মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১
বাংলা (প্রথম ভাষা)
দশম শ্রেণি
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ তপনের লেখা যে গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল—
ক) রাজা ও রানি।
খ) অ্যাকসিডেন্ট
গ) প্রথম দিন
ঘ) স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
১.২ পাঠ্য ‘অসুখী একজন’ কবিতাটির অনুবাদক
ক) শঙ্খ ঘোষ
খ) নবারুণ ভট্টাচার্য
খ) উৎপলকুমার বসু
ঘ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
ক) মানসী
খ) চিত্রা
গ) পত্রপুট
ঘ) নৈবেদ্য ।
১.৪ 'বাবু কুইল ড্রাইভারস’কথাটি বলতেন—
ক) ওয়াটারম্যান
খ) লর্ড কার্জন
গ) উইলিয়াম জোন্স
ঘ) উইলিয়াম হেস্টিংস
১.৫ যে কাব্যগ্রন্থটি শঙ্খ ঘোষের লেখা নয়—
ক) দিন ও রাত্রি
খ) দিনগুলি রাতগুলি
গ) পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ
ঘ) ধূম লেগেছে হৃৎ কমলে
২. কম-বেশি ২০টি শব্দের উত্তর লেখো :
২.১ কোন্ কথাটি শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল?
উঃ- তপন তার বালক বয়সে কোনোদিন কোনো লেখককে স্বচক্ষে দেখেনি। কবি-লেখকরাও যে আমাদের মতো সাধারণ বাস্তব জগতের প্রাণী এ কথাই তপন জানত না। তাই সে যখন শুনল যে,তার সদ্যবিবাহিতা ছোটো মাসির স্বামী অর্থাৎ তার নতুন মেসো একজন লেখক-তখন বিস্ময়ে তার চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গেল।
২.২ ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি পাবলো নেরুদার কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উঃ- অসুখী একজন কবিতাটি পাবলো নেরুদার " Extravagaria কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত
২.৩ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক ছেলেবেলায় কার লেখা জ্যামিতি পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন?
উঃ-হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে, প্রাবন্ধিক " ব্রহ্মমোহন মল্লিক " জ্যামিতির বই পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
২.৪ ‘আফ্রিকা’ কবিতায় দিনের অন্তিমকাল কীভাবে ঘোষিত হয়েছিল?
২.৫ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি ‘পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ’ বলতে কী নির্দেশ করেছেন?
উঃ- অশুভ ধ্বনিতে দিনের অন্তিম কাল আফ্রিকা কবিতায় ঘোষিত হয়েছিল।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
৩.১ ‘ওর হবে।'—বক্তা কে? কেন তার এমন মনে হয়েছে?
উঃ-আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পে, উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন তপনের ছোট মেসো মশাই। গল্পের প্রধান চরিত্র তপন ছোট বয়স থেকেই সে গল্প লিখতে খুব ভালোবাসে, তপনের বয়সের ছেলেমেয়েরা যেসব গল্প লিখতে পারে, যেমন রাজা রানীর গল্প, খুন-জখমের গল্প প্রভৃতি কিন্তু তখন তাদের ব্যাতিক্রম , তপন লিখে ফেলল তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি, লেখক মেসোর এ ব্যাপারটি বড়ই ভালো লাগে, এবং তার পরই তিনি আলচ্য উক্তিটি করে বসেন।
৩.২ ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কার মাথার উপর বছরগুলি কেন পর পর পাথরের মত নেমে এসেছিল?
