Anwar Study Point

সফলতার সাথী

Breaking

শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২

বাংলা ব্যকরণের গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি প্রশ্নের উত্তর


গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি প্রশ্নের উত্তর 

১. ভাষা কাকে বলে ?
উত্তর :- মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত অর্থযুক্ত ধ্বনি সমষ্টিকে ভাষা বলে।

২. ভাষার মূল উপাদান কী ?
উত্তর :- ভাষার মূল উপাদান হল অর্থবহ ধ্বনি।

৩. ভাষার ব্যবহারিক দিকগুলি কী কী ?
উত্তর :- ভাষার ব্যবহারিক দিকগুলি হল - বলা, পড়া এবং লেখা।

৪. ব্যকরণ কাকে বলে ?
উত্তর :- যে বই পড়লে আমরা ভাষার গঠন, অর্থপ্রকাশের বৈশিষ্ট্য ও ভাষার রূপনীতিকে বিশ্লেষণ করতে পারি, তাকে ব্যকরণ বলে।

৫. বাংলা ভাষার কটি রূপ ?
উত্তর :- বাংলা ভাষার দুটি রূপ - ১. কথ্য ভাষা ২.লেখ্য ভাষা।

৬. লেখ্য ভাষার রূপগুলি বর্ণনা করো।
উত্তর :- লেখ্য ভাষার দুটি রূপ - গদ্য ও পদ্য। গদ্যের দুটি রূপ - সাধু ও চলিত। পদ্যের তিনটি রূপ - সাধু, চলিত ও মিশ্র।

৭. ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- মানুষের বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত অর্থপূর্ণ শব্দ বা আওয়াজকে ধ্বনি বলে।

৮. বর্ণ কাকে বলে ?
উত্তর :- মানুষের মুখে উচ্চারিত ধ্বনির লিখিত রূপকে বলে বর্ণ।

৯. বর্ণ কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তর :- বর্ণ দুই প্রকার - স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ।

১০. হ্রস্বস্বর কাকে বলে ?
উত্তর :- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে কম শ্বাসবায়ু লাগে, তাকে হ্রস্বস্বর বলে। যেমন - অ, ই, উ, ঋ।

১১. দীর্ঘস্বর কাকে বলে ?
উত্তর :- যে স্বরধ্বন উচ্চারণে শ্বাসবায়ু বেশি প্রয়োজন হয় এবং অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে, তাকে দীর্ঘস্বর বলে। যেমন - আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ।

১২. প্লুতস্বর কাকে বলে ?
উত্তর :- দূর থেকে কাউকে ডাকা, গানে, আবৃত্তিতে যখন স্বরধ্বনিকে দীর্ঘ করা হয়, তখন তাকে প্লুতস্বর বলে। যেমন - জনগণমন অধিনা-আ-আ... য়ক জয় হে-এ-এ....। 

১৩. শব্দগঠনে স্বরবর্ণের যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে কী বলে ?
উত্তর :- শব্দগঠনে স্বরবর্ণের যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে 'কার' বলে। যেমন - আ-কার(া), ই-কার(ি), উ-কার(ু) ইত্যাদি।

১৪. স্বরধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে শ্বাসবায়ু বাগযন্ত্রের কোথাও বাধা পায়না, তাকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন - অ, আ, ই ইত্যাদি।

১৫. ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে শ্বাসবায়ু বাগযন্ত্রের কোথাও না কোথাও বাধা পায়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।

১৬. বর্গীয় ধ্বনিতে মােট কতগুলি ধ্বনি আছে ?
উত্তর :- বর্গীয় ধ্বনিতে মােট ২৫টি ধ্বনি আছে।

১৭. বর্গ মােট কয়টি ? প্রতিটি বর্গের উচ্চারিত ধ্বনির নাম লেখাে।
উত্তর :- বর্গ মােট পাঁচটি। ক-বর্গ, চ-বর্গ, ট-বর্গ, ত-বর্গ, প-বর্গের উচ্চারিত ধ্বনির নাম যথাক্রমে কণ্ঠ্য ধ্বনি, তালব্যধ্বনি, মূর্ধণ্যধ্বনি, দন্ত্যধ্বনি ও ওষ্ঠ্যধ্বনি।

