MODEL ACTIVITY TASK CLASS 7 HISTORY PART 7 ANSWERS
Model Activity Task Part 7
সপ্তম শ্রেণি
ইতিহাস
১. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাও :
উত্তর :-
২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী হিমু ___________দখল করেছিলেন।
উত্তর :- দিল্লি শহর
২.২ আকবর ___________যুদ্ধে আফগানদের হারিয়ে দেন।
উত্তর :- পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে
২.৩ মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ______________আমলে।
উত্তর :- শাহ জাহানের
২.৪ মুঘলরা বিজাপুর ও গোলকোন্ডা দখল করে _____________ রাজত্বকালে।
উত্তর :- ঔরঙ্গজেবের
৩. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ 'জাবতি' কী ?
উত্তর :- প্রাণীনকালের থেকেই ভারত একটি কৃষি নির্ভর দেশ। তাই সুপরিকল্পিতভাবে শাসন পরিচালনা করতে হলে ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত প্রয়োজন। আলাউদ্দিন খিলজির সময় থেকেই সঠিক পরিমাণ রাজস্ব নির্ধারণ করার জন্য জমি জরিপ করার ব্যবস্থা ছিল। জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ণয় করার পদ্ধতিকে বলা হয় 'জাবতি'। 'জাবতি' মানে নির্ধারণ।
৩.২ 'মনসব' কী ?
উত্তর :- 'মনসব' কথাটির অর্থ উঁচু স্থান। এটি এরটি আরবি শব্দ। সম্রাট আকবর সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করেন। তার শাসনব্যবস্থার প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হতো মনসব।
৩.৩ বারো-ভুঁইয়া নামে কারা পরিচিত ছিলেন ?
উত্তর :- মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাট আকবরের ছেলে এবং উত্তরাধিকার জাহাঙ্গিরের সময়কালে বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বারংবার বিদ্রোহ করেছে। এই বিদ্রোহীরা একসঙ্গে বরো-ভুঁইয়া নামে পরিচিত ছিলেন। এদের মধ্যে প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান প্রমুখ ছিলেন উল্লেখযোগ্য।
৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ আবুল ফজল ও আবদুল কাদির বদাউনি কারা ছিলেন ?
উত্তর :- আকবরের আমলে এক বিখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন আবুল ফজল আল্লামি। তাঁর লেখা আকবরনামায় তিনি আকবরের প্রশাংসাই করেছেন। কিন্তু যেকোনো সময়ের ইতিহাস জানতে হলে শুধু ভালোটা নয়, সমকালীন সমস্যার কথায় সমান ভাবে জানা উচিত। এই ধরণের আলোচনা পাওয়া যায় সে যুগের আরো একজন ঐতিহাসিক আবদুল কাদির বাদাউনির মুন্তাখাব-উৎ তওয়ারিখ বইতে। ১৫৭৪ সালে দুজনেই মুঘল দরবারে এসেছিলেন। কিন্তু আবুল ফজল হয়ে উঠেছিল আকবরের প্রিয় পাত্র। একই ঘটনার দুধরণের বিবরণ পাওয়া যায় এঁদের দুজনের লেখায়।
৪.২ তুমি কী মনে করো যে রাজপুত নীতির দ্বারা মুঘলরা ভারতীয় শাসকদের মুঘল প্রশাসনের অঙ্গীভূত করেছিল ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর :- মুঘল সাম্রাজ্য যখন একটু একটু করে ভারতে তাদের শাসন বিস্তার করতে থাকে তখন উত্তর ভারতে রাজপুতদের আধিপত্য ছিল। মুঘল বাদশাহ হুমায়ুন বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে হলে রাজপুতদের সাথে তাদের সুসম্পর্ক বোঝায় রাখতেই হবে। এই উদ্দেশ্যে আকবর মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারী ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসে। তারা বৈবাহিক বন্ধনের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করতে থাকে। আকবর হিন্দু পত্নীদের নিজেদের ধর্মমত পালন করার অধিকার দিয়েছিলেন। একবার হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থকর ও জিজিয়া কর তুলে দেন এবং যুদ্ধবন্দিদের ধর্মান্তরিত হওয়া থেকে বাঁচান।
জাহাঙ্গির পিতার নীতিই অনুসরণ করেন। তাঁর আমলে মেওয়ারে মুঘলদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
রানা প্রতাপের পুত্র অমর সিংহ মুঘলদের হয়ে যুদ্ধ করতে যেত। এই আমলেও রাজপুতদের উঁচু পদ দেওয়া হতো।
ঔরঙ্গজেবের সময় সবচেয়ে বেশি রাজপুতরা মুঘলদের আয়ত্তে এসেছিল। তবে এই সময়ই রাজপুতদের সাথে মুঘলদের প্রীতি নষ্ট হয়। মারওয়ারের রাজা রানা যশবন্ত সিংহ আকবরের সময় মনসব পেলেও তার উত্তরাধিকার নিয়ে মারওয়ার রাজ্যের রাজধানী যোধপুরে গন্ডগোল শুরু হয়। মুঘলরা এই রাজ্যটি পুরোপুরি দখল করে নিলে রাঠোরে যুদ্ধ বাধে ১৬৭৯ সালে। রাঠোর যোদ্ধা মুঘলদের পক্ষে লাভজনক হয়নি। এছাড়াও আকবরের তুলে দেওয়া তীর্থকর এবং জিজিয়া কর ঔরঙ্গজেবের সময় আবার চালু হয়। অর্থাৎ, আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মুঘলদের রাজপুত নীতিতে অনেক মিল ছিল আবার কোনো কোনো দিকে অমিলও ছিল।
*******সমাপ্ত ********