উঃ- কবি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা সেই মেয়েটি মাথায় বছরগুলো পরপর পাথরের মতো নেমে এসেছিল, কারণ কবি তার প্রেমিকাকে জানানি যে তিনি কখনোই আর ফিরে আসবেনা, কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকেনি, বৃষ্টিতে কবির পায়ের দাগ মুছে গেছে, এবং ঘাস জন্মেছে রাস্তায় , এবং আস্তে আস্তে বছরগুলোর পাথরের মত হয়ে নেমে আসছিল।
৩.৩ ‘আমরা ভিখারি বারোমাস।–“আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবির এমন মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো।
উঃ-আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটিতে শঙ্খ ঘোষ , আমরা ভিখারি বারো মাস বলতে , কবি মানুষের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরেছেন, কবি বোঝাতে চেয়েছেন মানুষ নানা প্রতিকুলতা যুগ যন্ত্রণার ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছেন। এ মানুষগুলি প্রকৃত ইতিহাস এর প্রতিফলন হয়নি, সেই মানুষগুলি নিশ্রুপ ও বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই কবি আলোচ্য লাইনটিতে অবহেলিত মানুষের কথা তুলে ধরেছেন।
৩.৪ ‘উদ্ভ্রান্ত আদিম যুগের কথা ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কীভাবে উল্লিখিত হয়েছে?
উঃ- আদিম যুগে মহাবিশ্ব তথা আমাদের পৃথিবী ছিল অশান্ত, ধীরে ধীরে তা শান্ত হয়। সে সময়ে সব কটি মহাদেশ ছিল একই ভূখণ্ডের অন্তর্গত। এরপর বিভিন্ন মহাদেশ তাদের মূল ভূখন্ড থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং সশস্ত্র মহাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, এই বার বার রদ বদলে স্রষ্ঠা যখন নিজের সৃষ্টির প্রতি অসন্তোষ , তখন স্রষ্ঠা বারবার তার সৃষ্টি গুলিকে বিধ্বস্ত করছিল।
৩.৫ ‘আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস। সেই আপিসের চিত্র লেখক কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন?
উঃ- প্রাবন্ধিক শ্রিপান্ত জানিয়েছেন তিনি লেখালেখির অফিসে কাজ করেন, কিন্তু কারানো হাতে কলম নেই, সকলেই বসে থাকে এক চৈক আয়নার মত কম্পিউটারের দিকে, কিবোর্ড দিয়ে প্রতিটি অক্ষর অনায়াসে লিখে ফেলেন, অফিসে কবি ছাড়া আর কেউই তেমন কলম ব্যবহার করেন না, কবির অফিসের প্রত্যেকেই লেখক কিন্তু তাদের হাতে কলম নেই।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ (কম-বেশি ১৫০ শব্দ)
৪.১ ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ও ঘটে?’—কোন্ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে? সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল, ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অনুসারণে বুঝিয়ে দাও।
উঃ- আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপন তার লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখেছিল । মেসো গল্পটি পড়ে লেখার প্রশংসা করেন এবং গল্পটি 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দেন। তপনের লেখা গল্প একটি পত্রিকায় ছেপে বের হবে- এরকম চমকপ্রদ ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল। তপন একজন অল্পবয়স্ক কিশোর, লেখকরা যে সাধারণ পৃথিবীর মানুষ তা সে বিশ্বাস করত না। তার লেখক মেসোকে স্বচক্ষে দেখে তপনের ভ্রান্ত ধারণাটা যায়। তারপর সে নিজেও গল্প লেখার উৎসাহ পায়। তিন তলার সিঁড়ি ঘরে বসে সে একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলে। গল্পটি পড়ে তপনের মেসো লেখার প্রশংসা করেন এবং নিজের থেকে গল্পটা নিয়ে যান। অবশেষে 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় গল্প ছেপে বের হয়। এই ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়।
৪.২ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা? কবিতায় এই আহ্বান ধ্ববিত হয়েছে কেন?
