Type Here to Get Search Results !

Class 9 Bengali 2nd Series Model Activity Task Part 5 Answers


   মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2nd Series /Part 5
  নবম শ্রেণি 
   বাংলা 

১. কম-বেশি ১৫ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :

১.১ 'হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন' - কোন্ চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন ?
উত্তর :- সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত 'নব নব সৃষ্টি' শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত। ভাষা নিজস্বতা হল আত্মনির্ভরশীল থাকা। কিন্তু লেখক দেখেছে ভাষার মধ্যে বিভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথা প্রবন্ধিক বলেছেন।

১.২ 'এরই মাঝে বাংলার প্রাণ' - কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন ?
উত্তর :- 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাস নরম ধানের গল্প, কলমি শাকের ঘ্রণা, হাঁসের পালক, শহরের বন, চাঁদা সরপুঁটি মাছ এদের মৃদু আঁশটে ঘ্রাণ, কিশোরের পায়ে গলার মুথা ঘাস, লাল বট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা - এই সমস্ত কিছুর মাঝেই বাংলা প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন।

১.৩ 'এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে' - পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী ?
উত্তর :- স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবেল এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।

১.৪ 'যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া' - সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে ?
উত্তর :- 'আবহমান' কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উঠানের লাউ মাচাটার পাশে দাঁড়ালে দেখা যাবে ছোট একটা ফুল সন্ধ্যার বাতাসে ক্রমাগত দুলছে।

১.৫ 'তোমার বাড়ি কোথায় ? - রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল ?
উত্তর :- রাধারানী বলেছিল আমার বাড়ি শ্রীরামপুর।

২. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :

২.১ 'সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।' - প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন ?
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুস্তাফা আলী রচিত 'নব নব সৃষ্টি' নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে।
          সংস্কৃত ভাষার আত্মনির্ভরতার কারণ, ভাষাবিদ প্রবন্ধে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ভাষা নিয়ে চর্চার মধ্য দিয়ে লক্ষ্য করেছিলেন নতুন কোনো চিন্তা, অনুভূতি বা বাস্তবকে বোঝানোর জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা অহেতুক অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করে না। সংস্কৃত ভাষায় একমাত্র নিজস্ব ধাতু, শব্দ একটু অদলবদল করে সংস্কৃত ভাষা নতুন করে তৈরি করতে পারে। এই বিশেষ ক্ষমতার জন্য প্রাবন্ধিকের মতে, সংস্কৃত স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল ভাষা।

২.২ 'পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নিকো' - কোন্ কন্যার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে ?
উত্তর :- 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাস আলোচ্য উদ্ধৃতিতে কেশবতী কন্যা অর্থাৎ বাংলা সন্ধ্যাকালীন সৌন্দর্য্যকে দেখার কথা বলা হয়েছে।

২.৩ 'মরদ কি বাত কা দাঁত' - স্বামী বিবেকানন্দ কেন এই প্রবাদটি ব্যবহার করেছেন ?
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশটি স্বামী বিবেকানন্দ রচিত 'চিঠি' নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে।
        'মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত' কথাটির অর্থ হল খাঁটি পুরুষের কথা আর হাতির দাঁত একবার বের হলে আর তা আর ভিতরে যায় না। অর্থাৎ, যে যোগ্য পুরুষ তার কথার নড়চড় হয়না।
        প্রবাদটির ব্যবহারের কারণ মিস নোবেল ভারতে এসে মানুষের সহযোগিতার অভাব যেন বুঝতে না পারেন, সেজন্য স্বামী বিবেকানন্দ তাকে ভরসা প্রদান করেছেন। স্বামীজি জানিয়েছেন, ভারতের সংস্কারমূলক কাজের নিয়োজিত হওয়ার আদর্শ, পরিনাম, ভালো মন্দ যাই হোক তিনি সর্বদাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই মিস নোবেল-এর পাশে থাকবেন। স্বামীজি খাঁটি পুরুষ মানুষ, তাই তিনি মিস নোবেল এর কাছে নির্দ্বিধায় প্রতিজ্ঞা করেছেন, তাঁর কথা 'মরদ কা বাত হাত' তার কথার নড়চড় হবেনা।

২.৪ 'ফুরয় না সেই একগুঁইয়েটার দুরন্ত পিপাসা।' - কোন্ পিপাসাকে কেন দুরন্ত বলা হয়েছে ?
উত্তর :- কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'অন্ধকার বারান্দা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'আবহমান' কবিতা থেকে উপরিক্ত চরণটি নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় পিপাসা বলতে সেই সব প্রবাসী বাঙালিকে বোঝানো হয়েছে, যারা ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় এই বাংলার প্রাকৃতিক ও গ্রাম জীবনের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগের নেশায় বারে বারে ফিরে আসে। জন্মভূমি ছেড়ে যাকে চলে যেতে হয়েছে বিদেশে সে মাতৃভূমির প্রতি নির্যাতন ভোগ করে অনবরত। তাই পিপাসাকে দুরন্ত বলা হয়েছে।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দে) :

