Type Here to Get Search Results !

Class 9 Geography Model Activity Task Part 6 / মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নবম শ্রেণি ভূগোল পার্ট 6


MODEL ACTIVITY TASK CLASS 9 GEOGRAPHY PART 6 ANSWERS

  মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
 নবম শ্রেণি
 ভূগোল ও পরিবেশ

১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :

১.১ অক্ষরেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো -
(ক) সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান 0° (খ) প্রতিটি অক্ষরেখা মহাবৃত্ত
(গ) অক্ষরেখাগুলি পরস্পরের সমান্তরাল (ঘ) প্রতিটি অক্ষরেখার পরিধি সমান
উত্তর :- (গ) অক্ষরেখাগুলি পরস্পরের সমান্তরাল ।

১.২ বিদার অগ্ন্যুদ্গমের মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপ হলো -
(ক) স্তূপ পর্বত (খ) লাভা মালভূমি
(গ) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি (ঘ) আগ্নেয়গিরি
উত্তর :- (ঘ) আগ্নেয়গিরি। 

১.৩ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো -
(ক) দামোদর নদী - পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল
(খ) কালিম্পং জেলা - সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান
(গ) পডজল মৃত্তিকা - পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল
(ঘ) অ্যালপাইন উদ্ভিদ - সুন্দরবন অঞ্চল
উত্তর :- (খ) কালিম্পং জেলা - সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান 

২. শূন্যস্থান পূরণ করো :

২.১ দ্রাঘিমারেখাগুলি নিরক্ষরেখাকে __________ কোণে ছেদ করেছে।
উত্তর :- সমকোণে। 

২.২ আবহবিকারগ্রস্ত শিলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মূল শিলার উপর যে শিথিল আবরণ তৈরি করে তাকে __________ বলে।
উত্তর :- রেগোলিথ।

২.৩ দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নিত্যবহ নদী হলো ____________।
উত্তর :- তিস্তা। 

৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

৩.১ আবহবিকারে প্রাণীদের ভূমিকা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :- ভূমির আবহবিকারে প্রাণীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যান্ত্রিক ও রাসায়নিক উভয় পদ্ধতিকে অবলম্বন করে প্রাণীরা আবহবিকারে অংশগ্রহণ করে। 

(১) যান্ত্রিক পদ্ধতি : ইঁদুর, খরগোশ, খেঁকশিয়াল, প্রেইরি কুকুর, পেঁচা ইত্যাদি শিলার মধ্যে গর্ত খুঁড়ে বাসা তৈরি করে। শামুক চুনাপাথরের মধ্যে গর্ত তৈরি করতে পারে। 

(২) রাসায়নিক পদ্ধতি : পশু-পাখির বর্জ্য পদার্থ শিলার রাসায়নিক আবহবিকার ঘটায় । প্রাণী মারা যাওয়ার পর প্রাণীদের থেকে নির্গত জলীয় পদার্থের মাধ্যমে শিলার রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে। জীবাণু, কীট ও ব্যাকটেরিয়া শিলার মধ্যে রাসায়নিক আবহবিকার ঘটাত। 

৩.২ 'পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন।' - ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :- পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমিতে তাদের আবাস্থল তৈরি করেছে। এর কারণগুলি হল - 

(১) কৃষি : সমতল ভূমি, ঊর্বর মাটির সুবিধার কারণে সমভূমিতে কৃষিকাজ খুব ভালো হয়। 

(২) সভ্যতার বিকাশ : মানুষের প্রধান তিনটি চাহিদার সমভূমিতে সহজে মেটানো সম্ভব বলে সভ্যতার আদিকালে নদী  অববাহিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ছিল বিভিন্ন সভ্যতা। 

(৩) উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা : সমভূমিতে সড়ক, রেল ও জলপথ ব্যবস্থা অতি সহজেই গড়ে তোলা যায়। 

(৪) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশ : ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে সমভূমিকে কেন্দ্র করে শিল্পকেন্দ্রগুলি গড়ে উঠেছে। ফলে মানুষ সেই শিল্পকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে কাজের সুবিধার্থে বসতি স্থাপন করেছে। 

(৫) জনবসতি : জীবনধারণ সমভূমিতে সহজসাধ্য। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় রসদ সমভূমি থেকে সবথেকে সহজে ও দ্রুত সংগ্রহ করতে পারে। এই কারণে সমভূমিতে জন ঘনত্ব সর্বাধিক। 

৪. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কীভাবে মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয় ?
উত্তর :- পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর ওপরে মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব যথেষ্ট লক্ষণীয়।

(১) ঋতু পরিবর্তনের ওপর প্রভাব : মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের উপর ভিত্তি করে এরাজ্যে ঋতু পরিবর্তন ঘটে এবং আগমন ও প্রত্যাগমন এর উপর ভিত্তি করে বছরটিকে চারটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে।

(২) বৃষ্টিপাতের উপর প্রভাব : পশ্চিমবঙ্গের মোট বৃষ্টিপাতের ৯০ ভাগ ঘটে বর্ষাকালে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমনকালে বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকে বলে বৃষ্টিহীন।

(৩) বায়ুপ্রবাহ : মৌসুমি বায়ুর আগমন কালে বায়ু দক্ষিণের সমুদ্র থেকে উত্তর দিকে বয়ে যায় এবং প্রত্যাগমন কালে স্থল ভাগ থেকে দক্ষিণে সমুদ্রের দিকে যায়।

(৪) উষ্ণতার প্রভাব : মৌসুমি বায়ুর আগমনের কারণে আকাশ মেঘে ঢেকে যায় এবং বৃষ্টি হয় বলেই উষ্ণতা যা হওয়ার কথা তার থেকে কম হয় অনেকটা। আবার মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমনের সময় আকাশ কিছুটা মেঘলা হয়ে থাকে বলে গড় উষ্ণতা বর্ষাকালের থেকে সামান্য বৃদ্ধি পায়।



******** সমাপ্ত ********

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