MODEL ACTIVITY TASK CLASS 10 HISTORY PART 6 ANSWERS
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
দশম শ্রেণি
ইতিহাস / History
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
১. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাও :
উত্তর :-
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :
২.১ ১৮৫৭-র বিদ্রোহকে জাতীয়তাবাদীরা 'ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ' বলে ব্যাখ্যা করেন।
উত্তর :- সত্য।
২.২ ঔপনিবেশিক ভারতে লর্ড ক্যানিং প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন।
উত্তর :- সত্য।
২.৩ 'বর্তমান ভারত' গ্রন্থে স্বামী বিবেকানন্দ শূদ্র জাগরণের কথা বলেছেন।
উত্তর :- সত্য।
২.৪ 'আনন্দমঠ' উপন্যাসটি স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত হয়।
উত্তর :- মিথ্যা।
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ 'গোরা' উপন্যাসের মধ্য দিয়ে কোন দ্বন্দ্বের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় ?
উত্তর :- জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কবিগুরুর রচিত 'গোরা' উপন্যাসে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বলাম গ্রাম্য সামাজিক বন্ধন এবং কোনো নির্দিষ্ট ধর্মকে আশ্রয় করে উগ্র জাতীয়তাবাদ বনাম সর্বধর্মের সমন্বয় তৈরি উদারনৈতিক জাতীয়তাবাদ এই মূল দ্বন্দ্ব এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। গোরা উপন্যাসের মধ্য দিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা অনুভব করেছে - ভারতবর্ষের পরিচয় কোনো নির্দিষ্ট জাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়।
৩.২ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন ?
উত্তর :- বাংলার চিত্রশিল্পের ইতিহাসে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগ্রজ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর নাম। উজ্জ্বল ঊনবিংশ শতকে জাতীয়তাবাদের জাগরণের সময় ভারতের একজন খ্যাতনামা ব্যং-চিত্র নির্মাতা ছিলেন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর 'বিরুপ ব্রজ' গ্রন্থে ১৯০৬ থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার কার্টুন অঙ্কিত হয়েছে। বিষয়বস্তু হল বাঙালী সমাজের ইংরেজ প্রীতি, বাঙালী চরিত্রের নানাদিক ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যাঙ্গবিদ্রুপ।
৪. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :
'ভারতমাতা' চিত্রটি কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল ?
উত্তর :- ১৯০৫ সালে স্বদেশী আন্দোলনের উন্মাদনায় সারা বাংলা সেদিন দেশবন্দনা বা মাতৃবন্দনায় সবর হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯০৫ সালে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গমাতার চিত্র অঙ্কন করলেন। পড়ে ভগিনী নিবেদিতা এর নাম দেন ভারতমাতা। গৈরিক বস্ত্রে মন্ডিতা এই মাতৃ মূর্তি চতুর্ভুজা যার চার হাতে রয়েছে পুস্তক, ধানের গোছা, শ্বেত বস্ত্র ও পুষ্পমালা। অর্থাৎ সন্তানের প্রতি মায়ের দান - অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, দীক্ষা।
স্বদেশী বাংলায় এই ছবি নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। এই ছবি নব-জাতীয়তাবাদের প্রতীক কে পরিণত হয়। ছবি নিয়ে পতাকা তৈরি করেন জাপানি শিল্পী ওকাকুরা এই পতাকা কাঁধে নিয়ে বিভিন্ন শোভাযাত্রা বেরতে শুরু করে। ছবিটি দেখে ভগিনী নিবেদিতা উচ্ছ্বাসিত হয়ে মন্তব্য করেন যে, হাতে অর্থ থাকলে নবভারতের প্রতীক এই ছবিটি ছাপিয়ে কেদার-বদ্রির আশ্রম থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ভারতের প্রতিটি কৃষকের ঘরে একটি করে উপহার দিতেন। অন্যদিকে ব্রাহ্মসমাজের অনেকেই কিন্তু এই মূর্তিপূজার বাড়াবাড়িতে বিরক্ত হন। মুসলিম সমাজ বিষয়টি ভালোভাবে মেনে নেয়নি। এ সত্ত্বেও বলতে হয় যে, অবনীন্দ্রনাথ অঙ্কিত এই চিত্র দেশে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করে। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষে এই চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রবল ভাবে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটায়। মূল চিত্রটি বর্তমানে রবীন্দ্র ভারতী সমিতির সংগ্রহে রয়েছে।
********* সমাপ্ত *********