Type Here to Get Search Results !

Class 5 Bengali 2nd Series Model Activity Task Part 5 Answers


  মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2nd Series  
পঞ্চম শ্রেণি 
  বাংলা

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

১. 'মাঠ মানে ছুট' কবিতায় কবির কাছে মাঠ কীভাবে নানান অর্থে প্রতিভাসিত হয়েছে আলোচনা করো।
উত্তর :- কবির কাছে মাঠ মানে ছুটি পাওয়ার মজা। কবির কাছে মাঠ মানে সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ, যা কখনোই নিভে যায়না। কবির কাছে মাঠ মানে এগিয়ে যাওয়ার ছুট, মাঠের এইসব অর্থই 'মাঠ মানে ছুট' কবিতায় কবির কাছে প্রতিভাসিত হয়েছে। 

২. 'অবশেষে দীর্ঘ যাত্রা শেষে তারা ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছল।' - তারপর কী ঘটল, তা 'পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে' রচনা অনুসরণে লেখো।
উত্তর :- পৃথিবীতে খরা হওয়ার ফলে মৌমাছিরা খুব নাকাল হয়ে পড়েছিল। জল না থাকার জন্য ফুল ফুটছিল না। ফুল ছাড়া মৌমাছি মধু সংগ্রহ করবে বা কোথা থেকে। তাই মৌমাছি মধু পান করার সুযোগ পাচ্ছিল না। এইজন্য মৌমাছি ব্যাঙের সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রা শেষে ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছল। সেখানে গিয়ে তারা দেখল সবাই নানান ভোজ ও আনন্দ-উৎসবে ব্যস্ত। তাদের স্ত্রী ও মন্ত্রীদের মহানন্দ। ব্যাঙ বুঝতে পারল কেন রাজ্যে এত অভাব, এত কষ্ট। রাগে উত্তেজিত হয়ে তারা গেল  ভগবানের কাছে। তাদের দেখে ভগবান তার মন্ত্রীদের ডাকল এবং তাদের গাফিলতির জন্য তিরস্কার করল। এরপর তাদের জয়ের জন্য গর্বিত ব্যাঙ তখনই উল্লসিত হয়ে সরবে পুকুরে ফিরে গেল। তারপর থেকে যখনই ব্যাঙ ডাকে, তখনই বৃষ্টি নামে। 

৩. 'ঝড়' কবিতা অনুসরণে শিশুটির ঝড় দেখার অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।
উত্তর :- 'ঝড়' কবিতায় ঝড় দেখে শিশুটির মনে এক সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছিল। শিশুটি নিজেকে ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করেছে অর্থাৎ, সে যেমন দস্যিপনা করে ঘরের মেঝের উপর কালি ঢেলে দেয় তেমনি ঝড় যেন কোন দস্যি ছেলের মতো আকাশের উপর মেঘ-রুপি কালি ঢেলে দিয়েছে। 

৪. 'মধু কাটতে তিনজন লোক চাই।' - এই তিনজন লোকের কথা 'মধু আনতে বাঘের মুখে' রচনাংশে কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে ?
উত্তর :- আলোচ্য উদ্ধৃতিটি শিব শংকর মিত্রর লেখা 'মধু আনতে বাঘের মুখে' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নানুযায়ী মধু কাটতে তিনজন লোক দরকার। এই তিনজন লোকের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। প্রথম জনের কাজ চট মুড়ি দিয়ে গাছে উঠে কাস্তে দিয়ে মৌচাক কাটা। দ্বিতীয় জনের কাজ একটা লম্বা কাঁচা বাঁশের মাথায় মশাল জ্বেলে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছিকে তাড়ানো আর তৃতীয় জনের কাজ একটা বড় ধামা হাতে নিয়ে চাকের নিচে দাঁড়ানো যাতে চাক কাটা শুরু হলে সেগুলি মাটিতে না পড়ে ধামার মধ্যেই পড়ে। 'মধু আনতে বাঘের মুখে' রচনাংশে এই তিনজনের কথা এভাবেই উপস্থাপিত হয়েছে। 

