স্থির হয় যে, শ্লেজউইগ থাকবে প্রাশিয়ার অধিপত্যে আর হলস্টেইনের উপর কর্তৃত্ব থাকবে অস্ট্রিয়ার।

(২) স্যাডোয়ার যুদ্ধ : ১৮৬৬ সালে অস্ট্রিয়া শ্লেজউইগ হলস্টেইনের প্রশ্নটি কনফেডারেশনের ডায়েটের নিকট উপস্থিত করলেন তা গ্যাসটিনের চুক্তি বিরোধী এই অভিযোগে প্রাশিয়া হলস্টেইনে সৈন্য প্রেরণ করে। এর প্রতিবাদে অস্ট্রিয়ার নেতৃত্বে ডায়েট প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অস্ট্রিয়া চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। এর ফলে কেবলমাত্র অস্ট্রিয়ার নয়, সমগ্র জার্মানি প্রাশিয়ার পদানত হয়।

▪️সেডানের যুদ্ধের ফলে জার্মান ঐক্য আংশিকভাবে সম্পন্ন হয়েছিল । বিসমার্ক বুঝেছিলেন যে, জার্মান জাতির সম্পূর্ণ ঐক্যের পথে ফ্রান্সই প্রধান অন্তরায়। তাই ফ্রান্সকে বিচ্ছিন্ন করে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিসমার্ক যুদ্ধের অজুহাত খুঁজতে থাকেন। শীঘ্রই স্পেনের সিংহাসন নিয়ে ফ্রান্স ও প্রাশিয়ার মধ্যে এক বিবাদ উপস্থিত হয়। এই বিবাদের সূত্র ধরেই এমস টেলিগ্রামকে কেন্দ্র করে বিসমার্ক এমন অবস্থা সৃষ্টি করেন যে, ফ্রান্স নিজেই প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইউরোপীয় শক্তিগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফ্রান্সে সহজেই প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হতে থাকে। অবশেষে ১৮৭০ সালে সেডানের যুদ্ধে ফ্রান্স সম্পূর্ণ পরাজিত হয়। ফ্রান্স ১৮৭১ সালে অপমানজনক শর্তে ফ্রাঙ্কফুর্টের সন্ধি করতে বাধ্য হয় এবং এই সন্ধি অনুযায়ী ফ্রান্স জার্মানিতে মেটজ দূর্গ ও আলসাস - লোরেন অঞ্চল দুটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।


******** সমাপ্ত ******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