MODEL ACTIVITY TASK CLASS 5 BENGALI PART 6 ANSWERS
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 6
পঞ্চম শ্রেণি
বাংলা / Bengali
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ 'কেউ করে না মানা।' - কার কোন্ কাজে কেউ নিষেধ করে না ?
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো মেঘেদের কথা বলা হয়েছে। তারা আকাশের বুকে ভেসে বেড়ায় আর নানা দেশে ঘুরে বেড়িয়ে ছায়া ও বৃষ্টির খেলা দেখায়। তাদের এইভাবে যেখানে সেখানে ঘুরে বেরিয়ে খেলা করতে কোন বাধা নেই, কেউ তাদের বকে না বা নিষেধ করে না।
১.২ 'এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।' - কী চাষের সময় কুমির একথা বলেছিল ?
উত্তর :- উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর লেখা 'বোকা কুমিরের কথা' গল্পে কুমির ধান চাষের সময় একথা বলেছিল। কারণ, সে ভেবেছিল আলুর মতো ধানও বুঝি মাটির নীচেই ফলে।
১.৩ 'মাঠ মানে কী অথই খুশির অগাধ লুটোপুটি !' - 'অথই' এবং 'অগাধ' শব্দ দুটির অর্থ লেখো।
উত্তর :- অথই' শব্দটির অর্থ হল যার তল নেই এমন গভীর এবং অগাধ' শব্দটির অর্থ হল প্রচুর বা সীমাহীন।
১.৪ 'ঝড়' কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম লেখো।
উত্তর :- ঝড় কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম হল চাপা গাছ ও বকুল গাছ।
১.৫ 'ট্যাক্' শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর :- ট্যাক্' শব্দের অর্থ হল দুটো ছোট নদী মেশার ফলে তৈরি হওয়া ত্রিভুজ খন্ডের জমির মাথা।
১.৬ 'রূপালি এক ঝালর' - কবি কোথায় 'রূপালি ঝালর' দেখেছেন ?
উত্তর :- কবি অশোক বিজয় রাহা ভোরবেলায় মায়াতরুর সামনে গিয়ে দেখতে পান যে গাছের তলায় শিশির জমে আছে, আর রোদের আলোয় সেই শিশির ঢাকা মাটি দেখে মনে হচ্ছে যেন ঝকঝকে এক রুপালি ঝালর পড়ে আছে।
১.৭ 'করুণা করি বাঁচাও মোরে এসে' - কখন ফণীমনসা একথা বলেছে ?
উত্তর :- ফণীমনসা ও বনের পরী' রচনায় ফণীমনসা একথা তিনবার বলেছেন। প্রথমবার যখন ডাকাতরা তার সোনার পাতাগুলো ছিঁড়ে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়বার ভয়ানক ঝড়ে তার কাঁচের পাতাগুলো ধাক্কা খেয়ে গুড়ো গুড়ো হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার সময়। আর তৃতীয়বার যখন ছাগল এসে তার কচি কচি পাতাগুলো খেয়ে ফেলে। তখন ফণীমনসা একথা বলেছিল।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ 'মাঠ মানে তো সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ' - পঙক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তর :- শাশ্বত শব্দের অর্থ যা চিরন্তন। কবির কাছে, মাঠ মানে ছুটি পাওয়ার মজা। মাঠ মানে যেখানে খুশি লুটপুটি খাওয়া, হই হল্লায় মেতে ওঠা। মাঠে ছড়ানো মন কেমন করে বাঁশির সুর যেন ঘুম তাড়িয়ে দেয়। সবুজ খোলা প্রান্তরে ছুটে বেড়ানোর, খেলা করার ও মনের খুশিতে তাধিন তাধিন নৃত্য করার যে মজা তা আমাদের উজ্জীবিত করে তোলে। তাই সজীবতায় ভরা মাঠে যেন প্রাণশক্তির চিহ্ন স্বরূপ প্রদীপ চীরকাল জ্বলজ্বল করছে।
২.২ 'ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত বলো'। - বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে ব্যাঙ কী করেছিল ?
উত্তর :- পৃথিবীতে খরা হওয়ার ফলে সব জীবজন্তু খুব নাকাল হয়ে পড়েছিল। মানুষ পশু গাছপালা ধ্বংস হয়ে যেতে লাগল। তখন ব্যাঙ সানন্দে বৃষ্টির খোঁজ নিতে রাজি হল। দীর্ঘ যাত্রা শেষে ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছাল। সেখানে গিয়ে তারা দেখল সবাই নানান ভোজ ও আনন্দ-উৎসবে ব্যস্ত। ব্যাঙ বুঝতে পারল কেন রাজ্যে এত অভাব, এত কষ্ট। রাগে উত্তেজিত হয়ে তারা গেল ভগবানের কাছে। তাদের দেখে ভগবান তার মন্ত্রীদের ডাকল এবং তাদের গাফিলতির জন্য তিরস্কার করল। এরপর তাদের জয়ের জন্য গর্বিত ব্যাঙ তখনই উল্লসিত হয়ে সরবে পুকুরে ফিরে গেল। তারপর থেকে যখনই ব্যাঙ ডাকে, তখনই বৃষ্টি নামে।
২.৩ '- ঝড় কারে মা কয় ?' - কবিতায় শিশুটি নিজের এই প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিয়েছে ?