৫. 'মায়াতরু' কবিতার নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন করো।
উত্তর :- আলোচ্য কবিতায় কবি একটি আজব গাছের বর্ণনা করেছেন। চারিদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এলেই মনে হয় গাছটি যেন দুহাত তুলে ভূতের মতো নাচ শুরু করেছে। আবার যখন সন্ধ্যার পর রাতের আকাশে চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ে তখন গাছের আকৃতি অনেকটা ভালুকের মতো হয়। ভালুক যেন ঘার ফুলিয়ে রেখে গড়গড় করছে। পরক্ষনেই যখন গাছের মাথায় বৃষ্টি পড়ত তখন গাছের পাতা এমনভাবে কাঁপত যেন মনে হত গাছের কম্প দি জ্বর এসেছে। আসলে কবি তার জল্পনায় একটি গাছকে বিভিন্ন সময় পর্যবেক্ষণ করেছেন সকালের সোনাঝড়া রোদ, রাতের অন্ধকার, পূর্ণিমার আলো আর বর্ষার পর বৃষ্টি - এভাবেই একটি গাছকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তিনি দেখেছেন। সেইদিক থেকে কবিতাটির নামকরণ সুনির্বাচিত এবং তাৎপর্যপূর্ণ। 

৬. 'এই তো সুবুদ্ধি হয়েছে তোমার।' - বক্তা কে? কাকে সে একথা বলেছে? কীভাবে তার সুবুদ্ধি হয়েছে ?
উত্তর :- বীরু চট্টোপাধ্যায়ের 'ফণীমনসা ও বনের পরি' নামক নাটকে প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটুকু বনের পরি ফণীমনসাকে বলেছে
         ফণীমনসার ইচ্ছা অনুসারে বনের পরির কাছে কখনো সোনার পাতা তো কখনো কাচের পাতা আবার কখনো পালং শাকের মত সবুজ পাতা ফণীমনসা পেয়েছিল। কিন্তু এইসব পাতাগুলোই ফণীমনসা হারিয়েছিল ; কোনোটা ডাকাত দলের কাছে আবার কোনোটা ঝড়ে তো কোনোটা আবার ছাগলের কাছে। এভাবে বিভিন্ন রকমের পাতা পেয়েও ফণীমনসা যখন তা হারিয়ে ফেলে তখন শেষ পর্যন্ত সে নিজের জন্মগত কাঁটা ভরা ছুঁচোলো পাতাই চেয়েছিল বনের পরির কাছে। তখন পরি বলেছিল "এই তো সুবুদ্ধি হয়েছে তোমার।" 

৭. 'তারি সঙ্গে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান' - কেমন দিনে কথকের ছেলেবেলার কোন্ গানটি মনে পড়ে ?
উত্তর :- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর' কবিতা অনুসারে বৃষ্টির দিনে কথকের ছেলেবেলার যে গানটি মনে পড়ে সেটি হল - "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এলো বান।" 

৮. 'বোকা কুমিরের কথা' গল্পে কুমিরের বোকামির পরিচয় কীভাবে ফুটে উঠেছে ?
উত্তর :- কুমিরের বোকামির পরিচয়, একবার শিয়াল আর কুমির আলুর চাষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর যখন আলু হয় তখন কুমির শিয়ালকে ঠকাবার জন্য গাছের আগার দিক নিতে চাইল আর শিয়ালকে গোড়ার দিক দিতে চাইল। কুমিরের এই বোকামির পরিচয় আলু চাষে প্রথম দেখা যায়। 
        এরপর যখন ধান চাষ করল, কুমির এবার গোড়ার দিক নিতে চাইল আর আগার দিকটা শিয়ালকে দিতে চাইল। সে ভেবেছিল মাটি খুঁড়ে সব ধান বের করে নেবে। এর থেকে দ্বিতীয়বার তার বোকামির পরিচয় পাওয়া যায়। 
     তারপর যখন আখের চাষ করল, এবার কিছুতেই ঠকা যাবেনা এইভেবে কুমির আগেভাগেই গাছের আগার দিকটা কেটে বাড়ি নিয়ে যায়। কুমিরের এইসব বোকামির কথা গল্পে পাওয়া যায়। 

****** সমাপ্ত *****


👉 Model Activity Task Class 5 English 2nd Series Answers 

👉 Model Activity Task Class 5 Math 2nd Series Answers 

👉 Model Activity Task Class 5 Amader Poribesh 2nd Series Answers 

👉 Model Activity Task Class 5 Health and Physical Education 2nd Series Answers 

******সমাপ্ত******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