Type Here to Get Search Results !

Class 8 History Model Activity Task Part 6 / মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস পার্ট 6


MODEL ACTIVITY TASK CLASS 8 HISTORY PART 6 ANSWERS

 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
 অষ্টম শ্রেণি
 ইতিহাস / History

১. সঠিক তথ্য দিয়ে নীচের ছকটি পূরণ করো :

প্রতিষ্ঠান 

প্রতিষ্ঠাতা

সময়কাল

জমিদার সভা



ভারত সভা



ইন্ডিয়ান সভা




উত্তর :-

প্রতিষ্ঠান 

প্রতিষ্ঠাতা

সময়কাল

জমিদার সভা

রাজা রাধাকান্ত দেব, দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং প্রসন্নকুমার ঠাকুর। ১৮৩৮ সাল

ভারত সভা

সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবনাথ শাস্ত্রী এবং আনন্দমোহন বসু। ১৮৭৬ সাল

ইন্ডিয়ান সভা

শিশির কুমার ঘোষ এবং হেমন্ত কুমার ঘোষ। ১৮৭৫ সাল

২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :

২.১     ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে লর্ড নর্থব্রুক জারি করেন নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন।
উত্তর :- সত্য। 

২.২     ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়।
উত্তর :- সত্য।

২.৩ পাঞ্জাবে লালা লাজপত রাই-এর নেতৃত্বে শিবাজি উৎসব চালু হয়।
উত্তর :- মিথ্যা।

৩. সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০ টি শব্দ) :

৩.১ অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ কী ?
উত্তর :- ব্রিটিশ শোষণের পাশাপাশি সম্পদের বহির্গমন ও অবশিল্পায়ন ইত্যাদি একাধিক কারণে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেহাল হয়ে যায়। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দাদাভাই নৌরজি, মহাদেব গোবিন্দ রানাদে, রমেশচন্দ্র দত্তের মতো ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের একাধিক নেতা ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে নানাভাবে দায়ী করতে থাকেন। তাঁরা ভারতীয় অর্থনৈতিক ধ্বংসসাধনে ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা এবং প্রতিবাদ শুরু করেন। এই কার্যকলাপ, অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ নামে পরিচিত। 

৩.২ ইলবার্ট বিলকে নিয়ে কেন বিতর্কের সূচনা হয়েছিল ?
উত্তর :- লর্ড রিপনের আমলে ১৮৮৩ সালে ইলবার্ট - এর নেতৃত্বে ইলবার্ট বিল তৈরি করা হয়। এই বিলের দ্বারা বলা হয় যে ভারতীয় বিচারকেরাও ইউরোপীয়দের বিচার করতে পারবে। এই বিলের প্রতিবাদে ইউরোপীয়রা সংগঠিতভাবে বিদ্রোহ করেন। তার ফলে সংঘটিত প্রতিবাদে বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আবার, এই বিল প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা আন্দোলন শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত ভারতীয়রা শর্ত অনুযায়ী ইউরোপীয়দের বিচার করার অধিকার পায়। 

৪. নিজের ভাষায় লেখো (১২০ - ১৬০ টি শব্দ) :

বিশ শতকের প্রথম দিকে বাংলায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন গুপ্ত সমিতির পরিচয় দাও।
উত্তর :- বিশ শতকের প্রথমদিকে বঙ্গভঙ্গ - এর প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর থেকেই বাঙালী জাতির মধ্যে ইংরেজ বিদ্বেষ জলন্ত আকার ধারণ করে। এরই মাঝে ইংরেজরা কার্লাইল সারকুলার জারি করে যুব শক্তিকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন থেকে পৃথক করতে চাইল বাংলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠে একাধিক গুপ্ত সভাসমিতি।

কয়েকটি পরিচিত গুপ্ত সমিতি : ১৯০৫ সালের পর থেকে বাংলায় যে সমস্ত গুপ্ত সমিতি গড়ে উঠেছিল তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল - মেদিনীপুর সোসাইটি, অনুশীলন সমিতি, যুগান্তর দল, সাধনা সমিতি, সুহৃদ সমিতি, ঢাকা মুক্তি সংঘ প্রভৃতি নাম। এদের মধ্যে সর্বাধিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে প্রভাবিত করেছিল অনুশীলন সমিতি এবং যুগান্তর দল।

(১) অনুশীলন সমিতি : বঙ্কিমচন্দ্রের অনুশীলন তত্ত্ব, এই আদর্শের ওপর ভিত্তি করে ভগিনী নিবেদিতার পৃষ্ঠপোষকতায় সতীশচন্দ্র বসুর উদ্যোগ এবং ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্রের সভাপতিত্বে ১৯০২ সালে অনুশীলন সমিতি গঠিত হয়।

লক্ষ্য : এই সমিতির বেশ কিছু লক্ষ্য ছিল -

(১) বিভিন্ন রকম শারীরিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে বাংলার ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বৈপ্লবিক আদর্শের বিকাশ ঘটানো।
(২) বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি ও ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে বিপ্লবিদের শিক্ষিত করে তোলে।

গুরুত্ব : তৎকালীন সময়ে এই গুপ্ত সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিল প্রচুর। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এই সমিতির শাখাও তৈরি হয়েছিল। তারমধ্যে পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে ঢাকা অনুশীলন সমিতি ছিল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

(২) যুগান্তর দল : প্রমথনাথ মিত্রের সাথে মতবিরোধ ঘটায় অনুশীলন সমিতির একদল সদস্য বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত, উল্লাসকর দত্ত, হেমচন্দ্র দাস প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ ১৯০৬ সালের যুগান্তর দল প্রতিষ্ঠা করেন। যুগান্তর দলের প্রধান লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র পথেই বৈপ্লবিক আদর্শ প্রচার। তারা 'যুগান্তর' নামে তাদের মুখপাত্রের মাধ্যমে প্রচার চালাত।

(৩) অন্যান্য দল : দুই প্রধান গুপ্ত সমিতি ছাড়াও যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রচেষ্টা বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বৈপ্লবিক চিন্তাধারাকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বাংলার গুপ্ত সভা সমিতিগুলি সম্পূর্ণ সফলভাবে তাদের কাজ করতে পারেনি কিন্তু তাদের বৈপ্লবিক চিন্তাধারা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে প্রভাবিত করেছিল।


********* সমাপ্ত ********

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