উত্তর :- শিশুটি যখন মাঠের ধারে খেলছিল তখন হটাৎ আকাশ কালো করে, ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে ঝড় এসে হাজির হল। ঝড়ে প্রকৃতির রূপ দেখে শিশুটির খুব ভালো তার মনে হল সে যেমন দস্যিপনা করে ঘরের মেঝের উপর কালি ঢেলে দেয় তেমনি যেনো কোন দস্যি ছেলে আকাশের উপর মেঘ-রুপি কালি ঢেলে দিয়েছে। আকাশে চমকে ওঠা বিদ্যুৎ দেখে শিশুটির মনে হয়েছিল কে যেন তার কোমল ঠোঁট মেলে হেসে উঠছে। ঝড়ের মেঘ বুঝি কোনো দস্যি ছেলে যে তার দামাল খেলার শেষে আবার সাত সাগরের পাড়ে লুকিয়ে পড়ে।
২.৪ 'তাদের কথা বলার শক্তি নেই।' - কখন এমন পরিস্থিতি হলো ?
উত্তর :- ধনাই, কফিল ও আর্জান সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহে গিয়েছিল। মধু নিয়ে আসার সময় ধনাই যখন মাথায় মধুর কলসি নিয়ে সরু খাদ অর্থাৎ শিষে পার করছিল সেই সময় হটাৎ বিকট হুঙ্কার করে তার উপর এক বাঘ লাফিয়ে পড়ে। আর্জান ও কফিল মৌমাছির হাত থেকে বাঁচার জন্য ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে ছিল। বাঘের সেই বিকট হুঙ্কার শুনে তারা হতভম্ব হয়ে যায়। তারা আর কথা বলার মতো অবস্থায় থাকে না।
২.৫ 'ভেবে পাই নে নিজে' - কবি কী ভেবে পান না ?
উত্তর :- কবি অশোকবিজয় রাহা 'মায়াতরু' কবিতায় এক মায়াবী গাছের কথা বলেছেন। সন্ধ্যের অন্ধকারে গাছটি ডালপালা নাড়িয়ে ভূতের মত নাচ করত। আবার যখন চাঁদ উঠত তখন চাঁদের আলোয় ঝাকড়া গাছটিকে দেখে মনে হত ভাল্লুক। বৃষ্টিতে ভেজার পর গাছের পাতায় জমে থাকা জলের উপর আলো পড়লে মনে হত সে বুঝি লক্ষ হীরের মাছের মুকুট পড়েছে। ভোরবেলার আবছায়াতে যে গাছটিতে নানা আজব কান্ড ঘটত। এইসব অদ্ভুত কান্ডের রহস্যের কথাই কবি ভেবে উঠতে পারেন না।
২.৬ 'ফণীমনসা ও বনের পরি' নাটকে সূত্রধারের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর :- নাটকে সূত্রধারের ভূমিকা হল সংলাপ ছাড়াও নাটকে ঘটে যাওয়া অন্যান্য ঘটনাকে বর্ণনা করে গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। 'ফণীমনসা ও বনের পরী' নাটকে সূত্রধার প্রথমে ফণীমনসার দুঃখের কথা বর্ণনা করেছেন। এরপর কবিতার আকারে বলা নানা চরিত্রের সংলাপের মাঝে মাঝে সে গদ্যের আকারে ঘটনাগুলির কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন ডাকাতদলের আগমন, ফণীমনসার পাতা ছিঁড়ে নেওয়া, কাঁচের পাতায় সেজে ওঠা ফণীমনসাকে কেমন লাগছিল দেখতে তার বর্ণনা , ঝড়ে কাঁচের পাতা ভেঙ্গে যাওয়া, ছাগলে ফণীমনসার কচি পাতা খেয়ে ফেলা এসব ঘটনার যোগসূত্র সূত্রধার ঘটিয়েছেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় এবং ক্রিয়া যোগে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর :- রাম ও তার বোন বড় দীঘির পাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিল।
> এখানে বিশেষ্য = রাম, বিশেষণ = বড়, সর্বনাম = তার, অব্যয় = ও, ক্রিয়া = দেখছিল।
৩.২ 'নাম বিশেষণ' এবং 'ক্রিয়া বিশেষণ' বলতে কী বোঝ ?
উত্তর :-
নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য পদের বৈশিষ্ট্য, ধর্ম, গুণাগুণ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা, ক্রম, মাত্রা ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে।
যেমন - রহিত লাল জামা গায়ে দিয়েছে।
> এই বাক্যে 'লাল' পদটি 'জামা' বিশেষ্যের পরিচয় বা গুণাগুণ স্পষ্ট করছে। তাই লাল পদ নাম বিশেষণ।
ক্রিয়া বিশেষণ : যে সব বিশেষণ পদ ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে, তাদের ক্রিয়া-বিশেষণ বা ক্রিয়ার বিশেষণ বলে।
যেমন - গাড়িটি জোরে ছুটছে।
> উপরের উদাহরণে 'জোরে' পদটি ক্রিয়াবিশেষণ।
৩.৩ 'আ' এবং 'ই/ঈ' যোগে পাঁচটি করে স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ তৈরি করো।
উত্তর :-
'আ' যোগে পাঁচটি স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ
- সদস্য + আ = সদস্যা
- প্রথম + আ = প্রথমা
- শিষ্য + আ = শিষ্যা
- সুমন + আ = সুমনা
- নবীন + আ = নবীনা
'ই/ঈ' যোগে পাঁচটি করে স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ
- ছাত্র + ঈ = ছাত্রী
- মামা + ই = মামি
- তাপস + ঈ = তাপসী
- তরুণ + ঈ = তরুণী
- চাচা + ই = চাচি
******** সমাপ্ত ******