MODEL ACTIVITY TASK CLASS 7 BENGALI PART 6 ANSWERS
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 6
সপ্তম শ্রেণি
বাংলা (প্রথম ভাষা)
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ 'বাইরের চলাটা আসল নয়।' - প্রকৃত চলা কোনটি ?
উত্তর :- শিবতোষ মুখোপাধ্যায় প্রণীত 'কার দৌড় কতদ্দুর' নামাঙ্কিত রচনায় লেখক বিভিন্ন প্রাণী চলাচলের প্রতি নজর দিয়েছে। তাঁর মনে হয়েছে বাইরের চলাটা একমাত্র সত্য নয়। তিনি জানিয়েছেন এই পৃথিবীতে সবার মাঝে যা সত্য কারের চলা তা হলো মানুষের চলা তার মন ভূমির মধ্যে। মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিবেগ সম্পন্ন। একমুহূর্তেই মানুষ বিশ্বময় ঘুরে আসতে পারে। তার কোথাও বাধা নেই। কোন নিষেধ নেই, মন যেন তার হ্রদ। লেখক জানিয়েছেন 'মন রথ অবাধ'।
১.২ 'জবাবটা জেনে নেব মেজদাকে খুঁচিয়ে'। - কোন্ প্রশ্নের জবাব মেজদার কাছে মিলবে ?
উত্তর :- 'নোট বই' কবিতায় বক্তা তার মেজদার কাছে থেকে ঝোলাগুড় কিসে দেয় সাবানে না পটকায় এই প্রশ্নের উত্তর জানবেন।
১.৩ 'আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন'। - কোন্ কথার অবতারণাকে বক্তার 'ঠাট্টা' মনে হয়েছে ?
উত্তর :- এই বিশাল হ্রদের জল যদি মেঘ হয়ে যায় সেই মেঘ থেকে অন্য জায়গায় বৃষ্টি হবে। একসঙ্গে হঠাৎ বৃষ্টি বেড়ে গেলে পৃথিবীর দারুন কোন ক্ষতি হয়ে যাবে না। কি আর হবে! সাইবেরিয়ায় বড়জোর এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমবে। অসীমা হেসে ফেলে বলল আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন। এত বড়ো লেক কি শুকিয়ে ফেলা যায় ?
১.৪ জেমস এইচ. কাজিনস কে ছিলেন ?
উত্তর :- ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯১৯ সালে তিনি দক্ষিণ ভারত পরিক্রমায় বেরিয়ে ছিলেন। সেখানে 'থিয়সফিক্যাল কলেজ' এর অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ছিলেন জেমস এইচ. কাজিনস।
১.৫ 'এ ছবি আমি পরেও দেখেছি'। - কোন্ দৃশ্যবর্ণনা প্রসঙ্গে একথা এসেছে ?
উত্তর :- মুখভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল গাইছেন - এই ছবি আমি পরেও দেখেছি। এখানে দৃশ্যপটে কথা বলা হয়েছে।
১.৬ 'তাদের রাজত্ব হের অক্ষুণ্ণ কেমন' - কাদের রাজত্ব কেন অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন ?
উত্তর :- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কামিনী রায় প্রণীত 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় যারা মনে করে বিশাল অট্টালিকা তৈরি মধ্য দিয়ে নিজেদের নাম এই ধরণীর বুকে রেখে যাবেন তারা ভুল করছেন। কেননা আর্থিক সমৃদ্ধির কারণে কোন মানুষ পৃথিবীতে নিজের নামে স্থায়ী করে রাখবেন এটা আদৌ সম্ভব নয়। তাই তাদের রাজত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে না।
১.৭ 'নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া'। - কিষাণপাড়াকে 'অমর' বলা হয়েছে কেন ?
উত্তর :- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত 'চিরদিনের' কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। কিষণপাড়ায় প্রকৃতি এবং মানুষের জীবন শান্ত। কোনো রকম ব্যস্ততা সেখানে নেই, নেই কোন কোলাহল। দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণ পাড়ার মানুষ আবার কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিজ নিজ পেশায় কাজ করে দুর্ভিক্ষের হতাশা বিষন্নতা এখানে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারেনা। তাই কিষান পারাকে কবি অমর বলেছেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ 'জীবনের ৪৪০ তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপনা করেছে'। - মানুষের সেই কীর্তির কথা 'কার দৌড় কদ্দূর' রচনায় কীভাবে বর্ণিত হয়েছে ?
উত্তর :- শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত 'কার দৌড় কদ্দুর' নামাঙ্কিত রচনায় লেখক বলেছেন মানুষ এখন নিজের চলেই ক্ষান্ত নয়। সে অন্য সবকিছুকেও চালাতে সমান উৎসুক। জাহাজ, রেল, প্লেন, জেট। এখন মানুষ আকাশটাকে নতুন করে ঘোড়া দৌড়ের মাঠ করে তুলেছে। সেখানে নতুন বাজি ধরেছে যে ভুবেনশ্বর হবে, স্বর্গ মর্ত তোলপাড় করবে। তাই জীবনের ৪৪০ তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপন করেছে।
২.২ 'তুমি একটা স্পাই'। কোন্ পরিস্থিতিতে বক্তার একথা মনে হয়েছে ?
