Type Here to Get Search Results !

Class 9 Life Science 2nd Series Model Activity Task Part 5 Answers


  মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2nd Series /Part 5
  নবম শ্রেণি
  জীবন বিজ্ঞান 

১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখো :

১.১ যে জোড়টি সঠিক নয় সেটি নির্বাচন করো -
(ক) ফোটোফসফোরাইলেশন - ATP সংশ্লেষ
(খ) গ্লাইকোলাইসিস - পাইরুভেট সংশ্লেষ
(গ) ক্রেবস চক্র - সাইট্রিক অ্যাসিড সংশ্লেষ
(ঘ) অরনিথিন চক্র - অ্যামোনিয়া সংশ্লেষ
উত্তর :- (ঘ) অরনিথিন চক্র - অ্যামোনিয়া সংশ্লেষ

১.২ সঠিক বক্তব্যটি নিরুপন করো :
(ক) লোহিত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংসে সাহায্য করে
(খ) বেসোফিল হিস্টামিন শোষণ করে অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
(গ) লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে রোধ প্রতিরোধে সাহায্য করে
(ঘ) ইওসিনোফিল হেপারিন নিঃসরণ করে রক্তবাহে রোধে সাহায্য করে।
উত্তর :- (গ) লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে রোধ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

১. ৩ প্রজাপতির রেচন অঙ্গটি চিহ্নিত করো -
(ক) নেফ্রিডিয়া
(খ) ম্যালপিজিয়ান নালিকা
(গ) ফ্লেমকোশ
(ঘ) বৃক্ব
উত্তর :- (খ) ম্যালপিজিয়ান নালিকা।

২. 'A' - স্তম্ভে দেওয়া শব্দের সঙ্গে 'B' স্তম্ভে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখো :
উত্তর :-

A - স্তম্ভ

B - স্তম্ভ

২.১ অ্যাথেরোস্ক্লরোসিস

ক. ট্র্যাকিয়া

২.২ পতঙ্গ

খ. রক্ষেকোশ

২.৩ পত্ররন্ধ্র

গ. বিপাকীয় সমস্যাজনিত রোগ


ঘ. ফুলকা


উত্তর :-

A - স্তম্ভ

B - স্তম্ভ

২.১ অ্যাথেরোস্ক্লরোসিস

(গ) বিপাকীয় সমস্যাজনিত রোগ

২.২ পতঙ্গ

(ক) ট্র্যাকিয়া

২.৩ পত্ররন্ধ্র

(খ) রক্ষেকোশ


(ঘ) ফুলকা


৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

৩.১ উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পরজীবীয় ও মিথোজীবীয় পুষ্টির দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
উত্তর :-

পরজীবীয় পুষ্টি

মিথোজীবীয় পুষ্টি

১. পুষ্টির জন্য সজীব পোষকের ওপর নির্ভরশীল। 

১. পুষ্টির জন্য সহাবস্থান কারী দুটি ভিন্ন রকমের জীব পরস্পর নির্ভরশীল। 

২. এরা পোষকের ক্ষতি করে নিজেরা উপকৃত হয়। 

২. এক্ষেত্রে উভয় জীবী পরস্পরের দ্বারা উপকৃত হয়, কেউ কারো ক্ষতি করে না। 

৩. উদাহরণ : স্বর্ণলতা কৃমি

৩. উদাহরণ : লাইকেন


৩.২ সৌর শক্তির আবদ্ধকরণ ও রূপান্তরে সালোকসংশ্লেষ এর ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :- সৌর শক্তির আবদ্ধকরণ ও রূপান্তরে সালোকসংশ্লেষ এর ভূমিকা হল - সূর্যের শক্তির মূল উৎস। একমাত্র সবুজ উদ্ভিদরাই পারে সৌরশক্তি কে আবদ্ধ করে বিভিন্ন জৈবনিক কাজে ব্যবহার করতে। সালোকসংশ্লেষের সময় সবুজ উদ্ভিদ সৌরশক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করে ATP  অণুর মধ্যে আবদ্ধ করে। পরে সেই শক্তি উৎপন্ন খাদ্যের মধ্যে স্থৈতিক শক্তিরুপে সঞ্চিত হয়। প্রাণীকুল সবুজ উদ্ভিদ থেকে খাদ্যের মাধ্যমে শক্তি সংগ্রহ করে অর্থাৎ গৃহীত খাদ্য মধ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি প্রাণীদের দেহ কোষের খাদ্যের জারণ প্রক্রিয়ায় গতি শক্তি উৎপন্ন করে। গতিশক্তি জীব দেহের বিভিন্ন জৈবনিক ক্রিয়া কে নিয়ন্ত্রিত করে এইভাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদ পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর শক্তির যোগান দেয়।

৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :

৪.১ উদ্ভিদের দেহে কোনো নির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ থাকে না। তাহলে উদ্ভিদ কীভাবে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে বলে তোমার মনে হয় ? রক্ততঞ্চন কীভাবে ঘটে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :- উদ্ভিদ দেহে সৃষ্টি রেচন পদার্থ দেহ থেকে নিষ্কাশনের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ থাকেনা। বেশিরভাগ উদ্ভিদ রেচন পদার্থগুলিকে অদ্রাব্য কেলাসরূপে দেহকোশে সঞ্চিত রাখে এবং সময়ে সময়ে বিভিন্ন উপায়ে দেহ থেকে তা বর্জিত করে। যেমন -

(১) পত্রমোচন : অধিকাংশ উদ্ভিদ তাদের রেচন পদার্থকে পাতার মধ্যে সঞ্চিত করে রাখে এবং সময়ে সময়ে বা বছরের নির্দিষ্ট ঋতুতে পত্রমোচন করে পাতায় সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে ।
উদাহরণ : আম, জাম ইত্যাদি উদ্ভিদ।

(২) বাকল মোচন : পেয়ারা, অর্জুন, ইউক্যালিপ্টাস প্রভৃতি উদ্ভিদ তাদের ছাল বা বাকলের মধ্যে রেচন পদার্থকে জমিয়ে রাখে এবং পড়ে বাকল মোচন করে সেই পদার্থ ত্যাগ করে।

(৩) ফল মোচন : লেবু, তেঁতুল, আপেল প্রভৃতি গাছ তাদের ফলের ত্বকে রেচন পদার্থ সঞ্চিত রাখে এবং ফল মোচনের মাধ্যমে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।

(৪) রজন নিঃসরণ : পাইন গাছের কান্ড, শাখা - প্রশাখা ও পাতার রজন নালিতে জলে অদ্রবণীয় একপ্রকার জটিল রেচন পদার্থ সঞ্চিত থাকে। একে রজন বলে। কোনো উদ্ভিদ আঘাতপ্রাপ্ত হলে রজন রূপে রেচন পদার্থ নিঃসৃত হয়।

 রক্ততঞ্চন পদ্ধতি  : রক্ততঞ্চনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান, যেমন - প্রোথ্রম্বিন, ক্যালশিয়াম আয়ন, ফাইব্রিনোজেন রক্তেই থাকে। তবে এগুলি নিষ্ক্রিয়রূপে থাকে। রক্ততঞ্চনের ধাপগুলি নিচে বর্ণনা করা হলো -

১. দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে সেই স্থানটি অমসৃণ হয়ে যায়। এর ফলে অণুচক্রিকাগুলি এই কাটা অংশের সংস্পর্শে এলে ভেঙে যায় এবং এই ভাঙা অণুচক্রিকা এবং ক্ষতস্থানের কলাকোশ থেকে থ্রোম্বোপ্লাষ্টিন নিঃসৃত হতে থাকে।

২. এরপর থ্রোম্বোপ্লাষ্টিন নিষ্ক্রিয় প্রোথ্রম্বিনকে ক্যালশিয়াম আয়ন (Ca2+) এর উপস্থিতিতে থ্রম্বিনে পরিণত করে। এই পর্যায়ে ভিটামিন K সহকারী শর্তরূপে কাজ করে।

৩. উৎপন্ন থ্রম্বিন আবার Ca2+ এর উপস্থিতিতে নিষ্ক্রিয় ফাইব্রিনোজেনকে ফাইব্রিন নামক তন্তুতে পরিণত করে।

৪. এই ফাইব্রিন পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ঘন তন্তুজাল গঠন করে। এই তন্তুজালে লোহিত রক্তকণিকা ও শ্বেত রক্তকণিকা আবদ্ধ হলে রক্ত রক্ততঞ্চন সম্পূর্ণ হয়।


******* সমাপ্ত *****

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