৩.১ 'বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।' - 'নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন ?
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত 'নব নব সৃষ্টি' নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে।
        প্রবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী তার দীর্ঘদিনের ভাষাচর্চা থেকে অনুভব করেছেন, বাঙালিরা রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে যখন যেখানে সত্যম্ শিবম্ সুন্দরের সন্ধান পেয়েছে, তাকে গ্রহণ করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছে।
        অর্থাৎ, বাঙালি জাতির প্রবন্ধকতা - ই হল সমাজের যা কিছু সত্যজিৎ সুন্দর অর্থাৎ চিরন্ত সত্য আনন্দময় তাকে আপন করে দেওয়া। বাঙালি জাতি সারা জীবন তাই-ই করেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে যখন যা কিছু তার সামনে নতুন মনে হয়েছে, আনন্দদায়ক মনে হয়েছে বাঙালি তাকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছে। এই কারণেই (ক) কলকাতার চলিত মুখের ভাষা কে কেন্দ্র করে কখনও রচিত হয়েছে সাহিত্য 'হুতোম প্যাঁচার নকশা' । (খ) কখনো ধর্মকে আশ্রয় করে বাঙালি গড়ে তুলেছে সাহিত্যের পরিমন্ডল 'পদাবলী কীর্তন'। (গ) আবার কখনও বাঙালি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রচনা করেছে আরবি - ফারসি মিশ্রিত ভাষার ধরন। (ঘ) কখনো আবার লোক সাহিত্য, গানে, বাঙালি গ্রহণ করেছে লৌকিক ভাষার ছোঁয়া।
          এইভাবেই গতানুগতিক প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই বাঙালি কখনো নতুনত্বকে বা আনন্দময় উপাদানকে অগ্রাহ্য করেনি। বড় প্রাচীন ও ইতিহাস সাথে, গতানুগতিক প্রথার সাথে বাঙালি বিদ্রোহ করেছে বারবার। এই বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই বাঙালি সমাজে, সাহিত্যে, রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছে নতুনত্ব। প্রাবন্ধিক এর মত অনুসারে এই ভাবেই বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ চিরকাল বিদ্যমান।

৩.২ 'আসিয়াছে শান্ত অনুগত/বাংলার নীল সন্ধ্যা' - 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন ?
উত্তর :- চিত্ররূপময় কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত 'রূপসী বাংলা' কাব্যের অন্তর্গত 'আকাশে সাতটি তারা' চতুর্দশপদী কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ আবহমান হৃদয় থেকে বাংলাদেশের একটি সন্ধ্যা কে কেন্দ্র করে কবিতাটি রচনা করেছেন। প্রকৃতি প্রেমি কবি জীবনানন্দ দাশ লক্ষ্য করেছেন বাংলার পল্লী প্রকৃতির এই বিরল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত বাকি পৃথিবী। কবি আর কোথাও দেখেনি সন্ধ্যায় এমন মোহময় রূপবতী কন্যা অজস্র চুলের মত আবেশে আচ্ছন্ন করেছেন হিজল - কাঁঠাল কিংবা জামগাছ কে। কবি নানা অনুষঙ্গে অনুভব করেছেন সন্ধ্যার স্নিগ্ধ গন্ধ। কখনো নরম ধানে, কলমি ঘ্রাণে, আবার কখনো হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা, সরপুঁটি দেয়ার মৃদুল ঘ্রাণে বাংলা সন্ধ্যা আমোদিত করে দেওয়া কবি কে। এসবের মাঝে কিশোরী স্নেহের পরশ, কিংবা কিশোরের পায়ে দলা মুথা ঘাস, লাল লাল বটে ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নিরবতায় কোভিদ স্পর্শ পান বাংলার সন্ধ্যাকালীন সমাহিত রূপের। প্রাকৃতিক এই সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয়েছে 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতায়, সেখানে অনাড়ম্বর, বৈভবহী আয়োজনে রয়েছে শুধুই সমাহিত শান্তি আফসার যা অতুলনীয় ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ করেছে।