উঃ- আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি- কবিতাটি সমসাময়িক কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে' কাব্যসংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য কবিতার প্রেক্ষাপটে রয়েছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অসহায় মানুষের জীবনসংগ্রামের কথা। বিপদ তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে। তাদের বাঁয়ে গিরিখাত, ডানদিকে ধস, মাথায় বোমারু বিমান এবং পথ চলতে বাধার সৃষ্টি করে হিমানীর বাঁধ। এহেন বিপর্যয়ের বেঁচে আছে না মরে গেছে। এইরকম বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে যা করা উচিত, এরাও তাই করেছে। যে'কজন বেঁচে আছে তারা দিনে কারো মাথা গোঁজার জায়গা নেই কারণ যুদ্ধের ফলে তাদের ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিশুদের শব দেখে তারা ভাবে যে হয়তো তারাও এবার মরে যাবে। বাঁচার শেষ ইচ্ছেটুকু নিয়ে অসহায় মানুষজন একে অপরের হাত ধরে। বিশেষ-পরিচিতিহীন এইসব মানুষ ইতিহাসে ব্রাত্য। এদের কথা ভাবার মতো কেউ নেই। আবার, চারিদিকে মৃত্যুর ছায়া দেখে এরা বুঝে উঠতে পারে না যে পৃথিবী আদৌ যা করা উচিত, এরাও তাই করেছে। যে'কজন বেঁচে আছে তারা একে অপরের হাত ধরে, সঙ্ঘবদ্ধভাবে বাঁচার শপথ নেয়। জীবন যখন সংকটাপন্ন তখন ঐক্যবদ্ধভাবে বেঁচে থাকাই জীবনের একমাত্র মন্ত্র হয়ে দাঁড়ায়। আলোচ্য কবিতাতেও দু'বার সেই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে- আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'। অতএব, বিষয়বস্তুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই কবিতার নামকরণ সার্থকহয়েছে, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
৪.৩ দস্যুরা কীভাবে আফ্রিকার ইতিহাসে চিরচিহ্ন এঁকে দিয়ে গিয়েছিল, তা ‘আফ্রিকা’ কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।
উঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতার যে তথাকথিত সভ্য ইউরোপীয় দেশগুলো আফ্রিকাকে জাতির উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছিল তার উদ্দেশ্যে আলোচ্য লাইনটি। আদিম আফ্রিকার ইতিহাসকে অপমানিত বলা হয়েছে। চিরচিহ্ন'-এর ঘটনা: সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয় শক্তির আফ্রিকার মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল। ক্ষমতালোভী দল নির্মম অত্যাচার চালাত আফ্রিকার আদিম মানুষদের ওপর। সেইসব তথাকথিত সভ্য মানুষদের বর্বরতা আর অমানুষিক অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত হল আফ্রিকার মানুষ। তাদের রক্ত আর চোখের জলে কর্দমাক্ত হল আফ্রিকার মাটি। সাম্রাজ্যবাদী দস্যুদের কাটা-মারা জুততার নীচে সেই বীভৎস কাদার পিণ্ড চিরচিহ্নরূপে কালোছাপ ফেলে রাখল আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে।
৪.৪ ‘জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।”—‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’রচনা অবলম্বনে ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করো।
উঃ- ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম; ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম ঝরনা কলম।
বাংলা নামকরণ: শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ নামটি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জন্ম-ইতিহাস:- পণ্ডিতদের মতে, কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটিয়েছে ফাউন্টেন পেন। কিন্তু এর জন্ম-ইতিহাসটি বেশ চমকপ্রদ।আবিস্কারক লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান। তিনি এই নতুন ধরনের কলম তৈরি করে অফুরন্ত কালির ফোয়ারা খুলে দিয়েছিলেন।
চুক্তিপত্র সই: সেকালের আরও অনেক ব্যবসায়ীর মতো তিনিও দোয়াত কলম নিয়ে কাজে বের হতেন। একবার তিনি গিয়েছেন আর-একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে। দলিল কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় দোয়াত হঠাৎ উপুড় কাগজে পড়ে গেল। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে। ফিরে এসে শোনেন, ইতিমধ্যে অন্য একজন তৎপর ব্যবসায়ী সইসাবুদ শেষ করে চুক্তিপত্র পাকা করে গেছেন।
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া:- এই ঘটনায় বিমর্ষ ওয়াটারম্যান মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন, এর একটা বিহিত করতেই হবে। অর্থাৎ এমন একটা পদ্ধতির খোঁজ করতে হবে যেখানে কলমের সঙ্গে কালির দোয়াত নিয়ে ঘুরতে হবে না। তারপরই আবিষ্কার করলেন ফাউন্টেন পেন।
নবযুগেরপ্রতিষ্ঠা: দোয়াতের যুগের অবসান ঘটিয়ে কালক্রমে এই ফাউন্টেন পেন লেখালেখির নবযুগের প্রতিষ্ঠা ঘটাল।
৪.৫ ‘তারপর যুদ্ধ এল– কীসের মতো যুদ্ধ এল ? তার কী পরিণতি ঘটল?
