১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :-
১.১. ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো -
(ক) অন্তঃকেন্দ্রমন্ডল - পদার্থের তরল অবস্থা
(খ) বহিঃকেন্দ্রমন্ডল - পদার্থের ঘনত্ব সর্বাধিক
(গ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার - পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি
(ঘ) ভূত্বক - লোহা ও নিকেলর আধিক্য
উত্তর :- (গ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার - পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি
১.২. রকি ও আন্দিজ পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছে - (ক) মহাসাগরীয় - মহাসাগরীয় অপসারী পাতসীমানা বরাবর
(খ) মহাসাগরীয় - মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
(গ) মহাদেশী - মহাদেশীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
(ঘ) মহাদেশী - মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
উত্তর :- (ঘ) মহাদেশী - মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর।
১.৩. উত্তর ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে - (ক) পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
(খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে
(গ) বাংলাদেশ ও ভুটানের সঙ্গে
(ঘ) মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
উত্তর :- (খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে।
২. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :-
২.১. কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয় ?
উত্তর :- সিসমোগ্রাফ।
২.২. কোন্ প্রকার শিলার স্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায় ?
উত্তর :- পাললিক শিলা।
২.৩. ভারতের কোন্ প্রতিবেশী দেশ মশলা উৎপাদনে বিখ্যাত ?
উত্তর :- শ্রীলঙ্কা।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :-
৩.১. ভূ-অভ্যন্তরের কোন্ স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে ?
উত্তর :- চাপ ঘনত্বের আধিক্যের জন্য পৃথিবীর বহি কেন্দ্রমন্ডল অর্ধ কঠিন অবস্থায় পৃথিবীর অক্ষের চারদিকে আবর্তন করে চলেছে। সান্ত্র অবস্থায় এই স্তরের প্রধান উপাদান লোহা ও চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয়। তাই তীব্র গতিতে ঘুরতেে ঘুরতে অর্ধ গলিত লোহা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করে চলেছে। আর এই থেকে সৃষ্টি হয়েছেে পৃৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র।
৩.২. অভিসারী পাতসীমানাকে কেন বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :- যখন পাতগুলি পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয় তখন তাকে অভিসারী পাতসীমানা বলেে। মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় পাত পরস্পরের দিকে চললে ভারী মহাসাগরীয় পাত হালকা মহাদেশীয় পাতের নিচেে নিমজ্জিত হয়। ফলে তৈরি হয় গভীর সমুদ্র খাত। যেমন, মারিয়ানা খাত।
এই নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশে থাকে এবং বাইরে এসে অনেক সময় আগ্নেয় দ্বীপ সৃষ্টি করে। ভূত্বকের এই অংশ অস্থির থাকায় প্রায় ভূ-আলোড়ন ও ভূমিকম্প দেখা যায়। তাই এই পাত সীমানা কে বিনাশকারী পাত সীমানা বলে।
৪. উদাহরণসহ উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়শিলার শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর :- উত্তপ্ত তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণ করে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময় ভূত্বক ও ভূ-অভ্যন্তরে বিভিন্ন উপাদান জমাট বেঁধে জেলার সৃষ্টিি করে তাকে আগ্নেয় শিলাা বলে। যেমন - ব্যাসল্ট, গ্রানাইট।
উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয় শিলার দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা :- নিঃসারী আগ্নেয় শিলা ও উদবেধী আগ্নেয় শিলা।
নিঃসারী আগ্নেয় শিলা : ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়েে বাইরে বেরিয়ে এবং লাভা রূপে প্রবাহিত হওয়ার সময় শীতল ও কঠিন হয়ে যে আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি করে তাকে বলে নিঃসাারী আগ্নেয় শিলাা। যেমন - ব্যাসল্ট।
উদবেধী আগ্নেয় শিলা : ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পেরে ভূগর্ভের ভেতরেই শীতল ও কঠিন হয়ে আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি করে তাকে বলে উদবেধী আগ্নেয় শিলা। যেমন - গ্রানাইট।
উদবেধী আগ্নেয় শিলাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়, পাতলিক ও উপ-পাতলিক। পাতলিক উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূপৃষ্ঠের অনেকটা নিচে ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে যে আগ্নেয় শিলার গঠন করে তাকে বলে পাতলিক শিলা। যেমন- গ্রানাইট উপ-পাতলিক উত্তপ্ত পদার্থ ভূপৃষ্ঠে না পৌঁছে ভূত্বকের দুর্বল ও কঠিন শিলার সৃষ্টি করে, তাকে উপ-পাতলিক শিলা বলে। যেমন - ডলেবাইট।
****** সমাপ্ত ****