৩.৩ 'চিঠি' অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও।
উত্তর :- স্বামীজির চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশীয় বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই তিনি তাঁর শিষ্য মিস নোবেল এর কথা লিখেছেন। তাকে তিনি এই চিঠিটা লিখেছেন। মিস মার্গরেট - ই নোবেল স্বামীজির কাছে  দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শে ভারতের নারী সমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। কলকাতায় বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।
        মিস হেনরিয়েটা মুলার সাময়িকীকে বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলার এর বাড়িতে স্বামী কিছুদিন অতিথি হিসেবে ছিলেন। মিস মুলার আজন্ম মৈত্রী মনোভাবাপন্ন। স্বামীজি বলেছেন যে, তার কিছুটা রুক্ষ মেজাজি ও অস্থি রচিত, তবে তিনি আবার সহৃদয় অমায়িক।
         মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি খুব প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার খুবই স্নেহময়ী। তার স্বামী ক্যাপ্টেন জে. এইচ. সেভিয়া দম্পতির একমাত্র ইংরেজ যারা এ দেশীয়দের ঘৃণা করেন না। তবে এদের কোন নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী নেই।
        স্বামীজির দুজন বন্ধু হল মিস ম্যাকলাউড ও বোস্টনের মিসেস বুল। তারা খুবই উপকারী। স্বামীজিকে নানান কাজে সাহায্য করেছে ম্যাকলাউড, আর মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনের অনেক অর্থ সাহায্য করেছেন। স্বামীজি তাঁর একজন ইংরেজ ভক্ত মিঃ স্টার্ভির কথা বলেছেন। তিনি স্বামীজিকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে সাহায্য করেছিলেন।

৩.৪ 'নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না' - পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'আবহমান' কবিতার অংশবিশেষ। লোক কাহিনীর গল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নটে গাছটি মুড়িয়ে যায়। তবে কবিতায় নটে গাছটি মুড়িয়ে যায়না, কিন্তু বুড়িয়ে যায়। অর্থাৎ একটা চিরন্তন প্রবাহমানতার কথা এখানে ফুটে উঠেছে। কালের নিয়মে মানুষ শৈশব থেকে বার্ধক্যে উপনীত হলেও তার প্রকৃতিললিত আজন্ম চেনা উঠান লাউ মাচা কুন্দ ফুল শান্ত নদীর হওয়ায় পরিপূর্ণ মাতৃভূমির স্বরূপ, কখনো স্মৃতি পট থেকে মুছে যায়না। তাই ব্যক্তির  বার্ধক্য যে শৈশব স্মৃতিকে নষ্ট করতে পারে না তা বোঝাতে এমন উক্তি।

৩.৫ 'তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে' - কাদের কথা বলা হয়েছে ? পাঠ্যাংশ অনুসরনে তাদের দারিদ্র্য এবং নির্লোভতার প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
উত্তর :- আলোচ্য উদ্ধৃতিতে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'রাধারানী' উপন্যাসের অন্তর্গত প্রথম পরিচ্ছেদ থেকে গৃহীত। এখানে রাধারানীর কথা বলা হয়েছে।
           পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে সহায় সম্বলহীনা রাধারানী ও তার মা সম্পত্তি  সংক্রান্ত মামলায় পরাজিত ও সর্বস্বান্ত হয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে এক নিতান্ত কুটিরে নিদারুন দারিদ্র্যে দিনযাপন করতে থাকে। রথের পূর্বে রাধারানীর মা গুরুতর পীড়িতা হলে তার পথ্যের সংস্থানে রাধারানী বোন ফুলের মালা গেঁথে মহাশের রথে হাটে বিক্রি করতে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে হাট ভেঙে যায়। মালা বিক্রিতে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে রাধারানী যখন অশ্রুসজল চোখে বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়, তখন তার সঙ্গে সাক্ষাত ঘটে এক আগন্তুকের। অচেনা সে আগন্তুক রাধারানীর সঙ্গে কথোপকথন কালে তার অসহায় তার কথা জেনে মালা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। রাধারানী হয় উপকারী সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দান গ্রহণে। শুধু তাই নয়, সে ব্যক্তি দয়া পরবশ হয়ে মালার নির্ধারিত মূল্যে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করেন। রাধারানীর জন্য শাড়ি কিনে পাঠাই এমনকি একটা নোট ফেলে যান তাদের বাড়িতেই কিন্তু ফেলে যাওয়া নোটে তারা ভাঙায় না। অর্থের প্রয়োজন তাদের ছিল ঠিকই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। তারা বর্তমানে দরিদ্র, অসহায় বলে রুক্সিণীকুমার ব্যঙ্গ করেছে আর সেই জানে তাদের সমস্যা সমাধান হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থে প্রতি তাদের কোন লোভ ছিল না বলেই সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তারা তার সন্ধান করছিল।



***** সমাপ্ত ******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