১৮. অল্পপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে শ্বাসবায়ু কম লাগে, তাকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। প্রতিটি বর্গের প্রথম ও তৃতীয় ধ্বনিগুলি অল্পপ্রাণ ধ্বনি। যেমন ক, চ, ট, ত, প, গ, জ, ড, দ, ব। 

১৯. মহাপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করতে বেশি শ্বাসবায়ু লাগে। তাই এগুলিকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। যেমন খ, ছ, ঠ, থ, ফ, ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ভ।

২০. অঘােষ ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করার সময় কণ্ঠস্বরে গাম্ভীর্য প্রকাশ পায় না। তাই এগুলিকে অঘােষধ্বনি বলে। যেমন ক, খ, চ, ছ, ট, ঠ, ত, থ, প, ফ। 

২১. ঘােষ ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম ধ্বনিগুলি উচ্চারণের সময় কণ্ঠস্বরে গাম্ভীর্য প্রকাশ পায় বলে এই ধ্বনিগুলিকে ঘােষ ধ্বনি বলে। যেমন গ, ঘ, ঙ, জ, ঝ, ঞ ইত্যাদি।

২২. নাসিক্য ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- ঙ ঞ ণ ন ম এই পাঁচটি ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু কিছুটা নাক দিয়ে প্রবাহিত হয়। তাই এদের নাসিক্যধ্বনি বলে।

২৩. উষ্মধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- শ ষ স এবং হ এই ধ্বনিগুলি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ুর প্রাধান্য থাকে এবং শ্বাসবায়ু শিস দেওয়ার মতাে আওয়াজ সৃষ্টি করে। তাই এদের উষ্মধ্বনি বলে। উষ্ম কথার অর্থ শাসবায়ু।

২৪. অন্তঃস্থ ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- য র ল ব এই ধ্বনিগুলি স্পর্শধ্বনি ও উষ্মধ্বনির মাঝে অবস্থান করে এবং এদের উচ্চারণ প্রবণতা স্বর ও ব্যঞ্জনের মাঝামাঝি। তাই এদের অন্তঃস্থ ধ্বনি বলে। 

২৫. অযােগবাহ ধ্বনি কাকে বলে ?
উত্তর :- যে ধ্বনি অন্য ধ্বনির সঙ্গে যােগ না-হলে উচ্চারিত হয় না, তাকে অযােগবাহ ধ্বনি বলে। যেমন ং, ঃ।

২৬. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রা কত রকমের ও কী কী ?
উত্তর :- মাত্রা তিন রকমের, পূর্ণমাত্রা অ আ ক ইত্যাদি। আংশিক বা অর্ধমাত্রা খ গ ঝ ইত্যাদি ও মাত্রাহীন ও এ ঐ। 

২৭. দল বা অক্ষর কাকে বলে ?
উত্তর :- বাগযন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়াসে একটি শব্দের যতটুকু অংশ আমরা একবারে উচ্চারণ করতে পারি, তাকে দল বা অক্ষর বলে। যেমন খাতা → খা-তা - দুটি দল। 

২৮. দল কত রকম ও কী কী ?
উত্তর :- দল দু-রকম। ১) মুক্তদল বা স্বরান্ত অক্ষর, ২) রুদ্ধদল বা হলন্ত বা ব্যঞ্জনান্ত অক্ষর। 

২৯. মুক্তদল কাকে বলে ?
উত্তর :- একটি স্বরধ্বনি নিয়ে তৈরি কোনাে দল বা যে দলের শেষে স্বরধ্বনি থাকে, তাকে মুক্তদল বলে। যেমন - ও, জামা - জা-(জ+আ)-মা(ম+আ) দুটোই মুক্তদল। 

৩০. রুদ্ধদল কাকে বলে ? 
উত্তর :- যে দল বা অক্ষর ব্যঞ্জনধ্বনি বা অর্ধস্বর দিয়ে শেষ হয়, তাকে রুদ্ধদল বলে। যেমন- মাছ, চশমা। মাছ - একটাই দল → রুদ্ধদল, চশমা - চশ্-মা, চশ্ রুদ্ধদল।

************সমাপ্ত *****************

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন