MODEL ACTIVITY TASK CLASS 10 BENGALI PART 5
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2nd Series /Part 5
দশম শ্রেণি
বাংলা /Bengali
১. কম-বেশি ২০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
১.১ 'গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা।' - হরিদা কোন্ গল্প শুনেছেন ?
উত্তর :- বহুরূপী গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা ছিলেন পেশায় বহুরূপী।
হরিদার গম্ভীর হয়ে যাওয়া : লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদাকে জানিয়েছিলেন যে, জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী সাত দিন ধরে ছিলেন। তিনি সারাবছরে একটি হরীতকী খান। তাঁর বয়স হাজার বছরেরও বেশি। সন্ন্যাসী কাউকেই তাঁর পায়ের ধুলো দেন না। জগদীশবাবু কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তাঁর পায়ের কাছে ধরতেই সন্ন্যাসী সেই খড়ম পড়তে গেলে। তাঁর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন। সন্ন্যাসীর এই গল্প শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন।
১.২ 'বিদায় এবে দেহ, বিধমুখী।' - উদ্ধৃতাংশে 'বিধমুখী' কে ?
উত্তর :- 'বিধমুখী' র পরিচয় : চাঁদের মতো সুন্দরী স্ত্রীকে ইন্দ্রজিৎ 'বিধমুখী' বলে সম্বোধন করেছেন।
১.৩ 'মাভৈ : মাভৈ :' - এমন উচ্চারণের কারণ কী ?
উত্তর :- 'মাভৈ' কথাটির অর্থ ভয় কোরো না। জড়তাগ্রস্ত সমাজকে নাড়া দিলে তবেই তার মধ্যে লুকানো প্রাণ জেগে ওঠে। রুদ্ররূপী শিব ধ্বংসের ত্রিশূল হাতে আবির্ভূত হন। তার আগমনে জগতে তৈরি হয় প্রলয়ের পরিবেশ। ভীতসশ্বস্ত হয়ে পড়ে জীবকু। কিন্তু এই ধ্বংসের মধ্যেই আছে সৃষ্টির আস্বাস এই কারণেই কবি মাভৈঃ মাভৈঃ' বলে উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
১.৪ '... দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল, '- বন্ধুদের কোথা থেকে আসার কথা ছিল ?
উত্তর :- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী গল্পে উল্লেখিত অংশে উদ্ধৃত লাইনটি আমরা দেখতে পাই। এনাঞ্জাং থেকে আসার কথা ছিল।
২. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
২.১ 'অ্যাঁ? ওটা কি একটা বহুরূপী ?' - প্রশ্নটি কাদের মনে জেগেছে ? তাদের মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে কেন ?
উত্তর :- বহুরূপী গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা ছিলেন পেশায় বহুরূপী।
তিনি এমনভাবে বহুরূপী সাজতেন যে, লোকের বোঝার সাধ্য ছিল না ইনি একজন বহুরূপী, চরিত্রের ঢঙে নিজেকে সাজিয়ে তুলতেন নিপুণভাবে। উপরিউক্ত প্রশ্নটি যারা বহুরূপী সেজে হরিদা কে চিনতে পারতো এবং যারা প্রথম দেখছে তাদের মনেই প্রশ্নটি জেগেছে। মনের ভিতর প্রশ্ন জেগে ওঠার কারণ হলো হরিদার নানান। ছদ্মবেশ ধারণ যেমন উন্মাদ পাগল, রূপসী বাইজি, পুলিশ, সন্ন্যাসী প্রভৃতির পেশায় বহুরূপী সেজে অর্থ উপার্জন করতেন। তার প্রতিটি রূপধারণেই আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এই চরিত্র গুলিকে খুঁজে নিয়ে নিপুণভাবে তার অভিনয় করা একেবারেই সহজ ব্যাপার নয়, এই কারণে তাদের মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে।
২.২ 'নাদিলা কর্বূরদল হেরি বীরবরে মহাগর্বে।' - 'কর্বূরদল' শব্দের অর্থ কী ? উদ্ধৃতাংশে 'বীরবর' কোথায় উপনীত হলে এমনটি ঘটেছে ?
উত্তর :- করদল-এর পরিচয় লকার রাক্ষসবাহিনীকে 'করদল' বলা হয়েছে।
পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে লকেশর রাবণ যুদ্ধের সাজে সেজেছেন। তার সৈন্যবাহিনীও যুদ্ধের উন্মাদনায় মেতে উঠেছে। সেই সময় সহোদর বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে ইন্দ্রজিৎ সেখানে আসেন। ইন্দ্রজিৎকে দেখে সৈন্যরা উল্লসিত হয়। কারণ ইন্দ্রজিতের রণকৌশল এবং বীরত্ব সম্পর্কে তারা অবহিত। স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্রকে তিনি পরাজিত করেছেন। লকার শ্রেষ্ঠতম যোদ্ধা তিনি। তাই তাকে পেয়ে বসবাহিনী ভরসা পেয়েছে এবং উৎসাহ ও গর্ববোধ করেছে।
২.৩ 'তোরা সব জয়ধ্বনি কর।' - কার জয়ধ্বনি করতে কবির এই আহ্বন ? কেন তার 'জয়ধ্বনি' করতে হবে ?
উত্তর :- যাদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান প্রলয়োল্লাস' কবিতায় কবি নজরুল ইসলাম দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
'প্রলয়োল্লাস' কবিতায় মোট উনিশ বার "তোরা সব জয়ধ্বনি কর" এই আহ্বানসূচক পঙক্তিটি উচ্চারিত হয়েছে, যা বুঝিয়ে দেয় এই পঙক্তিটিতেই কবি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। আসলে 'প্রলয়োল্লাস' হল ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সৃষ্টির বন্দনা। স্বাধীনতাজি যে তরুনের দল তাদের দুর্জয় সাহস আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে পরাধীন এবং সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটাতে চায় কবি তাদেরই জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।
কবির কথায় তারা হল অনাগত প্রলয়-নেশার নৃতা পাগল, কিন্তু তারাই সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে আঘাত করে নতুন চেতনা, বিপ্লবের বার্তাকে বয়ে আনে। অসুন্দরকে দূর করতে তারা আপাত ভয়ংকরের বেশ ধরে। এর মদ্য দিয়ে পৃথিবীতে নবপ্রাণের প্রতিষ্ঠা ঘটে। এ হলো বিপ্লবী যুব শক্তির প্রতি কবির মুগ্ধ অভিবাদন।
২.৪ 'কিন্তু ইহা যে কতোবড়ো ভ্রম...' - কোন্ ভ্রমের কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে?
উত্তর :- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'পথের দাবী' গল্পে উল্লেখিত অংশে উদ্ধৃত লাইনটি আমরা দেখতে পাই।
অপূর্ব ছিল ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর যাত্রী। তার কামরায় অন্য কোনো লোক ছিল না। সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হলে অপূর্ব ঈশ্বর উপাসনা শেষ করে। তারপর সে রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে হাত-মুখ ধুয়ে সুস্থমনে শয্যাগ্রহন করে।
অপূর্ব আশা করেছিল যে প্রথম শ্রেনির যাত্রী হওয়ায় সকাল পর্যন্ত কেউ তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে না। কিন্তু পুলিশের লোকেরা রাত্রে বার-তিনেক ঘুম ভাঙিয়ে তার নাম ঠিকানা লিখে নেয়। এইভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর অপূর্ব প্রতিবাদ করে। তখদা সাব-ইন্সপেক্টরের কাছে শুনতে হয় আবার অপূর্ব যখন নিজেকে প্রথম শ্রেনির যাত্রী বলে এবং তাই তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো যায় না বলে মন্তব্য করে তখন পুলিশ অফিসারটি তাকে বলেন যে ইচ্ছা করলে সে তাকে নামিয়েও দিতে পারে। ভারতীয়দের অপমানের আরো একটি দৃষ্টান্ত অপূর্বর অভিজ্ঞতায় যুক্ত হয়।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৩.১ 'বড়ো চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা।' - 'বহুরূপী' গল্প অনুসরণে উক্ত সন্ধ্যার দৃশ্য বর্ণনা করো।
উত্তর :- 'বহুরূপী' আসলে হরিদা নামে এক হতদরিদ্র মানুষের বাস্তব জীবনযাপনের কাহিনি।
ঘড়ির কাঁটার সামনে সময় বেঁধে দিয়ে আর নিয়ম করে একই ধরনের কাজ করা হরিদার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তিনি মাঝে মাঝে বহুরূপী সেজে যেটুকু রোজগার করেন, তাতেই তাঁর কোনোরকমে দিন চলে যায়। পেশা হিসেবে বহুরূপী সাজাকে বেছে নেওয়ার জন্য গল্পের নাম 'বহুরূপী'। কিন্তু তার মধ্যে জীবনের বাঞ্জনাসূচক বিশেষ ভাবসত্যও পাওয়া যায়।
হরিদা যখন বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর যাবতীয় প্রলোভন এবং অর্থ তুচ্ছ জ্ঞান করেছেন, তখনই কাহিনীটি ছোটোগল্পের মর্যাদা পেয়ে যায়। বিভিন্ন চরিত্রের বেশ ধাকণ করে পয়সা উপার্জন করাই হরিদার পেশা। তবু তিনি জগদীশবাবুর টাাকার থলি স্পর্শ করেননি। করলে ছোটোগল্পের ব্যঞ্জনা নষ্ট হত। করেননি বলেই পাঠকমন গল্পের উপসংহারে এসে অতৃপ্তি আর কৌতুহলে ঘুরপাক খেতে থাকে। এই ধরেনর পরিণতিই আধুনিক ছোটোগল্পের বিশেষত্ব। বহুরূপী গল্পের মধ্যে দিয়ে সন্ধ্যার এই দৃশ্যটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
৩.২ 'ছিঁড়িলা কুসুমদাম রোষে মহাবলী' - 'মহাবলী' কে ? তিনি রুষ্ট কেন?
উত্তর :- মহাবলীর পরিচয় এখানে 'মহাবলী' বলতে বীর ইন্দ্রজীৎকে বোঝানো হয়েছে।
রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করে ইন্দ্রজিতের ভাই বীরবাহুকে বধ করেছেন, ফলে পিতা রাবনের এরূপ শোকাকুল অবস্থার সময় তিনি প্রমোদবিলাসে মত্ত - এই কথা মনে করে মেঘনাদ নিজেকে ধিক্কার দিয়েছেন। হাতের ফুলরাশি ছিঁড়ে ফেলেছেন, সোনার বালা দূরে ফেলে দিয়েছেন, পায়ের কাছে পড়ে রয়েছে কুন্ডল। এভাবে ক্রোধের মধ্য দিয়ে ইন্দ্রজীৎ রাক্ষসকুলের অপবাদ দূর করার জন্য শপথ গ্রহণ করেন।
৩.৩ 'প্রলয় বয়েও আসছে হেসে - মধুর হেসে।' - কে আসছেন ? তার হাসির কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :- আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে সরূপী শিবের আগমনের কথা বলা হয়েছে।
শিব রক্ষক ও সংহারক। সংহারকরূপী শিব ভয়ংকর। নি তখন প্রলয়দেবতা। তার জটাভাব দুলে উঠলে সারা পৃথিবী তসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। যা কিন্তু জরাজীর্ণ, অসুন্দর, তা সবই তিনি পাগলা জালার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ধ্বংস করে। কিন্তু এই ধ্বংসের পিছনে লুকিয়ে থাকে নতুন সৃষ্টির আশ্বাস। এই কারণেই প্রলয় ধ্বংস বয়ে নিলেও আপন সৃষ্টির আনন্দে মহাকালের মধুর হাসি ধ্বনিত হয়।
৩.৪ 'বাবুজি, এসব কথা বলার দুঃখ আছে।' - বক্তা কে ? কোন্ কথার পরিপ্রেক্ষিতে সে একথা বলেছে ?
উত্তর :- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পথের দাবী' গদ্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিতে বক্তা বাবুজি বলতে অপূর্বকে বুঝিয়েছে। উক্তিটি করেছে রামদাস তলওয়ারকর। রামদাসের সঙ্গে কথোপকথনকালে অপূর্ব জানায় যে, পুলিশকর্তা নিমাইবাবু তার কাকা এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী হলেও, ভারতবর্ষের মুক্তিকামী বিপ্লবীরা তার থেকে অনেক বেশি আপনার। পরাধীন ভারতবর্ষের ব্রিটিশের দাসত্ব করেন নিমাইবাবু।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৪. ১ 'এজন্য চরিত্র চাই, গোঁইয়ার রোখ্ চাই।' - ক্ষিতীশ সিংহ কীভাবে কোনির 'চরিত্র' এবং 'গোয়ার রোখ্' তৈরিতে সচেষ্ট হয়েছিলেন ?
