১. সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :-
(ক) ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে ______ কে বাংলার নাজিম পদ দেওয়া হয় (মুর্শিদকুলি খান/সাদাৎ খান/আলিবর্দি খান)।
উত্তর :- মুর্শিদকুলি খান।
(খ) ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে _____ এর নেতৃত্বে অযোধ্যা এবং স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে গড়ে ওঠে (নিজাম-উল-মূলক/সাদাৎ খান/সফদর জং)।
উত্তর :- সাদাৎ খান।
(গ) ১৭২৪ খ্রিষ্টাব্দে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন _____ (ফররুখশিয়ার/নিজাম-উল-মূলক/সাদাৎ খান)।
উত্তর :- নিজাম-উল-মূলক।
২. সঠিক তথ্য দিয়ে নিচের ছকটি পূরণ করো :-
উত্তর :-
৩. সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০ - ৪০ টি শব্দে) :-
(ক) কে, কি উদ্দেশ্যে সিভিল সার্ভিস চালু করেন ?
উত্তর :- ভারতের সিভিল সার্ভিস এর প্রকৃত প্রবর্তক ছিলেন লর্ড কর্নওয়ালিস। প্রশাসনিক কাজের মানকে আরো উন্নত ও দ্রুতগামী করার জন্য সিভিল সার্ভিস চালু করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির শাসনকালে আমলাতন্ত্রকে সংগঠিত করাা। এছাড়াও ব্রিটিশ প্রশাসনকে দুর্নীতি মুক্ত করে গড়ে তোলা।
(খ) ব্যাপটিস্ট মিশন শিক্ষার প্রসারে কেমন ভূমিকা পালন করেছিল ?
উত্তর :- ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষাা প্রবর্তনের ভিত্তিভূমি তৈরি করেন ইউরোপীয় খ্রিস্টান মিশনারী। ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে ব্যাপটিস্ট মিশন নারীদের অবদান স্মরণীয়।
ব্যাপটিস্ট মিশনারি তিন সদস্য ছিলেন উইলিয়াম কেরি, জোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড। এই তিনজন একত্রে শ্রীরামপুরে ছাপাখানা, ও সমাচার দর্পণ পত্রিকা প্রকাশ করেন। এছাড়াও ২৬ টি আঞ্চলিক ভাষায় বাইবেল অনুবাদ এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (১২০ - ১৬০ টি শব্দে) :-
জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিল ?
উত্তর :- ভারতের ঔপনিবেশিক প্রশাসন রাজস্ব ব্যবস্থা নিয়ে নানান রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে ছিল তাদের মধ্যে জমি জরিপ করা ও তার ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারন করা প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ন ছিল। জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোম্পানিকে নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছিল সেগুলি হল -
জমি জরিপ : ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর ষুদ্ধের পর রবার্ট ক্লাইভ নতুন জমিদারি জরিপের জন্য এক দল খোঁজ করতে থাকেন। অবশেষে ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে নতুুুুুন ২৪ পরগনার জমি জরিপের কাজ শুরু করেন তবে তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন হগ ক্যামেরন।
নদীপথ : ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতের সার্ভেয়ার জেনারেল সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন জেমস রেনেলকে। তিনি বাংলা নদীপথগুলি জরিপ করে মোট ১৬ টি মানচিত্র তৈরি করেছিলেন। সেই প্রথম বাংলার নদীর গতিপথের মানচিত্র বানানো হয়।
বোর্ড অফ রেভিনিউ গঠন : বাংলার জমি জরিপ করে কোম্পানি রাজস্ব নির্ণয় বিষয়ে তৎপর হয়ে ওঠে। ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দের মুর্শিদাবাদে কাউন্সিল অফ রেভিনিউ তৈরি হয়। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে কমিটি অফ রেভিনিউকে নতুন করে সাজিয়ে তার নাম দেওয়া হয় বোর্ড অফ রেভিনিউ।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু : ইজারাদারি ব্যবস্থা সফল না হওয়ায় ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির দশশালা ব্যবস্থা্ চালু করে। পরে কর্নওয়ালিস এসব বন্দোবস্ত তুলে দিয়ে বাংলায় ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দেবস্ত চালু করেন।
***** সমাপ্ত *****