উত্তর :- 'স্পাই' শব্দের অর্থ হলো 'চর' অর্থাৎ গুপ্ত সংবাদ আদান-প্রদান করে, কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ছোটগল্পে আলোচ্য উক্তিতে 'স্পাই' বলা হয়েছে অসীমাকে এবং বলেছেন বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী। যখন পুরন্দর চৌধুরী জানান তার রেকর্ড করার নামের সঙ্গে অসীমার নামটাও থাকবে তখন অসীমা তার নিজের পরিচয় দেয়। কারপভেরর মেয়ে বলে এবং বলে আমার মা বাঙালি মেয়ে। গল্প পড়ে জানা যায় অসীমা চরবৃত্তি করেনি, সে প্রকৃতিকে আসন্ন ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। অসীমা চেয়েছিল প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকুক। এর জন্য অসীমা জানিয়েছেন যে প্রকৃতিকে ধ্বংস করা কি অপরাধ।
২.৩ সরলা দেবী তাঁর 'জীবনের ঝরাপাতা' গ্রন্থে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে কোন্ তথ্য পরিবেশন করেছেন ?
উত্তর :- 'আমার সোনার বাংলা' গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯০৫, অগাস্ট মাসের ২৫ তারিখে। এই গানটির সুর এর বিষয়ে সরলা দেবী তাঁর 'জীবনের ঝরাপাতা' গ্রন্থে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন কর্তা দাদামহাশয় চুঁচুড়ায় থাকার সময় সময়মতো বোটের মাঝিদের কাছ থেকে অনেকগুলো বাউল আঙ্গিকের গান সংগ্রহ করেছিলেন সরলা দেবী। তিনি জানিয়েছেন - 'যা কিছু শিখতুম রবিমামাকে শোনাবার জন্য প্রাণ ব্যস্ত থাকত। তার মতো সমোঝদার আর কেউ ছিলনা।' রবীন্দ্রনাথ এই গানগুলি মন দিয়ে শুনতেন এবং সেই সুর অনুসারে নিজের গান রচনা করতেন। 'আমার সোনার বাংলা' হলো এমন একটি গান যেটা বোটের মাঝির কাছ থেকে আহরিত এবং সরলা দেবীর সুরে বসানো।
২.৪ 'এই ছিল তখনকার কোনো স্বদেশি মিটিং-এর রীতি'। - রীতিটি কী ?
উত্তর :- রামকুমার চট্টোপাধ্যায় কাজী নজরুলের গান শীর্ষক গদ্যাংশে যে সময়ের কথা বলেছেন সেই সময়ে যে কোন স্বদেশী মিটিংয়ের রীতি ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বক্তৃতার আগে কাজী নজরুল ইসলামের সংগীত পরিবেশন।
২.৫ 'সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে'। উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত কবিতায় ১৩৫০ সালে দুর্ভিক্ষের দিনে মানুষের কি অসহায় অবস্থা হয়েছিল সেই গল্পের কথা বলা হয়েছে। দুর্ভিক্ষের পর আবার নতুন করে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা শুরু হয়। চারিদিকে দেখা যায় প্রাণের স্পন্দন। সকাল ঘোষিত পাখির ডাকে। কামার, কুমোর, তাঁতি একসঙ্গে কাজ করে। সারাটা দুপুর চাষের জমিতে পড়ে থাকে কৃষক, কৃষক বধূ জল আনতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায় পথে, তার চোখে পড়ে সবুজ ফসলের সুবর্ণ যুগ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :-
৩.১ 'ঋ, র, ষ এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে ন > ণ হয়'। - প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ঋণ, বর্ণ, স্মরণ, বরণ, তৃণ, শীর্ণ, ঘৃণা, ষন্নবতি ইত্যাদি।
৩.২ 'পিতৃ ও মাতৃ শব্দের সঙ্গে স্বসৃ শব্দের যোগ হলে স্বসৃ শব্দের প্রথম স্ হয় ষ'। - উদাহরণ দাও।
উত্তর :- পিতৃ ও মাতৃ শব্দের সঙ্গে স্বস্ শব্দের যোগ হলে স্বস্ শব্দের প্রথম স্ হয় ষ। যেমন - মাতৃম্বসা, পিতৃম্বসা।
৩.৩ ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়োগে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর :- কনকনে শীত আমি একদম পসন্দ করি না। এখানে কনকনে হলো ভাবপ্রকাশ ধ্বনাত্বক শব্দ।
************** সমাপ্ত ************