উঃ- তারপর কথাটির অর্থ পাবলো নেরুদার 'অসুখী একজন কবিতায় কবি বিপ্লবের আহ্বানে ঘর ছেড়েছিলেন। কবির প্রিয়তমা অপেক্ষা করেছিলেন যে, একদিন কবি ফিরে আসবেন। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না। বৃষ্টির জলে একসময় ধুয়ে যায় কবির পায়ের ছাপ। রাস্তা ঢেকে যায় ঘাসে। বছরের পর বছর এভাবে কেটে যাওয়ার পরে একসময় যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর' কথাটির দ্বারা এই যুদ্ধ শুরুরসময়টিকেই বোঝানো হয়েছে।
যুদ্ধের প্রভাব: যখন যুদ্ধ শুরু হয় সে যুদ্ধ আসে রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো। শিশুরাও সে হত্যালীলা থেকে রেহাই পায় না, মানুষের বসতি ধ্বংস হয়। আগুন লেগে যায় সমতলে। যেসব দেবতারা মন্দিরে ধ্যানমগ্ন ছিল হাজার বছর ধরে, তারা উলটে গিয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। অর্থাৎ ধ্বংস আর বিশ্বাসের ফাটল ঘটে একইসঙ্গে। কবির ফেলে আসা প্রিয় বাড়ি বারান্দা, গোলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ ইত্যাদি যাবতীয় স্মৃতিই যুদ্ধের তাণ্ডবে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। শহর রূপান্তরিত হয় ধ্বংসস্তুপে। কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা যেন ধংসের প্রতীক হয়ে উকি দেয়। আর রক্তের কালো দাগ হল সেই হত্যালীলা ও ধসেস্তুপের প্রমাণস্বরূপ। এভাবেই যুদ্ধ আসে সর্বগ্রাসী চরিত্র নিয়ে।
৫. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :
৫.১ অনুসর্গ হলো একপ্রকার—
(ক) বিশেষ্য পদ
(খ) বিশেষণ পদ
(গ) সর্বনাম পদ
(ঘ) অব্যয় পদ
৫.২ ‘বিভক্ত কখনোই লুপ্ত হয় না—
(ক) কর্মকারকে
(খ) করণ কারকে
(গ) সম্বন্ধ পদে
(ঘ) কর্তৃকারকে
৫.৩ নির্দেশকের একটি উদাহরণ হলো—
(ক) হইতে
(খ) কর্তৃক
(গ) জন্য
(ঘ) গুলি
৬. বঙ্গানুবাদ করো :
Home is the first School where the Child learns his first lesson. He sees, hears and begins to learn at home. It is home that builds his Character. In a good home honest and healthy men are made.
উঃ- গৃহ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম বিদ্যালয় , যেখানে শিশুরা তাদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে। শিশু দেখে , শুনে এবং সেখানেই তাঁর প্রথম শিক্ষা শুরু করে। গৃহ হল এমন এক স্থান যেখানে শিশুদের চরিত্র গঠন হয়। উন্নতমানের পরিবার সৎ এবং সুস্থ মানুষ তৈরি করে।
****** সমাপ্ত *******