উত্তর :- গঙ্গার ঘাটে বারুণী তিথিতে দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা আম দখলের ঘটনা থেকেই ক্ষিতীশ কোনিকে আবিষ্কার তরি করেছিলেন। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারপর একদিন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের তড়ি ঘন্টা হাঁটা প্রতিযোগিতার শেষে কোনিকে কাছে পেয়ে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব নিয়ে হাজির হলেন তিনি।
কোনি সেই প্রস্তাব এক কথায় বাতিল করে দিলেও ক্ষিতীশ হাল ছাড়েননি। তিনি মনে মনে ঠিক করে নেন যে, কোনিকে তিনি নামকরা সাঁতারু তৈরি করবেনই। দায়িত্বগ্রহণ ; কোনির বাড়ি গিয়ে ওদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে ক্ষিতীশ জানতে পারেন ওরা খুব গরিব। তাই নিজেই তিনি কোনির সব দায়িত্ব নিলেন। জুপিটার ছেড়ে অ্যাপোলো ক্লাবে এলেন শুধ কোনির জন্যই। নিজের সংসার পরিবারের কথা ভুলে কোনিকে নিয়েই চলল তার প্রতিজ্ঞাপূরনের কাজে। কোনিকে কঠোর অনুশীলনের মদ্যে রেখে চ্যাম্পিয়ন বানানোই ছিল ক্ষিতীশের একমাত্র লক্ষ্য।
ক্ষিতীশ নিজেই কোনির জন্য উপযুক্ত খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা নেন। ধীরে ধীরে কোনিও সাঁতারুকে ধ্যানজ্ঞান মনে করতে মিহল ত্রিনফলতা তানি একসময় যাবতীয় প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কোনি মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে ১×১০০ মিটার রেলিতে প্রথম হয় তার নিজের স্বপ্ন পূরণ করে।
৪.২ 'ক্ষিদ্দা, এবার আমরা কী খাব ?' - উদ্ধৃতিটির আলোকে কোনির যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।
উত্তর :- গঙ্গার ঘাট থেকে মাদ্রাসায় জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় ভিকট্রি স্ট্যান্ড পর্যন্ত কোনির যে যাত্রা ক্ষিপ্লাই কোনির প্রথম ও প্রধান নির্দেশক ও অনুপ্রেরণা। অনুশীলনেরস্ট ব্যবস্থা : ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই অনুশীলনে সাঁতারের বিভিন্ন কৌশল ক্ষিতীশ কোনিকে শিখিয়েছিলেন।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত কোনির প্র্যাকটিশ চলত। ছকে বাঁধা জীবন ; ক্ষিতীশ কোনির জীবনযাত্রাকে একটা ছকে বেঁধে দিয়েছিলেন কোনি কখন কী কী খাবে সেই ব্যাপারেও ক্ষিতীশ নিয়ম জারি করেছিলেন। কোনিকে প্রতিদিন দুটো ডিম, দুটো কলা এবং দুটো টোস্ট খাওয়ার কথা ক্ষিতীশ বলেন। এগুলি কোনিকে খেতে দেওয়ার বদলে আরও এক ঘন্টা কোনির জলে থাকতে হবে বলে ক্ষিতীশ জানান। অমানুষিক পরিশ্রম : লোভ দেখিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে নেওয়া অন্যায় জেনেও যন্ত্রণা আর সময় দুটোকেই হারানোর জন্য ক্ষিতীশ এমনটা করেছিলেন।
কোনি টিফিনের বদলে টাকা চাইলে ক্ষিতীশ আর কোনির মধ্যে বোঝাপড়া হয়। ক্ষিতীশ কোনিকে নানা উদাহরণ দিয়ে তাকে উজ্জীবিত করেন। সফলতা অর্জন ক্ষিতীশই দেয়ালে ৭০ লিখে টাঙিয়ে দিয়ে কোনির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেন। তার তত্ত্বাবধানে দিনের পর দিন কোনির এই কঠোর অনুশীলনই তাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যায়।
****** সমাপ্ত *****