MODEL ACTIVITY TASK CLASS 7 HISTORY PART 6 ANSWERS
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
সপ্তম শ্রেণি
ইতিহাস / History
১. বেমানান শব্দ বা নামটি চিহ্নিত করো :
১.১ বাবর, হুমায়ুন, শেরশাহ, আকবর
উত্তর :- শেরশাহ
১.২ প্রতাপাদিত্য, কেদার রায়, ইশা খান, বৈরম খান
উত্তর :- বৈরম খান
১.৩ জাবত, কানুনগো, কারোরী, জিজিয়া
উত্তর :- জিজিয়া
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :
২.১ 'দাগ' ও 'হুলিয়া' ব্যবস্থা চালু রাখেন শেরশাহ।
উত্তর :- সত্য।
২.২ ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে হলদিঘাটির যুদ্ধে আকবর রানা প্রতাপকে পরাজিত করেছিলেন।
উত্তর :- সত্য।
২.৩ মনসবদারি ও জায়গিরদারি ব্যবস্থা বংশানুক্রমিক ছিল।
উত্তর :- সত্য।
৩. সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৫০ টি শব্দ)
৩.১ 'দাক্ষিণাত্য ক্ষত' বলতে কী বোঝ ?
উত্তর :- ঔরঙ্গজেবের আমলে সপ্তদশ শতকে মারাঠাদের শক্তি যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। ঔরঙ্গজেবের ভাবনায় ছিল যে তিনি দক্ষিণ রাজ্য গুলিকে পরাজিত করে সেখান থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা, সাথে মারাঠাদের শক্তি কে দমন করতে পারবে। মুঘলরা ঔরঙ্গজেবের সময়কালে বিজাপুর ও গোলকোন্ডা দখল করে, ফলত মুঘলদের বিস্তার আরও বেড়ে যায়। কিন্তু পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুঘলদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়। মারাঠা নেতা শিবাজিকেও স্বাধীন রাজা বলে মেনে নিতে হয়। পঁচিশ বছর ধরে যুদ্ধ করে ঔরঙ্গজেব শেষে দাক্ষিণাত্যতেই মারা গেলেন।
৩.৪ 'দীন-ই ইলাহি কী ?
উত্তর :- মুঘলদের শ্রেষ্ঠ সম্রাট আকবর ১৫৭০ সালে ফতেপুর, সিকরিতে নানা ধর্মের গুরুদের জমায়েত করে ধর্মীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করতেন। এইসব আলোচনাকে ভিত্তি করে তিনি 'দীন-ই-ইলাহি' নামে এক নতুন মতাদর্শ চালু করেন। ফরাসি শব্দ 'দীন-ই-ইলাহি' এর অর্থ হলো ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস, আবুল ফজল ও বাদাউনি, এই ধর্মমত কে স্বর্গীয় একেশ্বরবাদ বলে উল্লেখ করেছেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় গুরুরা বাদশাহের প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত থাকার শপথ নিত।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (১০০-১২০ টি শব্দ)
শেরশাহের যে - কোনো দুটি প্রশাসনিক সংস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর :- শেরশাহের দুটি প্রশাসনিক সংস্কার নিচে আলোচনা করা হলো :-
(ক) শেরশাহের আমলে কৃষককে পাট্টা দিতেন। এই পাট্টায় কৃষকের নাম, জমিতে অধিকার, কত রাজস্ব দিতে হবে প্রভৃতি লেখা থাকত। তার বদলে কৃষক রাজস্ব দিতে বাধ্য হলে কাবুলিয়ত নামে অন্য একটি দলিল রাষ্ট্র কে দিত।
(খ) যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো করার জন্য শেরশাহ রাস্তা ঘাট নির্মাণ করেন। শেরশাহ বাংলার সোনারগাঁ থেকে উত্তর থেকে পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার অবধি বিস্তৃত একটি সড়ক সংস্কার করান, রাস্তাটির নাম ছিল সড়ক-ই-আজম। এই রাস্তাটি পরবর্তীতে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড নামে খ্যাত হয়। এছাড়াও তিনি আগ্রা থেকে চিতোর পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করেন এবং লাহোর থেকে মুলতান পর্যন্ত আর একটি রাস্তা তৈরি করেন। এছাড়াও পথিক ও বণিকদের সুবিধার্থে রাস্তার ধারে ধারে অনেক সরাইখানা তৈরি করা হয়। ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক ব্যবস্থার উন্নতি হয়। দাগ ও হলিয়া নামে দুটি কর ব্যবস্থা শুরু করেন শেরশাহ। যাতে সেনা বাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ সর্বদা বজায় থাকে।
******* সমাপ্ত *******